হুতিদের ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ
ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, হুতিদের কার্যক্রম মার্কিন নিরাপত্তা ও মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকি উল্লেখ করে গত বুধবার এই আদেশে সই করেন ট্রাম্প। হুতিরা আনসার আল্লাহ নামেও পরিচিত। ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হুতিরা ইরানের সমর্থনে কাজ করছে এবং তারা মার্কিন জাহাজে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া, তাদের কর্মকাণ্ডে বৈশ্বিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের স্থিতিশীলতা এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অংশীদারদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।
নির্বাহী আদেশে তিনি বলেন, হুতিদের কার্যক্রম মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান বেসামরিক নাগরিক ও কর্মীদের নিরাপত্তা, আমাদের ঘনিষ্ঠ আঞ্চলিক অংশীদারদের নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে। হুতিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আগে তাদের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৬ জানুয়ারি ইরানের তেল পরিবহনকারী একটি হুতি নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ভারতীয় নাগরিকসহ ১৮টি কোম্পানি ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সাবেক মার্কিন প্রশাসনের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল অফিস (ওএফএসি)। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের কুদস ফোর্স-সমর্থিত হুতির অর্থবিষয়ক কর্মকর্তা সাইদ আল-জামাল এবং তাঁর নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন অবৈধ তেল পরিবহনকারী জাহাজের ক্যাপ্টেনরা।
হুতিরা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সঙ্গে সংঘর্ষ চালিয়ে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে ইয়েমেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধেও লড়াই করছে তারা। সম্প্রতি ইসরায়েল-হুতিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সে সময় ইসরায়েলে হামলা চালায় হুতিরা। জবাবে ইয়েমেনের সানা বিমানবন্দর, দেশের পশ্চিম উপকূল বন্দর এবং দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলার সময় সানা বিমানবন্দরে ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসুস। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সহকারী মহাসচিব খালেদ খিয়ারি হুতিদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ বন্ধের আহ্বান করেন। খালেদ খিয়ারি মনে করেন, সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে হুমকিতে ফেলতে পারে এবং এ ধরনের তৎপরতা রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক ও মানবিক প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, এই উত্তেজনার ভার বহন করতে হবে ইয়েমেন-ইসরায়েলসহ মধ্যপ্রাচ্যের লাখ লাখ মানুষকে, যার কোনো সমাপ্তি নেই।
কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নৃশংসতার তীব্র নিন্দা পাকিস্তানের
ভারতশাসিত কাশ্মিরে দেশটির সেনাবাহিনীর নৃশংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। একইসঙ্গে কাশ্মিরিদের প্রতি পাকিস্তানের অব্যাহত সমর্থনের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, কাশ্মিরি জনগণের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না এবং শেষ পর্যন্ত অধিকৃত এই ভূখণ্ডে স্বাধীনতার ভোর আসবে। গতকাল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ গত বুধবার অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্রমাগত নিষ্ঠুরতা ও নিপীড়নের কঠোর নিন্দা করেছেন এবং জাতিসংঘের রেজুলেশন অনুযায়ী আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত কাশ্মিরিদের প্রতি পাকিস্তানের অটল রাজনৈতিক, নৈতিক এবং কূটনৈতিক সমর্থনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজাদ জম্মু ও কাশ্মিরের (এজেকে) ভিম্বারে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি কাশ্মির ইস্যুতে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের অতুলনীয় অবিচল প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কাশ্মিরি জনগণের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না এবং শেষ পর্যন্ত অধিকৃত এই ভূখণ্ডে স্বাধীনতার ভোর আসবে। ভারতশাসিত কাশ্মিরের জনগণ যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন সেগুলো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে শিক্ষার গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, অধিকৃত কাশ্মিরের জনগণ তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে এবং তাদের কাশ্মিরি ভাইয়েরা এখানে (আজাদ কাশ্মিরে) উচ্চ মানের শিক্ষা পাচ্ছে জেনে তারাও আনন্দও অনুভব করবে।
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে তিনি বলেন, তার সরকার দেউলিয়া হওয়ার হুমকি এড়াতে সম্মিলিতভাবে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো একদিকে যেমন মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার হ্রাস করেছে অন্যদিকে রপ্তানি এবং রেমিটেন্সের ক্ষেত্রেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখিয়েছে। বিশ্বব্যাংক পাকিস্তানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দূর করার ওপরই পাকিস্তানের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নির্ভর করছে। এসময় তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর আত্মত্যাগের প্রশংসা করেন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে না বলেও উল্লেখ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো সীমান্তে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের
অভিবাসন রোধে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামরিক বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এক হাজার সেনা সদস্য এবং পাঁচশ নৌ-বাহিনীর সদস্যদের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো এবং টেক্সাসের এল পাসোতে স্থানান্তরিত করা হবে। তারা সেখানে সীমান্ত মিশন নিয়ে কাজ করবেন।
