০৮:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লোকসভা নির্বাচন নিষ্কণ্টক নয় মোদির ক্ষমতার পথ : জরিপ

●বিজেপির ইশতেহারে রমরমা গ্যারান্টি

●পশ্চিমবঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস

●বিলোপ হবে মুসলিম পারসেনাল ল-এর অস্তিত্ব

 

 

ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবারও ক্ষমতায় ফিরবেন কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় জরিপ সংস্থা সেন্টার ফর দ্য স্টাডিজ অব ডেভেলপিং সোসাইটিজ। বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহার, যাকে তারা ‘সংকল্পপত্র’ বলছে, তাতে বকেয়া কাজগুলোর কথা শুনিয়ে বলা হয়েছে, দুর্নীতিগ্রস্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার থেকে সরকার পিছু হটবে না। কঠোর সাজা দেওয়া হবে। এটাই মোদির গ্যারান্টি।

জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির দল গেরুয়া শিবির বলে পরিচিত বিজেপির ক্ষমতায় আসা কঠিন হবে। ভারতের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়েই মূলত বিজেপির প্রতি নাখোশ দেশটির জনসাধারণ। নরেন্দ্র মোদি সরকারকে তৃতীয়বার ক্ষমতায় নিয়ে আসার পক্ষে সিংহভাগ ভারতবাসী। জরিপে অংশ নেওয়া ৪৪ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন মোদি আবারও ক্ষমতায় ফিরবেন। তবে ৩৯ শতাংশ মানুষ এ বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় ফেরার বিষয়ে সায় দিয়েছিল দেশের ৪৭ শতাংশ মানুষ। তবে এবার ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের ৩ শতাংশ মানুষের ‘মন উঠে গেছে’ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি সরকারের ওপর থেকে। জরিপে নরেন্দ্র মোদি ২০২৪ সালে আবারও ক্ষমতায় ফিরবেন কি না সে বিষয়ে- ৩৯ শতাংশ মানুষ মনে করছেন তিনি আর ক্ষমতায় ফিরবেন না। ২০১৯ সালে এ সমীক্ষায় নেতিবাচক উত্তর দিয়েছিলেন ৩৪ শতাংশ। এবার সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচ শতাংশ।

এ জরিপে লুকিয়ে আছে আরো একটি সূক্ষ্ম তথ্য, যা গেরুয়া শিবিরের জন্য রীতিমতো উদ্বেগজনক। নরেন্দ্র মোদি সরকারের পক্ষে থাকা জনমত ও বিপক্ষে থাকা জনমতের ব্যবধান অনেকটাই কমেছে। ২০১৯ সালে মোদি সরকারের পক্ষে-বিপক্ষের পার্থক্য ছিল ১৩ শতাংশ, ২০২৪ সালে তা কমে হয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ। অর্থাৎ, বিরোধীদের পক্ষে সমর্থন বেড়েছে। জরিপে ১৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা মোদির ক্ষমতায় ফেরা বা না ফেরা নিয়ে কোনো মতামত দেবেন না, অর্থাৎ ‘নো কমেন্টস’। ভোট সমীক্ষার পরিভাষায় এদের বলা হয় সাইলেন্ট ভোটার। সাধারণত যেকোনো নির্বাচনে এ ভোটারদের ভোটেই জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় অনেকটা, যা বিজেপির জন্য যথেষ্ট চিন্তার।

এদিকে গত রবিবার নয়াদিল্লিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তার ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহার, যাকে তারা ‘সংকল্পপত্র’ বলছে, তাতে বকেয়া কাজগুলোর কথা শুনিয়ে বলা হয়েছে, দুর্নীতিগ্রস্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার থেকে সরকার পিছু হটবে না। কঠোর সাজা দেওয়া হবে। এটাই মোদির গ্যারান্টি। সেসব গ্যারান্টির অন্যতম দেশজুড়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ ও বিজেপির আদি অকৃত্রিম ৩টি প্রতিশ্রুতির ২টি ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে। অযোধ্যা বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে সেখানে রামমন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হতে চলেছে। বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ধুমধামের সঙ্গে। তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি ছিল জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার। সেটাও প্রায় পাঁচ বছর আগে করে দিয়েছে মোদি সরকার। তৃতীয়টি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রচলন। কয়েক বছর ধরে এই বিধি চালু করার কথা বিজেপি বলে আসছে। তাদের শাসিত রাজ্য উত্তরাখন্ডে ইতিমধ্যে ওই-সংক্রান্ত আইনও পাস হয়েছে। সংকল্পপত্রে বিজেপি বলেছে, তৃতীয় মোদি সরকার সারা দেশেই তা চালু করবে। এ বিধি চালুর অর্থ, বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, দত্তক গ্রহণ, সম্পত্তির অধিকারের মতো ক্ষেত্রগুলোয় কোনো ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক রীতিনীতি বা বিধি মানা হবে না।

