সাম্প্রতিক সময়ে ডাবকে কেন্দ্র করে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। মূলত: ডেঙ্গুকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে এ সিন্ডিকেট। সাধারণ মানুষ ডাবের ধারে কাছে যেতে পারছে না। প্রতি পিচ ডাব খুলনা নগরীতে প্রকারভেদে ষাট টাকা থেকে ১শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন কমের কারণেই ডাবের মূল্য বৃদ্ধি, এ যুক্তি বিক্রেতাদের।
জানা গেছে, ডেঙ্গুকে কেন্দ্র করে সর্বত্র ডাব বিক্রির হিড়িক পড়েছে। মূলত: বাগেরহাটের ফকিরহাট, চিতলমারী, রামপাল, খুলনার রূপসা, ডুমুরিয়া, ফুলতলা, তেরখাদা, নড়াইলের কালিয়া থেকে ৫বছর আগে যে পরিমাণ ডাব আমদানি হত এখন আমদানির পরিমাণ এক তৃতীয়াংশ। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে ডাবের চাহিদা বাড়ে। ডেঙ্গু পুঁজি করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ঢাকাতে ডাব পাঠাচ্ছে। তারাই মূলত ডাবের মূল্য নির্ধারণ করে। ঢাকা থেকে তৃর্ণমূল পর্যন্ত একই সিদ্ধান্ত।
খুলনা জজ কোর্ট মোড়ের নিয়মিত ডাব বিক্রেতা রূপসা উপজেলার সিংয়ের চর গ্রামের মোঃ হাফিজুল ইসলাম বলেন, আগে প্রতিদিন দেড় শ’ পিচ বিক্রি হতো। এখন প্রতিদিন ৫০-৬০ পিচ বিক্রি হয়। একই মোড়ের ডাব বিক্রেতা ফরিদা বেগম জানান, ১৫ বছর ধরে ডাব বিক্রি করছি। এখন অস্বাভাবিক দাম। সর্বোচ্চ মূল্য ৯০ টাকা।
রূপসার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা খুচরা ডাব ক্রেতা মো. আরিফুর রহমান মোল্লা বলেন, জাবুসা চৌরাস্তা ও কুদির বটতলা মোড়ে বসে মাঝেমধ্যে ডাব ক্রয় করি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ডাবের দাম অতিরিক্ত বাড়িয়ে দেয়।
রূপসার ঘাটভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ এলাকার ডাব বিক্রেতা মো. বাদশা শেখ বলেন, আমি গাছ থেকে ডাব কিনে এনে পাইকারী ৫৫-৬০ টাকা করে বিক্রি করি। গাছে ফলন কম হওয়ায় অতিরিক্ত ডাবের দাম বেড়েছে। ডেঙ্গু জ্বরের কারণে দাম বাড়েনি।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার দরিমজুরী গ্রামের প্রান্ত বিশ^াস। তিনি পিযুষ বিশ^াসের পুত্র। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। তার স্বজনরা বেদানার পাশাপাশি ডাবও পথ্য হিসেবে দিচ্ছেন। এ হাসপাতালের ১০, ১১ ও ১২ নং বেডকে ডেঙ্গু কর্ণার হিসেবে ঘোষণা করেছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপ-পরিচালক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন তথ্য দিয়েছেন, বটিয়াঘাটা ও ফকিরহাট উপজেলা থেকে ডাবের সরবরাহ কমেছে। তুলনামূলক ভাবে এখানে উৎপাদন কমেছে। এ কারণে প্রতি পিস ডাব ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্যাবের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেনের যুক্তি, ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন জেলার ডাব সেখানে পাঠানোর কারণে চাহিদা বেড়েছে। তুলনামূলকভাবে জেলা ও উপজেলা পর্যায় এখন ডাবের চাহিদা কম।
জেলা সিভিল সার্জন মোঃ সবিজুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু জ¦র উপশমে ডাবের পানি তেমন কোন ভূমিকা রাখে না। তবে ডেঙ্গু জ¦র হলে অন্যান্য ফলের রসের মত ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দেয়া হয়।
