১১:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হামজা নন, পুরো বাংলাদেশই ভালো খেলছে বললেন সিঙ্গাপুর কোচ

সংবাদ সম্মেলনে বেশ আত্মবিশ্বাসী লাগছিল সিঙ্গাপুরের কোচ সুতোম ওগুরাকে। মাত্র দেড় বছর হলো সিঙ্গাপুরের দায়িত্ব নিয়েছেন। এরই মধ্যে সিঙ্গাপুরকে স্বপ্ন দেখানো শুরু করেছেন প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে নেওয়ার।
বাংলাদেশ দলে প্রবাসী ফুটবলারের ভীড়। হামজা চৌধুরীর হাত ধরে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবল। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও ভালো জামাল ভূঁইয়াদের। কিন্তু শুধু হামজা নন, পুরো বাংলাদেশ দলই যে ভালো ফুটবলা উপহার দিচ্ছে সেটাই বললেন সিঙ্গাপুরের কোচ। এই দলের সঙ্গে লড়াইটা জমজমাট হবে বলে মনে করেন তিনি।
গত মার্চে হংকংয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল সিঙ্গাপুর। কিন্তু এত কিছুর পরও ১০ জুন মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ পয়েন্টে চোখ সিঙ্গাপুরের কোচের।
বাংলাদেশকে সমীহ করেই বললেন, “ বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো দল। আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে উপভোগ করব ম্যাচটা।”

এ পর্যন্ত চারবারের দেখায় দুবার জিতেছে সিঙ্গাপুর। একবার জয় বাংলাদেশের। একবার ড্র হয়েছে। যদিও ২০১৫ সালে সর্বশেষ দেখায় বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ২-১ গোলে। তবে এসব অতীত। শুধু বুধবারের ম্যাচে মনোযাগ ওগুরার, “আমি জানি না ১০ বছর আগে কি ফল ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে। দেড় বছর হলো আমি সিঙ্গাপুরের দায়িত্ব নিয়েছি। এই দলের হারুন ১০ বছর আগে খেলেছে। ওর মনে হয় বাংলাদেশের কথা মনে আছে। আমি আবারও সমীহ করছি বাংলাদেশের ফুটবকে। কারণ এই দেশের মানুষের ফুটবলের প্রতি আবেগ অনেক। তাছাড়া এটা হোম গেম। প্রচুর দর্শক আসবে। আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না। আশা করি উপভোগ করব ম্যাচটা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।”
নতুন বাংলাদেশে কাবরেরার অস্ত্র প্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরী। যদিও হামজা বা অন্য কোনও প্রবাসী ফুটবলার নিয়ে উদ্বিগ্ন নন তিনি, “আমি জানি না পুরোপুরি যে এই দলে কারা খেলছে। আমি শুধু জানি নতুন কিছু ফুটবলার এসেছে। শুধু হামজা নয়। ইতালিয়ান, কানাডিয়ান অনেক ফুটবলার বিদেশ থেকে এসেছে। এটা অবশ্যই বাংলাদেশের ফুটবলকে সাহায্য করবে। কিন্তু ওরা যেহেতু ভিন্ন সংস্কৃতি ও পরিবেশ থেকে এসেছে এখানে মানিয়ে নিয়েছে। ওরা আসায় স্থানীয় ফুটবলাররাও এতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।”
হংকংয়ের সঙ্গে ড্র করলেও সেসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না কোচ। তিনি শুধু বাংলাদেশের ম্যাচে মনোযোগ দিচ্ছেন, “গ্রুপের যা অবস্থা সবার সুযোগ আছে। আমরাও যেতে চাই পরের রাউন্ডে। কিন্তু এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। আমার জন্য প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে প্রত্যেক প্রতিপক্ষই সমান। তবে এখন আমার সব নজর আগামীকালের বাংলাদেশ ম্যাচে।”
মালদ্বীপের বিপক্ষে ৫ জুন প্রস্তুতি ম্যাচে ৩০ মিনিটে ৩ গোল দিয়েছিল সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশের বিপক্ষেও কি তেমন লক্ষ্য থাকবে? আর ঘরের মাঠের দর্শকের সামনে কি চাপে থাকবে সিঙ্গাপুর।
এমন প্রশ্নের জবাবে কোচ বলেন, “আমি জানি না প্রথম না শেষ মিনিট বিপদজনক। বাংলাদেশ কিভাবে খেলবে সেটাও জানিনা। যদিও এখানে সমর্থকের চাপ থাকবে। কিন্তু আমাদের দর্শকের সামনে খেলার এমন অনেক অভিজ্ঞতা আছে। মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দলের বিপক্ষে দেশের বাইরে খেলেছি। সেখানে যেমন খেলেছি ঢাকাতেও তেমনি স্বাভাবিক খেলাটাই খেলবে ছেলেরা।”
মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বড় ব্যবধানে জেতার পরও নিজেদের কাজ শেষ হয়নি মনে করেন কোচ। তিনি বলেন , “আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাংলাদেশ দলকে সমীহ করা। কিন্তু আমরা সমীহ না চ্যালেঞ্জ করছি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটা বিষয় হলো আমাদের সব মনোযোগ কত মিনিট আমরা নিজেদের ফুটবলটা খেলতে পারব।”
রশিদ হারুনদের মতো অভিজ্ঞরা ছাড়াও বেশ কিছু তরুণ ফুটবলার আছে সিঙ্গাপুর দলে। কোচ সবাইকে নিয়ে একটা দুর্দান্ত দল হয়ে খেলাতে চান সিঙ্গাপুরকে, “ হারুণ ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও একই সঙ্গে এই দলের ফুটবলার। ওর মতো কিছু অভিজ্ঞ ফুটবলার সহযোগিতা করছে আমাদের। আমাদের ফুটবলাররা অন্যরকম। কিছু বিদেশি ফুটবলার ও স্থানীয়রা মিলে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নিশিপে খেলছে। এখানে নতুন প্রজন্ম ও অভিজ্ঞরা এক সঙ্গে খেলছে। এটা দলের জন্য ভালো রসায়ন।”
হামজা কি সিঙ্গাপুরের জন্য হুমকি হবে কিনা? ওগুরা অবশ্য শুধু হামজা নন সব ফুটবলারকে সমান চোখে দেখছেন, “আমি কিছু ম্যাচ দেখেছি বাংলাদেশের। ভারতের সঙ্গে ড্র করেছে ওরা। এটা শুধু হামজার একার বিষয় না। পুরো দলই ভালো খেলছে। আমি মনে করি এটা হতে পারে কঠিন ও প্রতিদ্বিন্দিতাপূর্ণ ম্যাচ। আমাদের যারা খেলছে ওরা এশিয়া ও সিঙ্গাপুর লিগে ভালো করছে। এখানে খুব ভালো ফুটবলার আছে। বাংলাদেশেও ভালো খেলোয়াড় আছে। আশা করি আগামীকাল লড়াইটা ভালোই হবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

