- ময়লা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে রেলের জলাশয়ও
- রেলের নিজস্ব জমি ৬১ হাজার ৮৬১ একর
- ব্যবহার হচ্ছে ৩১ হাজার ৫৬৯ একর
- রেলের সম্পত্তি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানে ইজারা দেওয়া ১৪ হাজার ৪৭৩ একর
- অবৈধ দখলে ৩ হাজার ৮৪২ একর
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বাংলাদেশ রেলওয়ের মোট ৬১ হাজার ৮৬১ একর জমি বা সম্পত্তি রয়েছে। এখনো ১১ হাজার ৯৭৭ একর জমি অব্যবহৃত রয়েছে। এসব জমি কোনো কাজে আসছে না। ময়লা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে রেলওয়ের জলাশয়। ভরাট করা রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল আবাসিক-বাণিজ্যিক ভবন, আর্থিক ও ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনেও বদলায় দখলের মহোৎসব। যুগ যুগ ধরে বেদখল হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি। সৈয়দপুরের ইটভাটা ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম জানান, রেলের জমি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় পৌরসভাকে। আমরা বিধি অনুযায়ী পৌরসভার কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছি। এ জন্য প্রতিবছর পৌরসভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স ও নিয়মিত খাজনা দিয়ে আসছি, তাহলে এটা অবৈধ হয় কীভাবে? রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। এরপরও প্রায়ই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে রেলের জমি উদ্ধার করা হচ্ছে। তবে কেউ যদি রেলের জমিতে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করে বসবাস ও ব্যবসা-বাণিজ্য করেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর খালি জায়গায় সোলার এনার্জি (সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র) করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিছু জায়গার জন্য কমার্শিয়াল টেন্ডার দেওয়া হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বাংলাদেশ রেলওয়ের মোট ৬১ হাজার ৮৬১ একর জমি বা ভূ-সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে রেলের প্রয়োজনে ব্যবহার হচ্ছে ৩১ হাজার ৫৬৯ একর জমি। অর্থাৎ মোট জমির ৫১ শতাংশ ব্যবহার করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বৈধভাবে রেলের সম্পত্তি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেওয়া রয়েছে ১৪ হাজার ৪৭৩ একর জমি। এখনো অবৈধভাবে দখলে আছে তিন হাজার ৮৪২ একর। ১১ হাজার ৯৭৭ একর জমি এখনও অব্যবহৃত রয়েছে। এসব জমি কোনো কাজে আসছে না। ময়লা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে রেলওয়ের জলাশয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনের আশপাশে রেলের মোট জমি ৫৮ একর। এর মধ্যে অন্তত ১১ একর জায়গা বেদখল হয়ে গেছে। অবৈধভাবে দখল করা এসব জমি থেকে দখলদাররা মাসে প্রায় কোটি টাকা আয় করছে। আর তেজগাঁও রেলস্টেশনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ভূ-সম্পত্তি থেকে মাসে আয় হয় মোটে দুই লাখ টাকার মতো। ট্রাকস্ট্যান্ড, বস্তি, বহুতল আবাসিক ভবন, ক্লাবের কার্যালয় ও মাঠ, ফলের আড়ত, সবই রয়েছে রেলের জমিতে। রয়েছে মসজিদ, বিদ্যালয়, মাদরাসা ও মন্দির।
আরেকটি ঘটনায় দেখা যায়, ২০০৬ সালে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে রেলের জমি ইজারা দেওয়া হয়। তখন অবশ্য রেলপথ মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে তৈরি হয়নি। ২০১১ সালে এই মন্ত্রণালয়ের যাত্রা শুরু।
২০২২ সালে রেলওয়ের ওই জায়গাকে জলাশয় উল্লেখ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণকাজে বাধা দেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। তারপর আদালতের আদেশে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে জায়গা বুঝে পেতে রেলকে ওই প্রতিষ্ঠান চিঠি দিয়েছে। সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা ওই জায়গায় শিশু পার্ক নির্মাণ করবেন জানিয়ে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে জমি তদারকিতে জোরালো কোনো ব্যবস্থা নেই। ভূমির সঙ্গে আইনসংক্রান্ত বিষয়টি সরাসরি জড়িত। কিন্তু ভূমি ও আইন শাখায় পরিচালক পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা নেই। রেলের জায়গা দখলমুক্ত করার কিছুদিন পরই আবার বেদখল হয়ে যায়।