রূপসার ঘাটভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ এলাকার ডাব বিক্রেতা মো. বাদশা শেখ বলেন, আমি গাছ থেকে ডাব কিনে এনে পাইকারী ৫৫-৬০ টাকা করে বিক্রি করি। গাছে ফলন কম হওয়ায় অতিরিক্ত ডাবের দাম বেড়েছে। ডেঙ্গু জ্বরের কারণে দাম বাড়েনি।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার দরিমজুরী গ্রামের প্রান্ত বিশ^াস। তিনি পিযুষ বিশ^াসের পুত্র। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। তার স্বজনরা বেদানার পাশাপাশি ডাবও পথ্য হিসেবে দিচ্ছেন। এ হাসপাতালের ১০, ১১ ও ১২ নং বেডকে ডেঙ্গু কর্ণার হিসেবে ঘোষণা করেছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপ-পরিচালক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন তথ্য দিয়েছেন, বটিয়াঘাটা ও ফকিরহাট উপজেলা থেকে ডাবের সরবরাহ কমেছে। তুলনামূলক ভাবে এখানে উৎপাদন কমেছে। এ কারণে প্রতি পিস ডাব ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্যাবের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেনের যুক্তি, ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন জেলার ডাব সেখানে পাঠানোর কারণে চাহিদা বেড়েছে। তুলনামূলকভাবে জেলা ও উপজেলা পর্যায় এখন ডাবের চাহিদা কম।
জেলা সিভিল সার্জন মোঃ সবিজুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু জ¦র উপশমে ডাবের পানি তেমন কোন ভূমিকা রাখে না। তবে ডেঙ্গু জ¦র হলে অন্যান্য ফলের রসের মত ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দেয়া হয়।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ নাজমুল কবিরের যুক্তি, ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে ডাব জরুরী নয়। চিকিৎসকরা তরল খাবার ও শরবত পানের পরামর্শ দেন। রোগীর স্বজনরা ডাবকে প্রাধান্য দিয়েছে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে প্রেসার কমে যেতে পারে। সে জন্যই স্যালাইন বা তরল খাবার এর পরামর্শ দেয়া হয়। এ যুক্তির সাথে একমত পোষণ করেছেন ডাঃ পার্থ ঘোষ।
বিএমএ খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মেহেদী নেওয়াজের ভাষ্য, ডেঙ্গু রোগীর জন্য ডাব বাধ্যতামূলক নয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত সক সিনড্রম খারাপ হয়। পানি বা শরবত পানের পরামর্শ দেয়া হয়। রোগীর স্বজনরা এক্ষেত্রে ডাবকে প্রধান্য দিয়ে আসছেন। ডাবে খনিজ লবন রয়েছে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আবুল ফয়সাল মোহাম্মদ নুরুদ্দীন চৌধুরী এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, ডাবের পানিতে পটাশিয়াম আছে। জ¦রের সময় প্রচণ্ড ঘাম হয়। এতে মাংসপেশীতে খিঁচুনি হয়, ক্রাম্প হয়, রোগী কষ্ট পায়। রোগী যদি সামান্য কলা, ডাব খেতে পারে, তাহলে ওই ঘাটতিটা পূরণ হয়। কিন্তু পরিমিত খেতে হবে। অতিরিক্ত খেলে শরীরে অতিরিক্ত পটাশিয়াম যোগ হবে, অতিরিক্ত কিছুই ভালো না। শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে সোডিয়াম বের হয়ে যায়। তাই এত পরিমাণ পানি আর ঘামের মাধ্যমে বের হওয়া সোডিয়ামের মধ্যে ভারসাম্য থাকে। জ্বর হলে এই ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, তাই রোগীকে সাধারণ স্যালাইন দেওয়া হয়, যাতে ০.৯ শতাংশ সোডিয়াম থাকে। কিন্তু পটাশিয়াম শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে বের হয় না, পায়খানার সঙ্গে অথবা বমিতে কিছুটা বের হয়। সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড শরীরের স্বাভাবিক মেকানিজম নিয়ন্ত্রণ করে। এসব উপাদান বেশি নেওয়া ভালো না, কমও ভালো না। ডাবের পানিতে পটাশিয়াম বেশি, সোডিয়াম কম থাকে। পটাশিয়াম যতটুকু থাকা দরকার তার চেয়ে বেশি হলেই কিডনিতে চাপ পড়ে।
