ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বারবাডোজ টেস্টে টিভি আম্পায়ার আড্রিয়ান হোল্ডস্টকের কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ড্যারেন স্যামি। কী প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্তগুলো দেওয়ার হয়েছে সেটা জানার চেষ্টা করছেন ক্যারিবিয়ানদের প্রধান কোচ। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার হোল্ডস্টকের দেওয়া দুটি সিদ্ধান্ত মানতেই পারছেন না স্যামি। দিনের খেলা শেষে ওই সিদ্ধান্তগুলো কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটা পরিষ্কার হতে ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বারবাডোজে বৃহস্পতিবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজেদের বিপক্ষে গেছে বলে মনে করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪৪ রান করা রস্টন চেইসকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রিভিউ নেন সঙ্গে সঙ্গেই, যেটি দেখে মনে হতে পারে, বল লেগেছে তার ব্যাটে।
আল্ট্রা এজ-এ বেশ কিছু রেখা দেখা যায় বটে, তবে পরিষ্কার বোঝা যায়নি। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন টিভি আম্পায়ার। ৪৮ রান করা শেই হোপ আউট হন কিপার অ্যালেক্স কেয়ারির দারুণ ক্যাচে। তবে এক হাতে নেওয়া ক্যাচটি মাটি স্পর্শ করেছিল কি না, সেই সংশয়ের অবকাশ ছিল যথেষ্টই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে দুই ম্যাচে টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন হোল্ডস্টক। আরেকটিতে ছিলেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার। স্যামি বললেন, ওই সিরিজেও হোল্ডস্টকের দায়িত্ব পালন নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না তারা। দিনের খেলা শেষে স্যামি বলেন, সিদ্ধান্তগুলোর স্পষ্টতা খুঁজছেন তিনি। ‘আমরা কেবল (টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের) প্রক্রিয়াটা কি সেটা বোঝার চেষ্টা করছি। কেবল ধারাবাহিকতা আশা করি আমরা। এটাই আমরা চাইতে পারি। কোনো কিছু নিয়ে যখন সন্দেহ থাকে, স্রেফ সার্বিকভাবে ধারাবাহিক থাকুন।’
‘আমি বিষয়টা খেয়াল করেছি, বিশেষ করে এই নির্দিষ্ট আম্পায়ারের ক্ষেত্রে। আমার সঙ্গে ইংল্যান্ড থেকে শুরু হয়েছে এটি৷ খুবই হতাশাজনক। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমি শুধু ধারাবাহিকতা চাই।
আম্পায়ারের ওপর অবিশ্বাস নিয়ে ম্যাচ খেলা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন স্যামি। তাই সবকিছু পরিষ্কার হতে চান তারা। দেখুন, আপনি এমন পরিস্থিতিতে থাকতে চাইবেন না যেখানে একজন আম্পায়ারকে নিয়ে ভাবতে হবে। এই দলের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) বিরুদ্ধে কি কিছু আছে? তবে যখন একের পর এক এমন সিদ্ধান্ত দেখা যায়, তখন প্রশ্নটি উঠে। আমি জানি, তিনি এখানে পুরো সিরিজের জন্য আছেন। মনে সংশয় নিয়ে কেউই টেস্ট ম্যাচ খেলতে চায় না।’ তাই প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে চাইৃ যেন আমরা পরিষ্কার হতে পারি। কারণ, দিন শেষে আম্পায়ারের ওপর অবিশ্বাস নিয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলতে চাইবে না কেউ। আর আমাদের দলটি এমন নয়। তাই, আমরা সিদ্ধান্তগুলোর স্পষ্টতার খোঁজে আছি।’


























