সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ছাগলের ভাইরাসজনিত রোগ পিপিআর দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে এ রোগে উপজেলায় ২৫টি ছাগলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ রোগ প্রতিরোধে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কোনো তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে তাড়াশ পৌরসভার খোলাবাড়িয়া মহল্লার লাভলী খাতুনের ২টি, কৃষক ছায়াত আলীর ১টি, তালম ইউনিয়নের সিলট গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ২ টি, সদর ইউনিয়নের বৃ-পাঁচান গ্রামের কৃষক বাবুল হোসেনের ২টি, কৃষক নূরুল ইসলামের ১টি, বুলবুল হোসেনের ১টি, লিটন আলীর ১টি, আব্দুস সালামের ২টিসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ২৫টি ছাগলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মারা যাওয়া ছাগলের বেশির ভাগই উঠতি বয়সি। এতে আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এসব কৃষকরা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জনবল সংকট থাকলেও পিপিআর রোগ নির্মূল ও খুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মাধ্যমে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর উপজেলার প্রায় ৬৫ হাজারের অধিক ছাগল ও ভেড়াকে এ রোগের প্রতিষেধক (টিকা) দেয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ওয়ালী-উল ইসলাম। এ প্রকল্পের অধিনে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে ভলেন্টিয়ার নিয়োজিত আছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, পিপিআর রোগের প্রতিষেধক দেয়ার সময় কিছু বাদ যেতে পারে। তবে আমাদের জানালে সে গুলোকে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করবো।
উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের বেত্রাশিন গ্রামের সাজেদা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমি কয়েক বছর ধরে ছাগল লালন পালন করি। তবে প্রাণী সম্পদ অফিসের কেউ এ রোগের কোন টিকা দেয়নি। উলটো তাদের হাসপাতালে গিয়ে ও ফিরে এসেছি।
উলিপুর গ্রামে পিপিআর রোগে আক্রান্ত ছাগলের মালিক আব্দুল খালেক ও মাঝিড়া গ্রামের রিনি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, এ রোগে আক্রান্ত তাদের ৫ টি ছাগল উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভ্যাটনারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে টিকা আর নাই বলে জানিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় পশু চিকিৎসকদের কাছে গেলে ছাগল প্রতি প্রায় ৫০০ টাকা ওষুদ কিনতে হয়। কিন্তু তাতেও এ রোগ নির্মূল হচ্ছেনা।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, পিপিআর গবাদিপশু ছাগল ও ভেড়ার একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ছাগল ও ভেড়ার নাক-মুখ থেকে তরল নির্গত হতে থাকে ও পাতলা পায়খানা করে। সেই সঙ্গে আক্রান্ত মুখে ঘা দেখা দেয়। এ কারণে খাবার না খেয়ে মাথা নিচু করে থাকে। তবে ঠিকমত চিকিৎসা দেওয়া হলে বাঁচানো সম্ভব।





