পরামর্শঃ ডেঙ্গু জ্বর থেকে দ্রুত সেরে উঠতে, রোগী অন্যান্য রিহাইড্রেশন পানীয় ছাড়াও বেশি করে ডাবের পানি পান করতে পারেন। কারণ ডাবের পানিতে ৯৫.৫ শতাংশ পর্যন্ত পানি, বাকি ৪ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ২.২-৩.৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ০.৫ মিলিগ্রাম আয়রন আছে। আরও আছে ০.৪ শতাংশ অজৈব পদার্থ, ০.১ শতাংশ প্রোটিন, ০.১ শতাংশ লিপিড, ০.০২ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ০.০১ শতাংশ ফসফরাস, অনেক ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড (আরজিনিন, অ্যালানাইন, সিস্টিন ও সেরিন) ও ভিটামিন বি।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে আপনি নিয়মিত নারকেল পানি পান করতে পারেন এবং প্রতিদিন ৩-৪ বার এক গ্লাস করে ডাবের পানি পান করতে পারেন। এ সময় জ্বরে ভুগলে ও পিপাসা পেলে সাধারণ পানি পরিবর্তে ডাবের পানি পান করা উচিত। তবে খেয়াল রাখবেন ডাবের পানিতে যেন অন্য কিছু যোগ করা না হয়। প্রতিবার তাজা ডাবের পানি পান করারও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
বিএমএ খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মেহেদী নেওয়াজের ভাষ্য, ডেঙ্গু রোগীর জন্য ডাব বাধ্যতামূলক নয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত সক সিনড্রম খারাপ হয়। পানি বা শরবত পানের পরামর্শ দেয়া হয়। রোগীর স্বজনরা এক্ষেত্রে ডাবকে প্রধান্য দিয়ে আসছেন। ডাবে খনিজ লবন রয়েছে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আবুল ফয়সাল মোহাম্মদ নুরুদ্দীন চৌধুরী এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, ডাবের পানিতে পটাশিয়াম আছে। জ¦রের সময় প্রচণ্ড ঘাম হয়। এতে মাংসপেশীতে খিঁচুনি হয়, ক্রাম্প হয়, রোগী কষ্ট পায়। রোগী যদি সামান্য কলা, ডাব খেতে পারে, তাহলে ওই ঘাটতিটা পূরণ হয়। কিন্তু পরিমিত খেতে হবে। অতিরিক্ত খেলে শরীরে অতিরিক্ত পটাশিয়াম যোগ হবে, অতিরিক্ত কিছুই ভালো না। শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে সোডিয়াম বের হয়ে যায়। তাই এত পরিমাণ পানি আর ঘামের মাধ্যমে বের হওয়া সোডিয়ামের মধ্যে ভারসাম্য থাকে। জ্বর হলে এই ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, তাই রোগীকে সাধারণ স্যালাইন দেওয়া হয়, যাতে ০.৯ শতাংশ সোডিয়াম থাকে। কিন্তু পটাশিয়াম শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে বের হয় না, পায়খানার সঙ্গে অথবা বমিতে কিছুটা বের হয়। সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড শরীরের স্বাভাবিক মেকানিজম নিয়ন্ত্রণ করে। এসব উপাদান বেশি নেওয়া ভালো না, কমও ভালো না। ডাবের পানিতে পটাশিয়াম বেশি, সোডিয়াম কম থাকে। পটাশিয়াম যতটুকু থাকা দরকার তার চেয়ে বেশি হলেই কিডনিতে চাপ পড়ে।
পরামর্শঃ ডেঙ্গু জ্বর থেকে দ্রুত সেরে উঠতে, রোগী অন্যান্য রিহাইড্রেশন পানীয় ছাড়াও বেশি করে ডাবের পানি পান করতে পারেন। কারণ ডাবের পানিতে ৯৫.৫ শতাংশ পর্যন্ত পানি, বাকি ৪ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ২.২-৩.৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ০.৫ মিলিগ্রাম আয়রন আছে। আরও আছে ০.৪ শতাংশ অজৈব পদার্থ, ০.১ শতাংশ প্রোটিন, ০.১ শতাংশ লিপিড, ০.০২ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ০.০১ শতাংশ ফসফরাস, অনেক ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড (আরজিনিন, অ্যালানাইন, সিস্টিন ও সেরিন) ও ভিটামিন বি।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে আপনি নিয়মিত নারকেল পানি পান করতে পারেন এবং প্রতিদিন ৩-৪ বার এক গ্লাস করে ডাবের পানি পান করতে পারেন। এ সময় জ্বরে ভুগলে ও পিপাসা পেলে সাধারণ পানি পরিবর্তে ডাবের পানি পান করা উচিত। তবে খেয়াল রাখবেন ডাবের পানিতে যেন অন্য কিছু যোগ করা না হয়। প্রতিবার তাজা ডাবের পানি পান করারও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।


























