০১:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চবিতে ওশান স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন পরিদর্শন ও বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্থাপিত ওশান স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন বা ‘স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন ফর মেরিন রিমোট সেন্সিং (এসজিএসএমআরএস)’ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন চবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন এবং চীনের সেকেন্ড ইনস্টিটিউট অব ওশানোগ্রাফি (SIO)-এর পরিচালক প্রফেসর মাও জিহুয়া। পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয় সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের বাংলাদেশ সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন মুন্না, চবি ওশানোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রকৌশলী ও চীনের প্রতিনিধি দল।

দুপুরে চবি উপাচার্য দপ্তরে বাংলাদেশ-চীন যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্টেশনের কাজের অগ্রগতি, পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম, পরিচালনা ও দুই দেশের দায়িত্ব ও ওর্গানোগ্রাম চূড়ান্তকরণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া স্যাটেলাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ, কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণ ও ডাটা আদান-প্রদানের প্রোটোকল নির্ধারণ করা হয়।

যৌথ গবেষণা, দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয়গুলোও বৈঠকে আলোচিত হয়। উপস্থিত ছিলেন চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ওশানোগ্রাফি বিভাগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. এনামুল হক, চীনের প্রকল্প সমন্বয়ক ড. জেং, হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াং দা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

প্রকল্প সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন মুন্না বলেন, চীনের SIO এবং চবি ওশানোগ্রাফি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এ স্টেশন বাংলাদেশের সমুদ্র-প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথ খুলে দেবে। প্রকল্পের মাধ্যমে সমুদ্র গবেষণা, দূরবর্তী রিমোট সেন্সিং, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাইক্লোন ও সুনামি পূর্বাভাস, ব্লু ইকোনমি, শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

উল্লেখ্য, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশে ডাটা প্রসেসিং সেন্টার, ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ, সমুদ্র গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নীতিনির্ধারণ, প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতা এবং আঞ্চলিক নেতৃত্বের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

চবিতে ওশান স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন পরিদর্শন ও বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

আপডেট সময় : ০৬:১৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্থাপিত ওশান স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন বা ‘স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন ফর মেরিন রিমোট সেন্সিং (এসজিএসএমআরএস)’ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন চবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন এবং চীনের সেকেন্ড ইনস্টিটিউট অব ওশানোগ্রাফি (SIO)-এর পরিচালক প্রফেসর মাও জিহুয়া। পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয় সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের বাংলাদেশ সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন মুন্না, চবি ওশানোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রকৌশলী ও চীনের প্রতিনিধি দল।

দুপুরে চবি উপাচার্য দপ্তরে বাংলাদেশ-চীন যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্টেশনের কাজের অগ্রগতি, পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম, পরিচালনা ও দুই দেশের দায়িত্ব ও ওর্গানোগ্রাম চূড়ান্তকরণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া স্যাটেলাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ, কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণ ও ডাটা আদান-প্রদানের প্রোটোকল নির্ধারণ করা হয়।

যৌথ গবেষণা, দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয়গুলোও বৈঠকে আলোচিত হয়। উপস্থিত ছিলেন চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ওশানোগ্রাফি বিভাগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. এনামুল হক, চীনের প্রকল্প সমন্বয়ক ড. জেং, হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াং দা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

প্রকল্প সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন মুন্না বলেন, চীনের SIO এবং চবি ওশানোগ্রাফি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এ স্টেশন বাংলাদেশের সমুদ্র-প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথ খুলে দেবে। প্রকল্পের মাধ্যমে সমুদ্র গবেষণা, দূরবর্তী রিমোট সেন্সিং, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাইক্লোন ও সুনামি পূর্বাভাস, ব্লু ইকোনমি, শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

উল্লেখ্য, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশে ডাটা প্রসেসিং সেন্টার, ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ, সমুদ্র গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নীতিনির্ধারণ, প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতা এবং আঞ্চলিক নেতৃত্বের সুযোগ সৃষ্টি হবে।