ছররা গুলি হয়তো আমাকে সেদিন মেরে ফেলতে পারেনি, কিন্তু প্রতিদিন ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে দিচ্ছে” কথাগুলো বলছিলেন জুলাইয়ে ছররা গুলির নির্মম শিকার তৌহিদুল হক সিয়াম।
শনিবার বিকেল ৩টায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ভার্চুয়াল রুমে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ছররা গুলি নিষিদ্ধ কেন প্রয়োজন’ শীর্ষক সেমিনারে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে সপ্রান (সকল প্রাণের নিরাপত্তা) ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয় (OHCHR)।
ছররা গুলির নির্মম শিকার ও ভুক্তভোগী তৌহিদুল হক সিয়াম তার অভিজ্ঞতার বর্ণনায় বলেন, “ মাঝেমধ্যে মনে হয়—এই যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে সেদিন যদি আমাকে একেবারে গুলি করে মেরেই ফেলা হতো, তাহলে হয়তো ভালো হতো”।

সেমিনারে প্রধান অতিথি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.মো. শওকত আলী আবু সাইদকে স্মরণ করে গণ অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করেন।
সমাপনি বক্তব্যে সপ্রানের রিসার্চ ডিরেক্টর মোঃ জারিফ রহমান রাষ্ট্রের আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন। তিনি ছররা গুলি নিষিদ্ধের পাশাপাশি অস্ত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দাবী দানান।
সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল ২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক ছররা গুলির(Pellet Guns) নির্বিচার ব্যবহারের ভয়াবহতা তুলে ধরা এবং বাংলাদেশে ভিড় বা আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে মারণাস্ত্র হিসেবে ছররা গুলির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবু সাঈদের বোন সুমি খাতুন, ছররা গুলির ভুক্তভোগী তৌহিদুল হক সিয়াম, আর্মি মেডিকেল কলেজ রংপুরের অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুস সামাদ, এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সিফাত রুমানা ,জেন্ডার এন্ড ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ত্বহা হোসাইন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের (OHCHR) হিউম্যান রাইটস অফিসার জাহিদ হোসেন ।
উল্লেখ্য মানবাধিকার দিবসকে কেন্দ্র করে এ সেমিনার আয়োজিত হয়।
এমআর/সবা

























