রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ততটা উপচে পড়া ভীড় ছিল না। যেমন ভীড় ছিল গত মার্চে হামজা চৌধুরীর প্রথম সংবাদ সম্মেলন। এমনকি ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের সংবাদ সম্মেলনের চেয়েও ভীড় কম ছিল আজ।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই এলেন সিঙ্গাপুরের কোচ সুতমু ওগুরা ও ফুটবলার আমিরুল আদিল। পরের ধাপে এলেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ১০ জুন খেলবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। ভারতের সঙ্গে ড্রয়ের পর এবার বাংলাদেশের চোখ পুরো ৩ পয়েন্টে।
বিশেষ করে হামজা চৌধুরী, ফাহমিদুল ইসলাম ও শমিত সোমদের দলে যোগ দেওয়ার পর বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস যেন বেড়েছে। এই সংবাদ সম্মেলনে নানা রকমের প্রশ্ন এসেছে। সেই প্রশ্নোত্তরের চুম্বক অংশগুলো তুলে ধরা হলো-
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে প্রস্তুতি প্রসঙ্গে
শুভ দুপুর। আমাদের প্রস্তুতি ভালোই হয়েছে। যদিও অল্প সময় প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু ফুটবলারা অনুশীলেন মনোযোগ দিয়েছে বেশি। ওরা সবাই কঠিন পরিশ্রম করেছে। কারণ এই ম্যাচ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে আমরা ভুটানের সঙ্গে একটা প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলেছি। ওই ম্যাচে জয়ের কারণে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। শেষ পর্যন্ত বড় ম্যাচ চলে এসেছে। চ্যালেঞ্জের জন্য আমরা প্রস্তুত।”

জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী
এটা একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। সিঙ্গাপুরও ৩ পয়েন্ট নিতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ গ্রুপের টপ টিম কোয়ালিফাই করবে। তাই এই ম্যাচে সবাই মনেোযোগী। যে কারোর সঙ্গেই ভালো ফুটবল খেলতে হবে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, আমরা জিতব।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য লড়াই কিনা
আবারও বলছি প্রস্তুতি ভালো। গেম প্ল্যানও ভালো আমাদের। তবে আমাদের ফুটবলের লেভেলটা আরও উন্নতি করতে হবে। সেই চেষ্টা করছি। ভারতের সঙ্গে আমরা যেমন ভয়ডরহীন ফুটবল খেলেছি সেটা খেলব। আমাদের অবশ্যই সেরাটা খেলতে হবে। অন্য কোনও বিকল্প নেই। কাল আশা করি ভালো খেলব। আমাদের ৩ পয়েন্ট পেতেই হবে।
শমিত সোম কতটা প্রস্তুত
আমি অনুশীলনের পর ২৩ জন চূড়ান্ত করেছি। শমিত আমাদের সঙ্গে ভালোই মানিয়ে নিয়েছে। ট্যাকটিকস, টেকনিক সব কিছুতে সবার সঙ্গে মিলেছে। প্রথমবার এসেই সে দলে যে প্রভাব রাখছে সেটা খুব ভালো। অন্যদের সঙ্গে ওর বোঝাপড়া ভালো। তাছাড়া অনেকবার আলাদা আলাদা মিটিং করেছি ওর সঙ্গে। খুব ইতিবাচক ফুটবলার।

মালদ্বীপ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ প্রসঙ্গে
ওই ম্যাচ দেখেছি। আমাদের সামর্থ্য আছে আক্রমণভাগে ভালো করা। মাঝমাঠও ভালো। ভালো ট্রেনিং হয়েছে। আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলব। দলে যারা আছে ওদের যে কোয়ালিটি আছে সেটায় আস্থা আছে। আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে এটা সত্যি সিঙ্গাপুর অবশ্যই কঠিন দল।
এই ম্যাচে হারলে কি চাকরি হারানোর ভয় আছে
(হাসি) আমার বাফুফের সঙ্গে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চুক্তি আছে। তাই এসব নিয়ে ভাবছি না।






