সর্বত্রই এক আইন প্রযোজ্য হবে। ফলে মুসলিম পারসেনাল ল-এর অস্তিত্ব বিলোপ হবে। অন্যদিকে গত শুক্রবার রাতে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় আরো ২১টি আসনের জনমত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবিপি-সি ভোটার পরিচালিত ওই জনমত জরিপ বলছে, এ আসনগুলোতেও তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ২১টি আসনের মধ্যে ১০টি করে আসনে জিততে পারে বিজেপি ও তৃণমূল। একটি আসন জুটবে কংগ্রেসের থলিতে। এর আগে প্রথম দফায় প্রকাশিত ২১ আসনের জনমত জরিপের ফলাফলেও একই ধরনের আভাস দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস ১০টি করে আসন পেতে পারে। একটি যেতে পারে কংগ্রেসের থলিতে। সব মিলিয়ে জনমত জরিপের আভাস বলছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২০টি করে আসনে জিতবে তৃণমূল ও বিজেপি। আর রাজ্যে কংগ্রেস জিততে পারে মাত্র ২টি আসনে। বাম দলের আসন শূন্যই থাকছে।

২০১৯ সালে সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ২২টি, বিজেপি জিতেছিল ১৮টি আর কংগ্রেস জিতেছিল ২টি আসন। এবারের জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, কার্যত আগেরবারের চেয়ে তৃণমূলের দুইটি আসন কমছে আর বিজেপির ২টি আসন বাড়ছে। তবে সমীক্ষায় এ কথাও বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের ফলাফল নিয়ে একটি জনমত জরিপ চালায় সি-ভোটার। রাজ্যের ১ লাখ ১১ হাজার ২৫৬ জন ভোটারের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সি-ভোটার এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। গত বৃহস্পতিবার ৪২ আসনের অর্ধেক অর্থাৎ ২১ আসনের জনমত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। আর গত শুক্রবার রাতে বাকি ২১ আসনের ফলাফল প্রকাশ হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন দাগনভূঞার কবি কুতুব উদ্দিন

লোকসভা নির্বাচন নিষ্কণ্টক নয় মোদির ক্ষমতার পথ : জরিপ

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

●বিজেপির ইশতেহারে রমরমা গ্যারান্টি

●পশ্চিমবঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস

●বিলোপ হবে মুসলিম পারসেনাল ল-এর অস্তিত্ব

 

 

ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবারও ক্ষমতায় ফিরবেন কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় জরিপ সংস্থা সেন্টার ফর দ্য স্টাডিজ অব ডেভেলপিং সোসাইটিজ। বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহার, যাকে তারা ‘সংকল্পপত্র’ বলছে, তাতে বকেয়া কাজগুলোর কথা শুনিয়ে বলা হয়েছে, দুর্নীতিগ্রস্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার থেকে সরকার পিছু হটবে না। কঠোর সাজা দেওয়া হবে। এটাই মোদির গ্যারান্টি।

জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির দল গেরুয়া শিবির বলে পরিচিত বিজেপির ক্ষমতায় আসা কঠিন হবে। ভারতের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়েই মূলত বিজেপির প্রতি নাখোশ দেশটির জনসাধারণ। নরেন্দ্র মোদি সরকারকে তৃতীয়বার ক্ষমতায় নিয়ে আসার পক্ষে সিংহভাগ ভারতবাসী। জরিপে অংশ নেওয়া ৪৪ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন মোদি আবারও ক্ষমতায় ফিরবেন। তবে ৩৯ শতাংশ মানুষ এ বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় ফেরার বিষয়ে সায় দিয়েছিল দেশের ৪৭ শতাংশ মানুষ। তবে এবার ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের ৩ শতাংশ মানুষের ‘মন উঠে গেছে’ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি সরকারের ওপর থেকে। জরিপে নরেন্দ্র মোদি ২০২৪ সালে আবারও ক্ষমতায় ফিরবেন কি না সে বিষয়ে- ৩৯ শতাংশ মানুষ মনে করছেন তিনি আর ক্ষমতায় ফিরবেন না। ২০১৯ সালে এ সমীক্ষায় নেতিবাচক উত্তর দিয়েছিলেন ৩৪ শতাংশ। এবার সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচ শতাংশ।

এ জরিপে লুকিয়ে আছে আরো একটি সূক্ষ্ম তথ্য, যা গেরুয়া শিবিরের জন্য রীতিমতো উদ্বেগজনক। নরেন্দ্র মোদি সরকারের পক্ষে থাকা জনমত ও বিপক্ষে থাকা জনমতের ব্যবধান অনেকটাই কমেছে। ২০১৯ সালে মোদি সরকারের পক্ষে-বিপক্ষের পার্থক্য ছিল ১৩ শতাংশ, ২০২৪ সালে তা কমে হয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ। অর্থাৎ, বিরোধীদের পক্ষে সমর্থন বেড়েছে। জরিপে ১৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা মোদির ক্ষমতায় ফেরা বা না ফেরা নিয়ে কোনো মতামত দেবেন না, অর্থাৎ ‘নো কমেন্টস’। ভোট সমীক্ষার পরিভাষায় এদের বলা হয় সাইলেন্ট ভোটার। সাধারণত যেকোনো নির্বাচনে এ ভোটারদের ভোটেই জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় অনেকটা, যা বিজেপির জন্য যথেষ্ট চিন্তার।

এদিকে গত রবিবার নয়াদিল্লিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তার ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহার, যাকে তারা ‘সংকল্পপত্র’ বলছে, তাতে বকেয়া কাজগুলোর কথা শুনিয়ে বলা হয়েছে, দুর্নীতিগ্রস্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার থেকে সরকার পিছু হটবে না। কঠোর সাজা দেওয়া হবে। এটাই মোদির গ্যারান্টি। সেসব গ্যারান্টির অন্যতম দেশজুড়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ ও বিজেপির আদি অকৃত্রিম ৩টি প্রতিশ্রুতির ২টি ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে। অযোধ্যা বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে সেখানে রামমন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হতে চলেছে। বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ধুমধামের সঙ্গে। তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি ছিল জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার। সেটাও প্রায় পাঁচ বছর আগে করে দিয়েছে মোদি সরকার। তৃতীয়টি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রচলন। কয়েক বছর ধরে এই বিধি চালু করার কথা বিজেপি বলে আসছে। তাদের শাসিত রাজ্য উত্তরাখন্ডে ইতিমধ্যে ওই-সংক্রান্ত আইনও পাস হয়েছে। সংকল্পপত্রে বিজেপি বলেছে, তৃতীয় মোদি সরকার সারা দেশেই তা চালু করবে। এ বিধি চালুর অর্থ, বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, দত্তক গ্রহণ, সম্পত্তির অধিকারের মতো ক্ষেত্রগুলোয় কোনো ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক রীতিনীতি বা বিধি মানা হবে না।

সর্বত্রই এক আইন প্রযোজ্য হবে। ফলে মুসলিম পারসেনাল ল-এর অস্তিত্ব বিলোপ হবে। অন্যদিকে গত শুক্রবার রাতে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় আরো ২১টি আসনের জনমত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবিপি-সি ভোটার পরিচালিত ওই জনমত জরিপ বলছে, এ আসনগুলোতেও তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ২১টি আসনের মধ্যে ১০টি করে আসনে জিততে পারে বিজেপি ও তৃণমূল। একটি আসন জুটবে কংগ্রেসের থলিতে। এর আগে প্রথম দফায় প্রকাশিত ২১ আসনের জনমত জরিপের ফলাফলেও একই ধরনের আভাস দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস ১০টি করে আসন পেতে পারে। একটি যেতে পারে কংগ্রেসের থলিতে। সব মিলিয়ে জনমত জরিপের আভাস বলছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২০টি করে আসনে জিতবে তৃণমূল ও বিজেপি। আর রাজ্যে কংগ্রেস জিততে পারে মাত্র ২টি আসনে। বাম দলের আসন শূন্যই থাকছে।

২০১৯ সালে সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ২২টি, বিজেপি জিতেছিল ১৮টি আর কংগ্রেস জিতেছিল ২টি আসন। এবারের জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, কার্যত আগেরবারের চেয়ে তৃণমূলের দুইটি আসন কমছে আর বিজেপির ২টি আসন বাড়ছে। তবে সমীক্ষায় এ কথাও বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের ফলাফল নিয়ে একটি জনমত জরিপ চালায় সি-ভোটার। রাজ্যের ১ লাখ ১১ হাজার ২৫৬ জন ভোটারের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সি-ভোটার এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। গত বৃহস্পতিবার ৪২ আসনের অর্ধেক অর্থাৎ ২১ আসনের জনমত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। আর গত শুক্রবার রাতে বাকি ২১ আসনের ফলাফল প্রকাশ হয়।