০৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেগে মশা, ঘুমিয়ে পাবিপ্রবি প্রশাসন

গরমের শুরুতেই পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসজুড়ে মশার উপদ্রব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সন্ধ্যার পর হলে কক্ষ গুলোতে স্বাভাবিকভাবে বসে থাকাও যেন রীতিমতো যুদ্ধ। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলছেন,প্রশাসনের নেই কার্যকর কোনো উদ্যোগ।

শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শেখ হাসিনা হল ঘুরে দেখা যায়, হলসংলগ্ন পরিবেশ একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। সামিনের ড্রেন যেন রীতিমতো মশা তৈরির কারখানা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উভয় হলের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ড্রেনের দুর্গন্ধ, ময়লার স্তূপ এবং নিয়মিত স্প্রে না করার কারণে মশার প্রজনন বেড়েই চলেছে। অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না; বরং বারবার আশ্বাস দিয়েই দায় সারছে কর্তৃপক্ষ।

তারা আরও জানান, শুধু হল নয়, ক্যাম্পাসেও মশার উপদ্রব বেড়েছে। সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে ঘুরতে গেলে মশার কামড় খেতে হয়। আড্ডা দিতে বসলেও সঙ্গে কয়েল রাখতে হয়। আবাসিক শিক্ষার্থীদের ভাষায়, সন্ধ্যার পর হলে একটু পড়াশোনা করাও সম্ভব হয় না। মশার উৎপাতের পাশাপাশি কয়েলের ধোঁয়ায় মাথাব্যথা, চোখ জ্বালাপোড়া ইত্যাদি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ আলিফ বলেন, ক্যাম্পাসে ও হলে মশার উপদ্রব এতটাই তীব্র যে দিনের বেলাতেও থাকা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পরেছে। প্রশাসন থেকে স্প্রে করার দিক নির্দেশনা থাকলে ও সময় মতন স্প্রে দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। এছাড়া আমরা যারা নিচ তলায় থাকি উপর থেকে বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে মশার বংশবৃদ্ধি সহজে হচ্ছে। সামনে গরম আসতেছে ডেঙ্গু প্রকোপ ও বৃদ্ধি পাবে এই সময়ের মধ্যে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহন না করা হলে ডেঙ্গু প্রকোপ আকার ধারণ করবে বলে মনে করি। প্রশাসনের কাছে আবেদন থাকবে ক্যাম্পাসে ময়লা আবর্জনা, হলের চারপাশের অপ্রয়োজনীয় ময়লার স্তুপ, ড্রেন সহ এবং উপর থেকে ময়লা যেন নিচে না ফেলে সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধান চাই।

শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী অনন্যা ইসলাম জেমি জানান, হলে মশার অত্যাচার এতো বেড়েছে যে বলার বাইরে। যদি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত না হয় তাহলে তো ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু হয়ে জীবন নিয়েই টানাটানি হয়ে যাবে। মশারির ভিতরে হাত মশারিতে একটু লেগে থাকলে মশা বাইরে থেকেই কামড় দেয়, আর কয়েলেও তো এতো মশা যাচ্ছেনা। দয়া করে প্রশাসন যদি মশা নিধনের ব্যবস্থা করতো আমরা একটু শান্তি পেতাম।

শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট আমিরুল ইসলাম জানান, মশা নিধনের জন্য ফগার মেশিন ব্যবহার করে ঔষধ দিতে বলবো। যাতে মশার উৎপত্তি কম হয়। ড্রেন পরিষ্কার ও নিষ্কাসনের জন্য এসেস্ট শাখাকে অবহিত করবো। এই সপ্তাহের মধ্যে ড্রেনগুলো পরিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. রাশেদুল হক জানান,আমাদের ছোট একটা ফগার মেশিন। ক্যাম্পাসের জন্য বড় অত্যাধুনিক একটা মেশিন প্রয়োজন। তাছাড়া মশা নিধনের কীটনাশক শেষ হয়ে গেছে। আমি আগামীকাল এস্টেট শাখাকে মেশিন ও ডুকুমেন্টগুলো হস্তাস্তর করার কথা ইতিমধ্যে মো: সুজা উদ্দিন ডাব্লু কে জানিয়েছি। আশা করি এস্টেস্ট শাখা মশা নিধনে অতিদ্রুত পদক্ষেপ নেবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৮ জন নিহত

