বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়ে প্রবেশ করল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে, যখন সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান রাসেলকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে তাজহাট থানা পুলিশ। অভিযোগ
শুধু প্রশাসনিক দায়িত্বেই নয়, বরং সরাসরি একটি ছাত্র হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা।
আন্দোলনের দাবিতে নেমে জীবন দিতে হয়েছিল ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের ছাত্র আবু সাঈদকে। বৈষম্যবিরোধী এই আন্দোলন ছিল হাজারো কণ্ঠের প্রতিবাদ, আর সেই প্রতিবাদের শ্বাসরুদ্ধকর প্রতিক্রিয়া ছিল গুলি, লাঠি, রড ও আগ্নেয়াস্ত্রের ঝড়। আবু সাঈদের মৃত্যু আজ শুধু একজন ছাত্রের মৃত্যু নয়, এটি প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা, রাজনীতিক অনুপ্রবেশ এবং সাংগঠনিক সন্ত্রাসের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
কেন গ্রেফতার রাফিউল হাসান রাসেল?
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্বে থাকা রাসেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তিনিই আন্দোলন দমন অভিযানে নেতৃত্বদানকারী এবং হামলাকারীদের সঙ্গে সমন্বয়কারী অন্যতম ব্যক্তি। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়েরকৃত মামলায় তার নাম স্পষ্টভাবে উঠে আসে।
প্রশাসনের পদক্ষেপ নাকি পাল্টা প্রতিক্রিয়া?
এই ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭১ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেন রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশীদ। মামলায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীর নামও অন্তর্ভুক্ত। অজ্ঞাত ৮০-১০০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের ভাষ্য:
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রনেতা বলেন, “এই গ্রেফতার দেরিতে হলেও সঠিক পথে একটি পদক্ষেপ। আমরা চাই সবার বিচার হোক, কেউ যেন প্রশাসনের ছায়ায় রক্ষা না পায়।”
পুলিশ বলছে:
তাজহাট থানার ওসি শাহ আলম সরদার জানান, “মামলার পরপরই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।”

























