১১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আত্মসমর্পণের পর বন কর্মকর্তা কারাগারে

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী (৫৭)কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (১২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগের স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান এই আদেশ দেন। এর আগে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন।

সুলতানুল আলম বোয়ালখালীর মৃত আজহারুল হক চৌধুরীর ছেলে। বর্তমানে তিনি ফেনী জেলার দাগনভূঞা রেঞ্জে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের পটিয়া রেঞ্জে কাজ করেছেন।

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রনি জানান, “জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগে বন কর্মকর্তা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”

এর আগে আসামি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পেয়ে ছিলেন। কিন্তু জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বুধবার পুনরায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সুলতানুল আলম চৌধুরী ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৪৮ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেছিলেন। এছাড়া ৫১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন ও ভোগদখলে রেখেছেন। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২-এর সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২৫ সালের ১২ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

আত্মসমর্পণের পর বন কর্মকর্তা কারাগারে

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী (৫৭)কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (১২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগের স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান এই আদেশ দেন। এর আগে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন।

সুলতানুল আলম বোয়ালখালীর মৃত আজহারুল হক চৌধুরীর ছেলে। বর্তমানে তিনি ফেনী জেলার দাগনভূঞা রেঞ্জে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের পটিয়া রেঞ্জে কাজ করেছেন।

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রনি জানান, “জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগে বন কর্মকর্তা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”

এর আগে আসামি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পেয়ে ছিলেন। কিন্তু জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বুধবার পুনরায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সুলতানুল আলম চৌধুরী ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৪৮ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেছিলেন। এছাড়া ৫১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন ও ভোগদখলে রেখেছেন। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২-এর সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২৫ সালের ১২ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

এমআর/সবা