হামজা নন, পুরো বাংলাদেশই ভালো খেলছে বললেন সিঙ্গাপুর কোচ

আপডেট সময় : ০৫:৫২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫

সংবাদ সম্মেলনে বেশ আত্মবিশ্বাসী লাগছিল সিঙ্গাপুরের কোচ সুতোম ওগুরাকে। মাত্র দেড় বছর হলো সিঙ্গাপুরের দায়িত্ব নিয়েছেন। এরই মধ্যে সিঙ্গাপুরকে স্বপ্ন দেখানো শুরু করেছেন প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে নেওয়ার।
বাংলাদেশ দলে প্রবাসী ফুটবলারের ভীড়। হামজা চৌধুরীর হাত ধরে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবল। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও ভালো জামাল ভূঁইয়াদের। কিন্তু শুধু হামজা নন, পুরো বাংলাদেশ দলই যে ভালো ফুটবলা উপহার দিচ্ছে সেটাই বললেন সিঙ্গাপুরের কোচ। এই দলের সঙ্গে লড়াইটা জমজমাট হবে বলে মনে করেন তিনি।
গত মার্চে হংকংয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল সিঙ্গাপুর। কিন্তু এত কিছুর পরও ১০ জুন মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ পয়েন্টে চোখ সিঙ্গাপুরের কোচের।
বাংলাদেশকে সমীহ করেই বললেন, “ বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো দল। আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে উপভোগ করব ম্যাচটা।”

