- মব সৃষ্টিসহ নানা অপরাধের মাত্রা রাজধানীতেই বেশি
- সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি জড়াচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তারাও
- গত মে মাসেই ঘটেছে ২৮০৯টি মারাত্মক অপরাধ
- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিবেদনেই ওঠে এসেছে মাঠপর্যায়ের এসব তথ্য
‘দেশের পটপরিবর্তনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। জবাবদিহিতা, যথাযথ আইন প্রয়োগ না হলে এর প্রবণতা বাড়বেই। অপরাধরোধে রাষ্ট্র তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে’
– ড. তৌহিদুল হক, সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি ঘটছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে একের পর এক মব সৃষ্টিসহ ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি, দখল-চাঁদাবাজি এখন নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করলেও ব্যাপক রদবদলে তা যথাযথ কার্যকর হচ্ছে না। অন্তর্র্বর্তী সরকারের বাগাড়ম্বর যেন স্রেফ বুলি আওড়ানোতেই সীমাবদ্ধ। মাঠের বাস্তবতা হলো, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বাড়ছে মারাত্মক সব অপরাধ কর্মকাণ্ড। যার সঙ্গে সন্ত্রাসীরা তো আছেই, জড়িয়ে পড়ছেন খোদ সরকারি কর্মকর্তারাও। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। গত মে মাসেই সারা দেশে ঘটেছে ২ হাজার ৮০৯টি মারাত্মক অপরাধ। এমন তথ্যই ওঠে এসেছে খোদ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিবেদনে। সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হকের মতে, দেশের পটপরিবর্তনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। জবাবদিহিতা, যথাযথ আইন প্রয়োগ না হলে এর প্রবণতা বাড়বেই। অপরাধরোধে রাষ্ট্র তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, ধীরে ধীরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। যেখানে অনিয়ম-অপরাধ ঘটছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা সমন্বয় করে অপরাধরোধে প্রতিনিয়তই কাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১০ জুন বিকেল ৪টার দিকে খিলক্ষেত থানাধীন উত্তর নামাপাড়া বোটঘাট এলাকার ক ২২৮/৬/১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা চাকরিজীবী মোহাম্মদ সহিদুল ইসলামের ফ্ল্যাটে মব সৃষ্টি করে হামলা, মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খিলক্ষেত ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার ডাকাতি মামলার অভিযুক্ত আসামি শিমুলের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে আফজাল হোসেন মুক্তার, খালেক ও ইসমাইলসহ ২০ জন যুবক নিজেদের পুলিশ প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে ফ্ল্যাটে ঢুকে মব সৃষ্টি করে নগদ অর্থ ও অন্যান্য মূল্যবান মালামাল লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, ঘটনার সময় মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রীসহ পরিবার নিয়ে নিজ ফ্ল্যাটে অবস্থান করছিলেন। তখন বাড়ির প্রধান ফটক বন্ধ দেখে পাশের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ টপকে তাদের ছাদ দিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ে ৩-৪ জন যুবক। এক পর্যায়ে তারা তাদের ফ্ল্যাটের কলিং বেল বাজায়। ভেতর থেকে শব্দ পেয়ে পরিচয় জানতে চান তারা। তখন ফ্ল্যাটের সিসিটিভি দেখে অপরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় আবারও পরিচয় জানতে চান। এরপর তারা নিজেদের থানার প্রশাসনের লোক পরিচয় দেন। পরে তারা দরজা খুললে যুবকরা ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন রুম তল্লাশি করতে শুরু করেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের এক আত্মীয়কে ধরে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। এ সময় বাধা দেন গৃহকর্তার স্ত্রী। পরে তারা সিটিটিভিতে দেখতে পান বাড়ির নিচে আরও ১০-১৫ জন লোক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ভবনের ভেতর ও বাইরে পাহাড়া দিচ্ছে। পরে দুর্বৃত্তরা নিজেদের কখনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী আবার কখনো পুলিশ প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে এক রুম থেকে আরেক রুমে ঢুকে বিভিন্ন কক্ষের আসবাবপত্র তছনছ করতে শুরু করেন। ঘটনার একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর প্রাণভয়ে ৫ লাখ টাকা দিতে রাজি হন ভুক্তভোগীর পরিবার। এ সময় ঘর থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা লুটে নেয়। একই সঙ্গে ফ্ল্যাটের ২টি সিসিটিভি ও ডিভিআর খুলে লুটে নিয়ে যায়। এরপর বাকি টাকার জন্য ঘরে থাকা এটিএম কার্ডসহ তাদের গার্ড দিয়ে স্থানীয় একটি বুথে নিয়ে আরও ৫০ হাজার টাকা তুলে নেয়। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক প্রাইম ব্যাংকের বাকি ৪ লাখ টাকার একটি চেক (চেক নম্বর-৪৬০৯৬৮৩) লিখিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে ১০০ টাকা মূল্যমানের পরপর ৩টি সাদা স্ট্যাম্পে পাথর ক্রয় বাবদ পাওনা টাকা উল্লেখ করে জোরপূর্বক সই নিয়ে অন্যান্য মালামাল লুটপাট চালিয়ে সন্ধ্যার আগেই পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় সিসিটিভি ভেঙে ফেলায় কোনো প্রমাণ না থাকায় গৃহকর্ত্রী কৌশলে মোবাইলে ১ মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ ধারণ করেন।
তাতে দেখা গেছে, কালো প্যান্ট কাধ ও কলার লাল এবং নীল রংয়ের টি-শার্ট পরিহিত ও হাতে ঘড়ি চশমা রাখা এক যুবক অপর দু’জনকে তল্লাশির অর্ডার দিয়ে ঘোরাঘুরি শেষে সোফায় বসেন। অপর দু’জনের একজন নিজেকে ইসমাইল বলে পরিচয় দেন। তার পরনে নেভী ব্লু জিন্স প্যান্ট ও এস কালারের টি-শার্ট ও অপরজন ফুলপ্যান্ট ও এস কালারের ফুলহাতা শার্ট পরিহিত এবং চোখে চশমা ও মাথায় টুপি বা কাপড় বাধা ছিল।
ভুক্তভোগী সহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই তারা বিষয়টি খিলক্ষেত থানা পুলিশ ও স্থানীয় পূর্বাচল সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেন। এরপর মধ্যরাতে থানা থেকে পুলিশের এসআই আব্দুল আজিজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে চলে যান। পরদিনও পুলিশের কোনো তৎপরতা না থাকায় বিষয়টি আবারও সেনা ক্যাম্পে জানানো হয়। এরপর খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরাও আমাদের ফোন করে তথ্য নেন। পরবর্তীতে ১১ জুন রাতে পুলিশ তলব করলে আমরা থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই আজিজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযুক্তদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। ভিডিও ক্লিপের সূত্র ধরে গত ১৯ জুন দিবাগত মধ্যরাতে সন্দেহভাজন মব সৃষ্টিকারী আফজাল হোসেন মুক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদেরও ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।
এদিকে গত ১৪ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডে নগদের ডিস্ট্রিবিউটরের একজন প্রতিনিধির কাছ থেকে র্যাব পরিচয়ে ১ কোটি ৮ লাখ ১১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। সশস্ত্র ৬-৭ জন দুর্বৃত্ত কালো মাইক্রোবাসে করে এসে ভুক্তভোগীদের গতিরোধ করে চারটি ব্যাগে থাকা সব টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তিন কর্মচারীকে জিম্মি করে মারধর শেষে তুরাগ থানার ১৭ নম্বর সেক্টরে ফেলে পালিয়ে যায়। উত্তরা পশ্চিম থানায় এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে টনক নড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। পরে ওই ভিডিও ক্লিপের সূত্র ধরে গত ১৮ জুন দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে প্রথমে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাইক্রোবাসের চালক মো. হাসানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যে ঘটনায় জড়িত আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৪ লাখ টাকা এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। পরদিন ১৯ জুন দুপুরে ঢাকার সিএমএম আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ডের আদেন জানান উত্তরা পশ্চিম থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুমন মিয়া। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশীতা ইসলামের আদালত শুনানি শেষে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একই দিন দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা র্যাব ও সেনা থেকে বহিষ্কৃত। তারা র্যাব পরিচয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে গত শুক্রবার (২০ জুন) দিবাগত গভীর রাতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ বাজারের পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার সড়কের পাশে অবস্থিত ইসমাইল হোসেন টুকুর ‘মিশু নীড়’ নামক বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