তবে তারা আইন প্রয়োগের কাজে জড়িত থাকবেন না বলে জানান এই কর্মকর্তা। দুইটি সি-১৭ এবং দুটি সি-১৩০ বিমান, হেলিকপ্টারসহ এ সেনা সদস্যদের মেক্সিকোর নিকটবর্তী যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পাঠানো হবে। ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট সেলেসেস বলেছেন, পাঁচ হাজারেরও বেশি ‘অবৈধ অভিবাসী’দের সরানোর জন্য সামরিক বিমান সরবরাহ করা হবে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটকে ট্রাম্পের সর্বশেষ নির্বাহী আদেশ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে ১৫০০ অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হবে বলে এ তথ্য জানান তিনি। যারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করবে তাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন লেভিট। তিনি বলেন, আমেরিকান জনগণ এমন একটি সময়ের জন্য অপেক্ষা করছে, যাতে আমাদের প্রতিরক্ষা বিভাগ প্রকৃতপক্ষে দেশের নিরাপত্তাকে গুরুত্বের সাথে নেয়। এটি আমেরিকান জনগণের এক নম্বর অগ্রাধিকার এবং প্রেসিডেন্ট ইতোমধ্যেই সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন। লেভিট আরও জানান, ট্রাম্পও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তার ভাষায়, তোমাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, গ্রেপ্তার করা হবে, তোমাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে, এসো না।
এদিকে মেক্সিকোর দক্ষিণ সীমান্তজুড়ে অভিবাসনের ক্ষেত্রে ট্রাম্প বাইডেন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গির তীব্র সমালোচনা করেছেন। রেকর্ডসংখ্যক অবৈধ অভিবাসী সীমান্ত অতিক্রম করার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন এবং বর্তমান অভিবাসনকে আক্রমণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন তিনি। বাইডেন প্রশাসনের সময়ে সীমান্ত অতিক্রম রেকর্ড স্তরে পৌঁছেছিল। তবে ট্রাম্প নির্বাচনে জয়লাভ করার এবং ক্ষমতা গ্রহণের আগেই এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে শুরু করে।
এছাড়া মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম বলেছেন, মেক্সিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অভিবাসন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার মেক্সিকোর স্থানীয় সময়ে এক দৈনিক সংবাদ সম্মেলনে শেইনবাউম বলেছেন, মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুয়ান রামন দে লা ফুয়েন্তে এবং সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিও মঙ্গলবার প্রথম ফোনালাপ করেছেন। শেইনবাউম কথোপকথনটিকে ‘আন্তরিক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এই দুই কর্মকর্তা অভিবাসন এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে নজর দিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের মতে, এটি চলমান কথোপকথনের একটি অংশ। তিনি আরও বলেছেন, মেক্সিকো ট্রাম্পের একটি প্রস্তাবে রাজি হয়নি, যেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের দাবিগুলো প্রক্রিয়াধীন থাকাকালীন মেক্সিকোতে অপেক্ষা করতে হবে। এর আগে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ট্রাম্প। উদ্বোধনী ভাষণে সেসময় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সমস্ত অবৈধ প্রবেশ বন্ধ করা হবে এবং লক্ষাধিক অবৈধ অভিবাসী ফেরত পাঠানো হবে। তিনি মেক্সিকোর মাদক চোরাকারবারী চক্রগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেওয়ার একটি আদেশেও স্বাক্ষর করেছেন।
পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি অভিযানে আরও ২ ফিলিস্তিনি নিহত
দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তৃতীয় দিনের অভিযান চলছে। পশ্চিম তীরজুড়ে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চলমান হামলা আরও তীব্র হয়েছে। বুরকিন এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় বৃহস্পতিবার রাতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে জেৃনিন প্রদেশে তিন দিনের অভিযানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২ জনে । ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম আল কুদস টুডে জানিয়েছে, নিহত মুহাম্মদ আবু আল-আসাদ ও কুতাইবা আল-শালাবি দীর্ঘক্ষণ ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা দুজনেই ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সদস্য এবং চলতি মাসে কালকিলিয়া প্রদেশের ফুন্দুক গ্রামে ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওই হামলায় তিনজন ইসরায়েলি নিহত ও ছয়জন আহত হয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের মরদেহ এখনও হস্তান্তর করেনি ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, বুরকিনে অভিযানের সময় ইসরায়েলি বাহিনী একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে, সেখানে গুলি ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে পরে তা বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হয়। বুরকিনের মেয়র হাসান সোবহ অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি সেনারা হামলার সময় ফিলিস্তিনি নারীদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।
এদিকে, গত বুধবার ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল প্যালেস্টাইন (ডিসিআইপি) জানায়, ১৬ বছর বয়সী মুতাজ ইমাদ মুসা আবু তাবিখকে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি করে হত্যা করেছে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় সাত কিশোর নিহত হয়েছে, যাদের চারজন ড্রোন হামলায় এবং তিনজন গুলিতে মারা যায়। ১৯৫৩ সালে উদ্বাস্তুদের আশ্রয়ের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক স্থাপিত জেনিন শরণার্থী শিবির দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের লক্ষ্যবস্তু। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাদাভ শোশানি দাবি করেছেন, শিবিরটি থেকে সন্ত্রাসী হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) বলছে, এসব হামলার উদ্দেশ্য পশ্চিম তীরকে ধীরে ধীরে দখল করা।


