এ পর্যন্ত চারবারের দেখায় দুবার জিতেছে সিঙ্গাপুর। একবার জয় বাংলাদেশের। একবার ড্র হয়েছে। যদিও ২০১৫ সালে সর্বশেষ দেখায় বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ২-১ গোলে। তবে এসব অতীত। শুধু বুধবারের ম্যাচে মনোযাগ ওগুরার, “আমি জানি না ১০ বছর আগে কি ফল ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে। দেড় বছর হলো আমি সিঙ্গাপুরের দায়িত্ব নিয়েছি। এই দলের হারুন ১০ বছর আগে খেলেছে। ওর মনে হয় বাংলাদেশের কথা মনে আছে। আমি আবারও সমীহ করছি বাংলাদেশের ফুটবকে। কারণ এই দেশের মানুষের ফুটবলের প্রতি আবেগ অনেক। তাছাড়া এটা হোম গেম। প্রচুর দর্শক আসবে। আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না। আশা করি উপভোগ করব ম্যাচটা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।”
নতুন বাংলাদেশে কাবরেরার অস্ত্র প্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরী। যদিও হামজা বা অন্য কোনও প্রবাসী ফুটবলার নিয়ে উদ্বিগ্ন নন তিনি, “আমি জানি না পুরোপুরি যে এই দলে কারা খেলছে। আমি শুধু জানি নতুন কিছু ফুটবলার এসেছে। শুধু হামজা নয়। ইতালিয়ান, কানাডিয়ান অনেক ফুটবলার বিদেশ থেকে এসেছে। এটা অবশ্যই বাংলাদেশের ফুটবলকে সাহায্য করবে। কিন্তু ওরা যেহেতু ভিন্ন সংস্কৃতি ও পরিবেশ থেকে এসেছে এখানে মানিয়ে নিয়েছে। ওরা আসায় স্থানীয় ফুটবলাররাও এতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।”
হংকংয়ের সঙ্গে ড্র করলেও সেসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না কোচ। তিনি শুধু বাংলাদেশের ম্যাচে মনোযোগ দিচ্ছেন, “গ্রুপের যা অবস্থা সবার সুযোগ আছে। আমরাও যেতে চাই পরের রাউন্ডে। কিন্তু এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। আমার জন্য প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে প্রত্যেক প্রতিপক্ষই সমান। তবে এখন আমার সব নজর আগামীকালের বাংলাদেশ ম্যাচে।”
মালদ্বীপের বিপক্ষে ৫ জুন প্রস্তুতি ম্যাচে ৩০ মিনিটে ৩ গোল দিয়েছিল সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশের বিপক্ষেও কি তেমন লক্ষ্য থাকবে? আর ঘরের মাঠের দর্শকের সামনে কি চাপে থাকবে সিঙ্গাপুর।
এমন প্রশ্নের জবাবে কোচ বলেন, “আমি জানি না প্রথম না শেষ মিনিট বিপদজনক। বাংলাদেশ কিভাবে খেলবে সেটাও জানিনা। যদিও এখানে সমর্থকের চাপ থাকবে। কিন্তু আমাদের দর্শকের সামনে খেলার এমন অনেক অভিজ্ঞতা আছে। মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দলের বিপক্ষে দেশের বাইরে খেলেছি। সেখানে যেমন খেলেছি ঢাকাতেও তেমনি স্বাভাবিক খেলাটাই খেলবে ছেলেরা।”
মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বড় ব্যবধানে জেতার পরও নিজেদের কাজ শেষ হয়নি মনে করেন কোচ। তিনি বলেন , “আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাংলাদেশ দলকে সমীহ করা। কিন্তু আমরা সমীহ না চ্যালেঞ্জ করছি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটা বিষয় হলো আমাদের সব মনোযোগ কত মিনিট আমরা নিজেদের ফুটবলটা খেলতে পারব।”
রশিদ হারুনদের মতো অভিজ্ঞরা ছাড়াও বেশ কিছু তরুণ ফুটবলার আছে সিঙ্গাপুর দলে। কোচ সবাইকে নিয়ে একটা দুর্দান্ত দল হয়ে খেলাতে চান সিঙ্গাপুরকে, “ হারুণ ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও একই সঙ্গে এই দলের ফুটবলার। ওর মতো কিছু অভিজ্ঞ ফুটবলার সহযোগিতা করছে আমাদের। আমাদের ফুটবলাররা অন্যরকম। কিছু বিদেশি ফুটবলার ও স্থানীয়রা মিলে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নিশিপে খেলছে। এখানে নতুন প্রজন্ম ও অভিজ্ঞরা এক সঙ্গে খেলছে। এটা দলের জন্য ভালো রসায়ন।”
হামজা কি সিঙ্গাপুরের জন্য হুমকি হবে কিনা? ওগুরা অবশ্য শুধু হামজা নন সব ফুটবলারকে সমান চোখে দেখছেন, “আমি কিছু ম্যাচ দেখেছি বাংলাদেশের। ভারতের সঙ্গে ড্র করেছে ওরা। এটা শুধু হামজার একার বিষয় না। পুরো দলই ভালো খেলছে। আমি মনে করি এটা হতে পারে কঠিন ও প্রতিদ্বিন্দিতাপূর্ণ ম্যাচ। আমাদের যারা খেলছে ওরা এশিয়া ও সিঙ্গাপুর লিগে ভালো করছে। এখানে খুব ভালো ফুটবলার আছে। বাংলাদেশেও ভালো খেলোয়াড় আছে। আশা করি আগামীকাল লড়াইটা ভালোই হবে।”