গৃহকর্ত্রী বিলকিস আরার দাবি, সংঘবদ্ধ ডাকাতরা তাদের মারধর করে হাত-পা বেঁধে একটি কক্ষে আটকে রেখে আলমারি ভেঙে নগদ প্রায় পাঁচ/ছয় লাখ টাকা ও দেড়শ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, তিন লক্ষাধিক টাকার ছয়টি ঘড়ি লুট করেছে। খবর পেয়ে গতকাল শনিবার সকাল সার্কেল এসপি আরিফ হোসেন, আক্কেলপুর থানার ওসি মাসুদ রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এর আগেও ছিনতাইকারীদের অপরাধ সংঘটনের একাধিক ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই সূত্র ধরে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারও করেছে।
অন্তর্র্বর্তী সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আর আর্থিক খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনা। এ লক্ষ্যে গেল কয়েকমাসে কার্যকর উদ্যোগ দেখা গেছে যতটা, তার চেয়ে বেশি শোনা গেছে কর্তাদের বাগাড়ম্বরতা। ফলও হাতেনাতে, প্রতিমাসেই বাড়ছে ছোটো বড় নানা অপরাধ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা হওয়া মাঠ পার্যায়ের তথ্যসহ একটি প্রতিবেদনে ফুটে ওঠেছে সেই ভয়াবহতা।
সরকারি তথ্য বলছে, গেল মে মাসে সারাদেশে সংঘটিত হয়েছে ২ হাজার ৮০৯টি মারাত্মক অপরাধ। যা গেল বছরের তুলনায় অন্তত ৫৬৪ টি বেশি। আর সবচেয়ে বেশি অপরাধ ঘটেছে খোদ রাজধানীতে, ৫৮১টি আপরাধের ঘটনা নিয়ে শীর্ষে ঢাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে চট্টগ্রাম। এসব অপরাধ ঘটেছে মূলত রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার ঘিরে। এর মধ্যে রয়েছে খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, ছিনতাই, চুরি-ডাকাতির মতো ঘটনা। অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেড়েছে খোদ সরকারি কর্মকর্তাদের।
তথ্য বলছে, গেল মে মাসে জমা পড়ে মাঠ প্রশাসনে কর্মরতদের বিরুদ্ধে দুই শতাধিক অভিযোগ। যেখানে গুরুতর অপরাধের সংখ্যা ৪৪টি।
প্রতিবেদনে ওঠে আসে ফৌজদারি মামলার বিষয়টিও। গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় যা বেড়েছে ৩২ হাজারেরও বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক ব্যানার ব্যবহার করে অপরাধে সক্রিয় হয়ে ওঠে চক্রটি। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেমন খারাপ হচ্ছে, তেমনি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বাজার ব্যবস্থাপনা। এর ফলে আরেক দফা বেসামাল হতে পারে নিত্যপণ্যের বাজারও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হকের মতে, দেশের পটপরিবর্তনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। জবাবদিহিতা, যথাযথ আইন প্রয়োগ না হলে অপরাধ প্রবণতা বাড়বেই। অপরাধরোধে রাষ্ট্র তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে।
এদিকে ডিএমপি’র মিডিয়া সেলের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, গত ২০ জুন রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের চার কর্মীকে বিস্ফোরক ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- মো. শুক্কর (১৯), মো. জিহাদ (১৯) রাহিম (১৯) ও সুমন (১৮)।
অপরদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মোট ১ হাজার ৫৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২৯ জন বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং ৫২৭ জন অন্যান্য অপরাধে জড়িত। এ সময় গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে পাঁচটি চাইনিজ রাইফেলের কার্তুজ, একটি ছুরি, একটি লোহার হাতুড়ি, দুইটি দেশীয় অস্ত্র, চারটি মোবাইল ফোন, দুইটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান, একটি ১২ বোর কার্তুজ, তিনটি দা, দুইটি লোহার তৈরি ছোরা, তিনটি থ্রি নট থ্রি রাইফেলের গুলির এমটি কার্টিজ, একটি বার্মিজ চাকু, ৯টি শর্টগানের তাজা গুলি ও চারটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানায়, সারা দেশে অপরাধ দমনে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।