জেগে মশা, ঘুমিয়ে পাবিপ্রবি প্রশাসন

আপডেট সময় : ০৪:০৭:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

গরমের শুরুতেই পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসজুড়ে মশার উপদ্রব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সন্ধ্যার পর হলে কক্ষ গুলোতে স্বাভাবিকভাবে বসে থাকাও যেন রীতিমতো যুদ্ধ। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলছেন,প্রশাসনের নেই কার্যকর কোনো উদ্যোগ।

শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শেখ হাসিনা হল ঘুরে দেখা যায়, হলসংলগ্ন পরিবেশ একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। সামিনের ড্রেন যেন রীতিমতো মশা তৈরির কারখানা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উভয় হলের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ড্রেনের দুর্গন্ধ, ময়লার স্তূপ এবং নিয়মিত স্প্রে না করার কারণে মশার প্রজনন বেড়েই চলেছে। অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না; বরং বারবার আশ্বাস দিয়েই দায় সারছে কর্তৃপক্ষ।

তারা আরও জানান, শুধু হল নয়, ক্যাম্পাসেও মশার উপদ্রব বেড়েছে। সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে ঘুরতে গেলে মশার কামড় খেতে হয়। আড্ডা দিতে বসলেও সঙ্গে কয়েল রাখতে হয়। আবাসিক শিক্ষার্থীদের ভাষায়, সন্ধ্যার পর হলে একটু পড়াশোনা করাও সম্ভব হয় না। মশার উৎপাতের পাশাপাশি কয়েলের ধোঁয়ায় মাথাব্যথা, চোখ জ্বালাপোড়া ইত্যাদি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ আলিফ বলেন, ক্যাম্পাসে ও হলে মশার উপদ্রব এতটাই তীব্র যে দিনের বেলাতেও থাকা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পরেছে। প্রশাসন থেকে স্প্রে করার দিক নির্দেশনা থাকলে ও সময় মতন স্প্রে দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। এছাড়া আমরা যারা নিচ তলায় থাকি উপর থেকে বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে মশার বংশবৃদ্ধি সহজে হচ্ছে। সামনে গরম আসতেছে ডেঙ্গু প্রকোপ ও বৃদ্ধি পাবে এই সময়ের মধ্যে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহন না করা হলে ডেঙ্গু প্রকোপ আকার ধারণ করবে বলে মনে করি। প্রশাসনের কাছে আবেদন থাকবে ক্যাম্পাসে ময়লা আবর্জনা, হলের চারপাশের অপ্রয়োজনীয় ময়লার স্তুপ, ড্রেন সহ এবং উপর থেকে ময়লা যেন নিচে না ফেলে সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধান চাই।

শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী অনন্যা ইসলাম জেমি জানান, হলে মশার অত্যাচার এতো বেড়েছে যে বলার বাইরে। যদি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত না হয় তাহলে তো ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু হয়ে জীবন নিয়েই টানাটানি হয়ে যাবে। মশারির ভিতরে হাত মশারিতে একটু লেগে থাকলে মশা বাইরে থেকেই কামড় দেয়, আর কয়েলেও তো এতো মশা যাচ্ছেনা। দয়া করে প্রশাসন যদি মশা নিধনের ব্যবস্থা করতো আমরা একটু শান্তি পেতাম।

শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট আমিরুল ইসলাম জানান, মশা নিধনের জন্য ফগার মেশিন ব্যবহার করে ঔষধ দিতে বলবো। যাতে মশার উৎপত্তি কম হয়। ড্রেন পরিষ্কার ও নিষ্কাসনের জন্য এসেস্ট শাখাকে অবহিত করবো। এই সপ্তাহের মধ্যে ড্রেনগুলো পরিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. রাশেদুল হক জানান,আমাদের ছোট একটা ফগার মেশিন। ক্যাম্পাসের জন্য বড় অত্যাধুনিক একটা মেশিন প্রয়োজন। তাছাড়া মশা নিধনের কীটনাশক শেষ হয়ে গেছে। আমি আগামীকাল এস্টেট শাখাকে মেশিন ও ডুকুমেন্টগুলো হস্তাস্তর করার কথা ইতিমধ্যে মো: সুজা উদ্দিন ডাব্লু কে জানিয়েছি। আশা করি এস্টেস্ট শাখা মশা নিধনে অতিদ্রুত পদক্ষেপ নেবে।