০৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রবীণ সদস্যদের জন্য শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন

কানাডার ম্যানিটোবায় নববর্ষের আনন্দ উৎসব

পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উপলক্ষে কানাডা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানিটোবা (সিবিএ) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক মনোমুগ্ধকর উৎসবমুখর ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উৎসব। কর্মময় একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে প্রবাসী বাঙালিরা আনন্দ উৎসবে মেতেছিলেন অন্যরকম এক মিলনমেলায়।
বৈশাখী সাজে সেজেছিল প্রবাসী বাঙালিদের মুখ, মুখর ছিল গান, নৃত্য, আর পারিবারিক আনন্দে। কমিউনিটির বিপুল অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, বাঙালি খাবার, শিশুদের আয়োজনসহ নানা উৎসবমুখর কার্যক্রম ছিল দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ। বাংলা স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চারা তাদের অসাধারণ প্রতিভা দেখিয়েছে বাংলা গান, অভিনয়, কবিতা, এবং নাচসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনের মাধ্যমে।
গ্রীষ্মের রৌদ্রছায়া মাখা দিনটিতে কিংস পার্কে জমে উঠেছিল বাঙালির প্রাণের মেলা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব মনিরুজ্জামান সকলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং তার বিশেষ ভাষণে বাংলাদেশী সংস্কৃতি এই বিদেশ বিভুয়ে ধরে রাখার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
তবে এই আয়োজনের এক বিশেষ দিক ছিল প্রবীণ সদস্যদের জন্য শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় কমিউনিটির অভিজ্ঞ ও বর্ষীয়ান সদস্যদের, এবং তাদের মঞ্চে আহ্বান করা হয় ভবিষ্যতের সিবিএ নিয়ে নিজেদের ভাবনা ও প্রত্যাশার কথা বলার জন্য।
একজন সিনিয়র সদস্য মঞ্চে উঠে আবেগভরে বলেন, “আমাদের সময় কাটানোর মতো কিছু আয়োজনের বড় অভাব। ভবিষ্যতে যদি সিবিএ প্রবীণদেরকে নিয়ে কিছু আয়োজন করে, যেখানে আমরা সপ্তাহে এক-দু’দিন একত্রিত হতে পারি আড্ডা দিতে, গল্প করতে, কিছু বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে — তাহলে আমাদের অবসর জীবনটা আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।’
প্রধান অতিথি জনাব মনিরুজ্জামান বয়স্ক এবং সর্বস্তরের মানুষের জন্য বাংলা সেন্টার তৈরির ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা আশ্বাস প্রদান করেন।
এই অভিভাষণগুলো যেন শুধু প্রস্তাব নয়, ছিল আন্তরিকতার ছোঁয়ায় গড়া একটি প্রজন্মের স্বপ্ন, যারা আজীবন এই সমাজকে কিছু না কিছু দিয়ে গেছেন। এমন ভাবনাগুলি নতুন প্রজন্মের জন্য এক ধরনের দিকনির্দেশনা — বাঙালিয়ানা ধরে রেখে ভবিষ্যতের সংগঠনকে আরও মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে গড়ে তোলার অঙ্গীকার।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিবিএর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ
আব্দুল বাতেন (অ্যাক্টিং প্রেসিডেন্ট), হাবিবুর রহমান (সাধারণ সম্পাদক), জাফরুল হাসান শুভ (ক্রীড়া সম্পাদক), প্রজেশ কুমার (সাংস্কৃতিক সম্পাদক), তাসনুভা সাদেক খান (মিডিয়া ও যোগাযোগ সম্পাদক), ফাহিম ফয়সাল (সহকারী সাংস্কৃতিক সম্পাদক), এবং আশফিয়া প্রমিতি (সহকারী সাংস্কৃতিক সম্পাদক), পাবেল ইসলাম (সহকারী ক্রীড়া সম্পাদক) ও তাহের শাহজাহান (সহকারী ক্রীড়া সম্পাদক)।
নববর্ষের আনন্দ যেন শুধু একদিনের উৎসবে সীমাবদ্ধ না থেকে, সারা বছরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আমাদের প্রবাসজীবনের প্রতিটি প্রান্তে।
এমআর/সব

