পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নতুন দশতলা ছাত্র হল দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ও লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এরপর ‘লং মার্চ টু হল’ কর্মসূচির আওতায় নতুন ছাত্রহলের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন হলের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গত ৩ মে অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামানকে প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয় প্রশাসন। কিন্তু দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হলে শিক্ষার্থী ওঠানোর ব্যাপারে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

এসময় একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বারবার আশ্বাস দিয়ে আমাদের ঘুরানো হচ্ছে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরও বিভিন্ন অজুহাতে হল খোলা হচ্ছে না। কখনো বলা হচ্ছে হ্যামার টেস্ট হয়নি, কখনো বলা হয় প্রশাসনিক আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়নি,এসব বাহানায় আমরা চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছি।”

চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের পড়াশোনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। অথচ এখনও হলে উঠতে পারিনি। আমরা বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। বাড়িওয়ালাদের দুর্ব্যবহার, অতিরিক্ত ভাড়া আর পরিবেশগত সমস্যার কারণে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।”

আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা নতুন ছাত্রহল-২ এর সামনে গিয়ে অবস্থান নিলে সহকারী প্রভোস্ট রেদওয়ান আহমেদসহ অন্যান্য হল প্রশাসন সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন এবং শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন।

সহকারী প্রভোস্ট রেদওয়ান আহমেদ বলেন, “হলটি এতদিন আমাদের অধীনে ছিল না। সম্প্রতি আমরা দায়িত্ব পেয়েছি। তবে ভর্তি পরীক্ষার ব্যস্ততার কারণে এই সময়ের মধ্যে হল সংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে প্রভোস্ট টিম প্রয়োজনীয় অফিসিয়াল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। বিষয়টি উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতিতে রয়েছে। আজ অথবা আগামীকাল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরপর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং আগামী ১ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে।”