০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণ, বেরোবিতে শুরু হচ্ছে পক্ষপাতমুক্ত মূল্যায়ন

পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষক-পক্ষপাতের অভিযোগ দূর করতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হতে যাচ্ছে নাম ও রোলবিহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক। তিনি জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এই নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষকেরা আর জানবেন না কোন খাতা কোন শিক্ষার্থীর—ফলে পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। এতে শিক্ষকতা পেশার নৈতিক মানদণ্ড যেমন সমুন্নত থাকবে, তেমনি শিক্ষার্থীরাও পাবেন তাঁদের প্রকৃত মূল্যায়ন।
শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়ায় এসেছে স্বস্তি ও আশাবাদ। একজন শিক্ষার্থী বলেন, “কিছু শিক্ষক আগে নিজের পছন্দের শিক্ষার্থীকে বাড়তি নম্বর দিতেন, আর যাদের সাথে মতের অমিল ছিলো, তারা বঞ্চিত হতেন। এখন সেই সুযোগ আর থাকবে না।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও পরিসংখ্যান বিভাগে যৌন নিপীড়ন এবং ফলাফল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ তুলে লিখিত আবেদন করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। সেই প্রেক্ষিতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে রোল ও নামবিহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালুর পথে হাঁটছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগকে শিক্ষার্থীরা দেখছেন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে—যা ভবিষ্যতের শিক্ষাব্যবস্থায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণ, বেরোবিতে শুরু হচ্ছে পক্ষপাতমুক্ত মূল্যায়ন

আপডেট সময় : ০৯:১১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষক-পক্ষপাতের অভিযোগ দূর করতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হতে যাচ্ছে নাম ও রোলবিহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক। তিনি জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এই নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষকেরা আর জানবেন না কোন খাতা কোন শিক্ষার্থীর—ফলে পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। এতে শিক্ষকতা পেশার নৈতিক মানদণ্ড যেমন সমুন্নত থাকবে, তেমনি শিক্ষার্থীরাও পাবেন তাঁদের প্রকৃত মূল্যায়ন।
শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়ায় এসেছে স্বস্তি ও আশাবাদ। একজন শিক্ষার্থী বলেন, “কিছু শিক্ষক আগে নিজের পছন্দের শিক্ষার্থীকে বাড়তি নম্বর দিতেন, আর যাদের সাথে মতের অমিল ছিলো, তারা বঞ্চিত হতেন। এখন সেই সুযোগ আর থাকবে না।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও পরিসংখ্যান বিভাগে যৌন নিপীড়ন এবং ফলাফল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ তুলে লিখিত আবেদন করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। সেই প্রেক্ষিতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে রোল ও নামবিহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালুর পথে হাঁটছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগকে শিক্ষার্থীরা দেখছেন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে—যা ভবিষ্যতের শিক্ষাব্যবস্থায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।