১০:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাবির লাইব্রেরিতে সিলিং ফ্যান পড়ে এক শিক্ষার্থী আহত

জাবি প্রতিনিধি 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে চলন্ত অবস্থায় সিলিং ফ্যান খুলে পড়ে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে লাইব্রেরির দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত আনিসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হলে পাঠানো হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা নিপা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ও পাশের ভাইয়ের মাঝখানে ফ্যানটা পড়েছে। চলন্ত অবস্থায় পড়ায় উনার মাথায় পাখা লেগেছে। অল্পের জন্য আমি নিজে রক্ষা পেয়েছি।
এদিকে এ ঘটনার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন লাইব্রেরিতে পড়তে আসে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা দাবি করে, লাইব্রেরিতে ফ্যান পড়ে দূর্ঘটনা নতুন নয়। লাইব্রেরির লাইট—ফ্যান সবকিছুরই মেইন্টেনেন্স করা প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে এগুলো কতৃর্পক্ষের নজরে আসলেও কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
লাইব্রেরী কতৃর্পক্ষ জানায়, লাইব্রেরি যখন চালু হয়েছিল তখন এই ফ্যানগুলো লাগানো হয়েছিল। এর আগে ২০২০ সালের মার্চে নিচতলায় চলন্ত ফ্যান খসে পড়ে একজনের মাথা ফেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়া গত সপ্তাহেও ফ্যান পড়ে এক কর্মচারীর মুখ কেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে লাইব্রেরি কতৃর্পক্ষ বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রকৌশল অফিসকে এগুলো সংস্কারের জন্য জানালেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ।
এ বিষয়ে লাইব্রেরির ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক শামীম কায়সার বলেন, আমরা যথাযথ কতৃর্পক্ষকে এর আগেও জানিয়েছি। আজকের দূর্ঘটনার পর তারা ৪৮ ঘন্টা সময় চেয়েছে। এই দুইদিন লাইব্রেরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লাইব্রেরির সকল লাইট—ফ্যান পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

জাবির লাইব্রেরিতে সিলিং ফ্যান পড়ে এক শিক্ষার্থী আহত

আপডেট সময় : ০৮:৫২:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
জাবি প্রতিনিধি 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে চলন্ত অবস্থায় সিলিং ফ্যান খুলে পড়ে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে লাইব্রেরির দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত আনিসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হলে পাঠানো হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা নিপা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ও পাশের ভাইয়ের মাঝখানে ফ্যানটা পড়েছে। চলন্ত অবস্থায় পড়ায় উনার মাথায় পাখা লেগেছে। অল্পের জন্য আমি নিজে রক্ষা পেয়েছি।
এদিকে এ ঘটনার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন লাইব্রেরিতে পড়তে আসে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা দাবি করে, লাইব্রেরিতে ফ্যান পড়ে দূর্ঘটনা নতুন নয়। লাইব্রেরির লাইট—ফ্যান সবকিছুরই মেইন্টেনেন্স করা প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে এগুলো কতৃর্পক্ষের নজরে আসলেও কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
লাইব্রেরী কতৃর্পক্ষ জানায়, লাইব্রেরি যখন চালু হয়েছিল তখন এই ফ্যানগুলো লাগানো হয়েছিল। এর আগে ২০২০ সালের মার্চে নিচতলায় চলন্ত ফ্যান খসে পড়ে একজনের মাথা ফেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়া গত সপ্তাহেও ফ্যান পড়ে এক কর্মচারীর মুখ কেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে লাইব্রেরি কতৃর্পক্ষ বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রকৌশল অফিসকে এগুলো সংস্কারের জন্য জানালেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ।
এ বিষয়ে লাইব্রেরির ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক শামীম কায়সার বলেন, আমরা যথাযথ কতৃর্পক্ষকে এর আগেও জানিয়েছি। আজকের দূর্ঘটনার পর তারা ৪৮ ঘন্টা সময় চেয়েছে। এই দুইদিন লাইব্রেরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লাইব্রেরির সকল লাইট—ফ্যান পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছে।