০৩:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গুতে চলতি বছর ৩২ জনের মৃত্যু

নতুন আক্রান্ত ৩২৯

এডিস মশাবাহী রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত মশাবাহী রোগটিতে মৃতের সংখ্যা ৩২ জনে দাঁড়ালো। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) একজন মারা গেছেন। পাশাপাশি এই সময়ে মশাবাহী রোগটি নিয়ে নতুন করে ৩২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী (১৩৬ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৪ জন ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ৪৩ জন, ঢাকা বিভাগে ৩৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ২১ জন, খুলনা বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ডেঙ্গু নিয়ে ২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে রোববার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু (১৬ জন) হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশালে ৭ জন ছাড়াও চট্টগ্রামে ৪ জন, খুলনায় ২ জন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গুতে একজন করে মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৩৫২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যা চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ ভর্তি। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩৩ জন, খুলনা বিভাগ ১২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৮৯ ডেঙ্গু রোগী। এ নিয়ে চলতি বছরে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৯৮ জন। গত দুই দশকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জুলাইয়ের শেষে কিংবা আগস্টের শুরু থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। তবে এ বছর জুনের শুরুতেই পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। রাজধানীর বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। বাইরে থেকে বেশি আসছে সংকটাপন্ন রোগী। বরিশাল ও বরগুনায় রোগীর বিপরীতে পর্যাপ্ত শয্যা সংকটের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রোগীদের অভিযোগ, স্যালাইন ও ওষুধের সংকট রয়েছে। প্লাটিলেট সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, মশক নিধন কার্যক্রম প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। এ জন্য ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। একা কোনো সংস্থার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ভাইরাসটি প্রতিরোধে জাতীয়ভাবে কর্মসূচি নেওয়া দরকার। তবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

ডেঙ্গুতে চলতি বছর ৩২ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৮:০০:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

এডিস মশাবাহী রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত মশাবাহী রোগটিতে মৃতের সংখ্যা ৩২ জনে দাঁড়ালো। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) একজন মারা গেছেন। পাশাপাশি এই সময়ে মশাবাহী রোগটি নিয়ে নতুন করে ৩২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী (১৩৬ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৪ জন ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ৪৩ জন, ঢাকা বিভাগে ৩৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ২১ জন, খুলনা বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ডেঙ্গু নিয়ে ২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে রোববার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু (১৬ জন) হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশালে ৭ জন ছাড়াও চট্টগ্রামে ৪ জন, খুলনায় ২ জন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গুতে একজন করে মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৩৫২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যা চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ ভর্তি। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩৩ জন, খুলনা বিভাগ ১২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৮৯ ডেঙ্গু রোগী। এ নিয়ে চলতি বছরে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৯৮ জন। গত দুই দশকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জুলাইয়ের শেষে কিংবা আগস্টের শুরু থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। তবে এ বছর জুনের শুরুতেই পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। রাজধানীর বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। বাইরে থেকে বেশি আসছে সংকটাপন্ন রোগী। বরিশাল ও বরগুনায় রোগীর বিপরীতে পর্যাপ্ত শয্যা সংকটের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রোগীদের অভিযোগ, স্যালাইন ও ওষুধের সংকট রয়েছে। প্লাটিলেট সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, মশক নিধন কার্যক্রম প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। এ জন্য ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। একা কোনো সংস্থার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ভাইরাসটি প্রতিরোধে জাতীয়ভাবে কর্মসূচি নেওয়া দরকার। তবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।