জনপ্রিয় সংবাদ

নায়ক রিয়াজের মৃত্যুসংবাদ ফেসবুকে, যা জানাল পরিবার

প্রবীণ সদস্যদের জন্য শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন

কানাডার ম্যানিটোবায় নববর্ষের আনন্দ উৎসব

আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উপলক্ষে কানাডা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানিটোবা (সিবিএ) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক মনোমুগ্ধকর উৎসবমুখর ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উৎসব। কর্মময় একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে প্রবাসী বাঙালিরা আনন্দ উৎসবে মেতেছিলেন অন্যরকম এক মিলনমেলায়।
বৈশাখী সাজে সেজেছিল প্রবাসী বাঙালিদের মুখ, মুখর ছিল গান, নৃত্য, আর পারিবারিক আনন্দে। কমিউনিটির বিপুল অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, বাঙালি খাবার, শিশুদের আয়োজনসহ নানা উৎসবমুখর কার্যক্রম ছিল দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ। বাংলা স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চারা তাদের অসাধারণ প্রতিভা দেখিয়েছে বাংলা গান, অভিনয়, কবিতা, এবং নাচসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনের মাধ্যমে।
গ্রীষ্মের রৌদ্রছায়া মাখা দিনটিতে কিংস পার্কে জমে উঠেছিল বাঙালির প্রাণের মেলা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব মনিরুজ্জামান সকলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং তার বিশেষ ভাষণে বাংলাদেশী সংস্কৃতি এই বিদেশ বিভুয়ে ধরে রাখার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
তবে এই আয়োজনের এক বিশেষ দিক ছিল প্রবীণ সদস্যদের জন্য শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় কমিউনিটির অভিজ্ঞ ও বর্ষীয়ান সদস্যদের, এবং তাদের মঞ্চে আহ্বান করা হয় ভবিষ্যতের সিবিএ নিয়ে নিজেদের ভাবনা ও প্রত্যাশার কথা বলার জন্য।
একজন সিনিয়র সদস্য মঞ্চে উঠে আবেগভরে বলেন, “আমাদের সময় কাটানোর মতো কিছু আয়োজনের বড় অভাব। ভবিষ্যতে যদি সিবিএ প্রবীণদেরকে নিয়ে কিছু আয়োজন করে, যেখানে আমরা সপ্তাহে এক-দু’দিন একত্রিত হতে পারি আড্ডা দিতে, গল্প করতে, কিছু বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে — তাহলে আমাদের অবসর জীবনটা আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।’
প্রধান অতিথি জনাব মনিরুজ্জামান বয়স্ক এবং সর্বস্তরের মানুষের জন্য বাংলা সেন্টার তৈরির ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা আশ্বাস প্রদান করেন।
এই অভিভাষণগুলো যেন শুধু প্রস্তাব নয়, ছিল আন্তরিকতার ছোঁয়ায় গড়া একটি প্রজন্মের স্বপ্ন, যারা আজীবন এই সমাজকে কিছু না কিছু দিয়ে গেছেন। এমন ভাবনাগুলি নতুন প্রজন্মের জন্য এক ধরনের দিকনির্দেশনা — বাঙালিয়ানা ধরে রেখে ভবিষ্যতের সংগঠনকে আরও মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে গড়ে তোলার অঙ্গীকার।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিবিএর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ
আব্দুল বাতেন (অ্যাক্টিং প্রেসিডেন্ট), হাবিবুর রহমান (সাধারণ সম্পাদক), জাফরুল হাসান শুভ (ক্রীড়া সম্পাদক), প্রজেশ কুমার (সাংস্কৃতিক সম্পাদক), তাসনুভা সাদেক খান (মিডিয়া ও যোগাযোগ সম্পাদক), ফাহিম ফয়সাল (সহকারী সাংস্কৃতিক সম্পাদক), এবং আশফিয়া প্রমিতি (সহকারী সাংস্কৃতিক সম্পাদক), পাবেল ইসলাম (সহকারী ক্রীড়া সম্পাদক) ও তাহের শাহজাহান (সহকারী ক্রীড়া সম্পাদক)।
নববর্ষের আনন্দ যেন শুধু একদিনের উৎসবে সীমাবদ্ধ না থেকে, সারা বছরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আমাদের প্রবাসজীবনের প্রতিটি প্রান্তে।
এমআর/সব