১০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিন্ডিকেটের কবলে সয়াবিন তেল কঠোর উদ্যোগ তবুও নেই নাগালে

দেশে গেল কয়েক মাস ধরে অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে ভোজ্য তেলের বাজার। পবিত্র রমজানেও ভোক্তাদের চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে পণ্যটি। সরবরাহ সংকটে অধিকাংশ মুদি দোকানে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন। কোথাও কোথাও মিললেও ভোক্তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম। পণ্যটির দামের নাগাল টানতে রমজান ঘিরে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি তদারকি সংস্থাগুলো। তাতেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি সরবরাহ, কমেনি দাম।
তবে তেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে, দামও কিছুটা কমেছে। নতুন তেল সব দোকানে পৌঁছালে দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ভোজ্য তেলের দামে নাগাল টানতে গেল সোমবার দেশে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। সেখানে ভোজ্যতেল না পেয়ে পরদিন ভোজ্যতেলের আমদানিকারক, উৎপাদনকারী ও আড়তদারদের সার্কিট হাউসে বৈঠকে ডাকেন তারা। ওই বৈঠকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ ও ব্যবসায়ীদের চূড়ান্তভাবে সতর্ক করা হয়। ওই বৈঠকের পর ভোজ্য তেলের সরবরাহ এবং দাম স্বাভাবিক না হলে গুদামে গুদামে অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক।
এরমধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় টানা অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের টাস্কফোর্স। এত উদ্যোগের পরও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি তেলের বাজার। এখনও তেল কিনতে বাড়তি দামই গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকার বাসিন্দা রাফসানুল আলম বলেন, আগে যেমন কয়েকটা দোকানে খোঁজতে হতো, এখন সেটা অনেকখানি কমেছে। তবে দাম বাড়তি রয়ে গেছে। আমি দুই নম্বর গেট এলাকা থেকে ১৯৫ টাকায় এক লিটার তেল কিনেছি। কিন্তু পত্রিকায় দেখেছিলাম তেলের দাম ১৬০ টাকা ঠিক করা হয়েছে।
নগরীর সাগরিকা এলাকার বাসিন্দা রইসুল হক বলেন, আমি ১৮০ টাকায় এক লিটার তেল কিনেছি, তবে আগের মতো অন্যকিছু কিনতে হয়নি। দামটা এখনও বাড়তিই রয়ে গেল।
তবে আগের চেয়ে তেলের সরবরাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন খাতুনগঞ্জের পাইকারি তেল ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, এখন আগের চেয়ে সরবরাহ একটু বেড়েছে। দামও আগের চেয়ে ২০-৪০ টাকা কম। আশা করি দ্রুতই বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষে নির্বাচন করবেন গণঅধিকারের রাশেদ খাঁন’

সিন্ডিকেটের কবলে সয়াবিন তেল কঠোর উদ্যোগ তবুও নেই নাগালে

আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

দেশে গেল কয়েক মাস ধরে অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে ভোজ্য তেলের বাজার। পবিত্র রমজানেও ভোক্তাদের চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে পণ্যটি। সরবরাহ সংকটে অধিকাংশ মুদি দোকানে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন। কোথাও কোথাও মিললেও ভোক্তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম। পণ্যটির দামের নাগাল টানতে রমজান ঘিরে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি তদারকি সংস্থাগুলো। তাতেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি সরবরাহ, কমেনি দাম।
তবে তেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে, দামও কিছুটা কমেছে। নতুন তেল সব দোকানে পৌঁছালে দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ভোজ্য তেলের দামে নাগাল টানতে গেল সোমবার দেশে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। সেখানে ভোজ্যতেল না পেয়ে পরদিন ভোজ্যতেলের আমদানিকারক, উৎপাদনকারী ও আড়তদারদের সার্কিট হাউসে বৈঠকে ডাকেন তারা। ওই বৈঠকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ ও ব্যবসায়ীদের চূড়ান্তভাবে সতর্ক করা হয়। ওই বৈঠকের পর ভোজ্য তেলের সরবরাহ এবং দাম স্বাভাবিক না হলে গুদামে গুদামে অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক।
এরমধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় টানা অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের টাস্কফোর্স। এত উদ্যোগের পরও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি তেলের বাজার। এখনও তেল কিনতে বাড়তি দামই গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকার বাসিন্দা রাফসানুল আলম বলেন, আগে যেমন কয়েকটা দোকানে খোঁজতে হতো, এখন সেটা অনেকখানি কমেছে। তবে দাম বাড়তি রয়ে গেছে। আমি দুই নম্বর গেট এলাকা থেকে ১৯৫ টাকায় এক লিটার তেল কিনেছি। কিন্তু পত্রিকায় দেখেছিলাম তেলের দাম ১৬০ টাকা ঠিক করা হয়েছে।
নগরীর সাগরিকা এলাকার বাসিন্দা রইসুল হক বলেন, আমি ১৮০ টাকায় এক লিটার তেল কিনেছি, তবে আগের মতো অন্যকিছু কিনতে হয়নি। দামটা এখনও বাড়তিই রয়ে গেল।
তবে আগের চেয়ে তেলের সরবরাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন খাতুনগঞ্জের পাইকারি তেল ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, এখন আগের চেয়ে সরবরাহ একটু বেড়েছে। দামও আগের চেয়ে ২০-৪০ টাকা কম। আশা করি দ্রুতই বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।