১৯৮৪ সালের ১২ জুলাই এক আন্ত মন্ত্রণালয় সভায় রেলওয়ে বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়। সেখানে রেলের জমিতে গড়ে ওঠা ১২টি মার্কেটের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পায় তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশন। এসব মার্কেট রেলের ৯.১৯ একর জমির ওপর নির্মিত। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় এসব মার্কেটের মালিকানা-ই যেন আর রেলের হাতে নেই।
রাজধানীর পুরান ঢাকার চাঁনখারপুল থেকে বঙ্গবাজারের দিকে যেতে বাঁদিকে আনন্দবাজার মার্কেট। এই মার্কেট এখন আর সিটি করপোরেশনের দখলেও নেই। এটি বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় স্থানীয় নেতারা দখল করে রেখেছেন। এই মার্কেটটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এখন উদ্ধার করে নতুন করে ইজারা দিতে চায়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের হস্তান্তরিত ১২টি মার্কেটের মধ্যে আনন্দবাজার মার্কেট বাদ দিয়ে ১১টি মার্কেটের ৫.২২ একর ভূমির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।
এদিকে, দেশবিভক্তির পর দেশের বৃহত্তর রেলওয়ে কারখানাকে ঘিরে গোড়াপত্তন ঘটে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের। এ শহরকে বলা হয় ‘রেলের শহর’। এ কারণে জেলায় রেলের জমি বেদখলে থাকার ঘটনা নতুন নয়। বিশেষ করে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময় সৈয়দপুর রেল অঞ্চলে হাতবদল হয়ে দখলদারিত্ব রীতিমতো মচ্ছবে পরিণত হয়েছে। বেহাত হয়েছে শহরে অবস্থিত রেলের প্রায় সাড়ে ৪০০ একর জমি। এর কারণ হিসেবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও রেলের কর্মকর্তাদের অজ্ঞাত কারণে নীরবতাকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা।
দখল হওয়া এসব রেলের জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য বহুতল ভবন। কোনো কোনো স্থানে এসব জমি কৌশলে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তির নামে দিয়ে হরিলুট হয়েছে। দখলের থাবা থেকে বাদ যায়নি কেপিআই অন্তর্ভুক্ত জমিও। রেলের একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশেই হয়েছে সব অপকর্ম। আর স্থানীয় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয়নি।
সবশেষ ২০২২ সালে রেলের ভূমি ব্যবস্থাপনার কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষা প্রতবেদনে সব মিলিয়ে ৪২৭ একর জমি অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাওয়ার তথ্য উঠে আসে। দখল হওয়া এসব জমির মধ্যে ১৫ দশমিক ২১৮৩ একর সিএস, এসএ, আরএস, বিএস জরিপের সময় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে রেকর্ডভুক্ত এবং নামজারি করা হয়েছে। প্রতিবেদন জমা পড়ার তিন বছর পার হলেও এসব জমি সংশোধনের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। এভাবে জমি দখল হয়ে যাওয়ায় শুধু লাইসেন্স ফি বাবদই বার্ষিক দুই কোটি ৫৪ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে রেলের।
সৈয়দপুর রেলওয়ে সূত্র বলছে, সৈয়দপুর শহরে ৮০০ একর ভূ-সম্পত্তির মধ্যে ১৮৭০ সালে ১১০ একর জমিতে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা গড়ে ওঠে। অবশিষ্ট জমির মধ্যে আছে রেলের বিভিন্ন স্থাপনা ও কর্মচারীদের জন্য বসতবাড়ি। অব্যবহৃত জমির মধ্যে ৫৫ একর কৃষি, ২১ দশমিক ৩৮ একর জলাশয়, ১ একর বাণিজ্যিক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছড়া ২৫ দশমিক ৭৫ একর জমি পৌরসভার কাছে আছে। আর স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত রেলের বাদবাকি ৪৩৭ একর জমি বেহাত বা দখল হয়েছে। আর গণঅভ্যুত্থানের পর দখল ও বেহাত হওয়া রেলের জমিতে বহুতল ভবন হয়েছে অর্ধেকেরও বেশি।
জানা যায়, শহরের স্থানীয় ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন রেলওয়ে কোয়ার্টার ও জমি দখল করে ১২টি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন রেলওয়ে খাদ্য গোডাউন ভেঙে চারতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ অফিসের পাশে বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালী দখলদার রাজু। তিনি সম্প্রতি মারা গেছেন। রেলের জায়গায় অবৈধভাবে লায়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন সৈয়দপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি লায়ন নজরুল ইসলাম। তিনিও মারা গেছেন।
ডালমিল সিনেমা রোডে রেলের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন বাবু আলী নামের একজন। ইটভাটা ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম রেলের জলাশয় (ওয়াটার রিজার্ভার) দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জমি অবৈধভাবে দখল করে দখলদাররা ঢাকা ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, পুবালী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ মার্কেট’ নামে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে অর্ধশতাধিক দোকান। রেলওয়ে জেলা পুলিশ ক্লাবের পাশে রেলের জমি দখলে নিয়ে একতা প্রেস ভবনসহ বসতবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১৪০০ বাড়ি বা স্থাপনা থেকে ভাড়া তুলছেন রেলওয়ে কর্মচারী ও ভূমিদস্যুরা। এসব স্থাপনায় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, রেলের জায়গায় রয়েছে দলীয় অফিস ছয়টি, আবাসিক হোটেল ৩৬টি, পাঁচ হাজার অবৈধ দোকান, ১৬টি ব্যাংকসহ ৪৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এতে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলামের ভাষ্য, ১৯৮৫ সালে সৈয়দপুর রেলওয়ে ২৫ দশমিক ৭৫ একর জমি পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করে। চুক্তি অনুযায়ী, জমির মালিকানা রেলের কাছেই থাকার কথা ছিল। কিন্তু পৌরসভাকে দেওয়া ওই ২৫ দশমিক ৭৫ একরের ওপর ভিত্তি করেই রেলওয়ের জমি দিন দিন বেদখল হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সরকারি বিধি অনুযায়ী হাট-বাজার এলাকা ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নিয়ন্ত্রণ করবে। এর ৬০ শতাংশ খাজনা তাদের রাজস্বে যাবে। আর ৪০ শতাংশ রেলওয়েকে দিতে হবে। কিন্তু সৈয়দপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তিন থেকে চার মাস এ নিয়ম মানলেও পরবর্তী সময়ে তারা আর রেলওয়েকে কোনো খাজনা দেয়নি। শুধু তাই নয়, তাদের নিয়ন্ত্রণ এরিয়ার জমির ম্যাপ রেলের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কাছে নেয়নি। একাধিকবার ভূ-সম্পত্তি বিভাগ এরিয়া নির্ধারণ করতে পৌরসভাবে চিঠি দিলেও তারা কর্ণপাত করেননি। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এ সুযোগে পৌরসভা ইচ্ছামতো জমির দখল নিয়ে খাজনা তুলছে। বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন’, যোগ করেন রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম।
রেলওয়ে জলাশয় ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলামের ভাষ্য, জলাশয়টি আবর্জনা দিয়ে ভরাট হয়ে গিয়েছিল। সেখানে রাতের বেলায় মাদকসেবীদের আড্ডা বসতো। এলাকার পরিববেশ নষ্ট হচ্ছিল। তাই পৌরসভার কাছে বরাদ্দ নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছি। এজন্য প্রতিবছর পৌরসভাকে হোল্ডিং ট্যাক্স ও খাজনা দিয়ে আসছি।
আরেক দখলদার আলতাফ হোসেন বলেন, তার প্রতিটি স্থাপনা রেলের হলেও সেগুলো রেল পৌরসভাকে দিয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি বরাদ্দ নিয়েছেন। এর বেশি মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। একই মন্তব্য করেন ঠিকাদার জয়নাল আবেদীন, ব্যবসায়ী সিদ্ধিকুল আলম ও বাবু আলী।
রেলওয়ে পুলিশ সুপারের পাশে জমি দখল নিয়ে প্রেস ব্যবসা করেন দুখু মিয়া ও তার ভাই মোহাম্মদ রিপন। তারা বলেন, রেলের কাছে তারা বরাদ্দ নিয়েছেন। তবে দখলদারদের অনেকেই বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
এসব বিষয়ে সৈয়দপুর পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রথমত-সরকারি জমি ব্যক্তির নামে নামজারি হওয়ার সুযোগ নেই। যদি এ রকম হয়ে থাকে, অভিযোগ পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পৌরসভার বিষয়টি তিনি ভালোভাবে অবগত নন বলে জানান।
এদিকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। এরপরও প্রায়ই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে রেলের জমি উদ্ধার করা হচ্ছে। তবে কেউ যদি রেলের জমিতে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করে বসবাস ও ব্যবসা-বাণিজ্য করেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর খালি জায়গায় সোলার এনার্জি (সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র) করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিছু জায়গার জন্য কমার্শিয়াল টেন্ডার দেওয়া হবে।























