০৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন

 

পটভূমি এবং প্রেক্ষাপট : এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন জীবাশ্ম জ্বালানির, বিশেষত প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলএনজির প্রকল্পের সম্প্রসারণ এবং অর্থায়নের বিরোধিতা করে। বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পরিবেশের ক্ষতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ, যেগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ইতোমধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, চরম আবহাওয়া এবং জীববৈচিত্র্য ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে একটি ন্যায্য, টেকসই, এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভিত্তিতে উন্নতির দিকে ধাবিত করার দাবি জানানো হবে।

উদ্দেশ্য : বাংলাদেশে গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে এশিয়া ডে অব অ্যাকশন-এর উদ্দেশ্য:

১. সচেতনতা বৃদ্ধি: পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ওপর গ্যাস ও এলএনজির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং অংশীজনদের সচেতন করা।
২. নীতিনির্ধারণে পরিবর্তন আনা: সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং নীতিনির্ধারকদের জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের সম্প্রসারণ বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানানো।
৩. নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রচার: গ্যাসের পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের উপকারিতা তুলে ধরা।
৪. সামাজিক এবং পরিবেশগত ক্ষতি তুলে ধরা: জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর প্রভাব বিশেষত এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকার মানুষের ওপর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি।

নদীতে বিক্ষোভ : বাংলাদেশের আটটি জেলার ১৫টি স্থানে নদীতে বিক্ষোভের আয়োজন করা হবে। বিভিন্ন রঙের ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ডসহ নৌকায় জড়ো হয়ে এই আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উদ্ভূত দূষণ ও পরিবেশগত ক্ষতির প্রতিবাদ জানাবেন। নদীতে এই বিক্ষোভের উদ্দেশ্য জলাশয়, বাস্তুতন্ত্র এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে প্রতিফলিত করা।
সংখ্যা: প্রতিটি স্থানে অন্ততঃ ৫০ জন অংশগ্রহণকারী নৌকায় বিক্ষোভে অংশ নেবেন।
অ্যাকশনের অবস্থান: গ্যাস ও কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এলএনজি টার্মিনালের আশেপাশের নদীতে বিক্ষোভ করা হবে, যাতে দূষণের উৎস সরাসরি নজরে আনা সম্ভব হয়।

মূল স্লোগান এবং দাবি :
“গ্যাস সম্প্রসারণ বন্ধ কর”
“প্রাকৃতিক গ্যাস এবং এলএনজি প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ কর”
“গ্যাস নয়, সমাধান হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি”
“জীবাশ্ম জ্বালানির দ্রুত, ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত ফেজ-আউট”
“কয়লা থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর”

অতিরিক্ত স্লোগানসমূহ :
“জীবাশ্ম গ্যাস পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর”
“জীবাশ্ম গ্যাস মানুষের জন্য বিষাক্ত”
“জীবাশ্ম গ্যাস একটি ব্যয়বহুল জ্বালানি”
“গ্যাসের বিকল্প আছে”
“প্রাচ্যের দেশগুলোতে গ্যাস সম্প্রসারণ করা চলবে না”

জনপ্রিয় সংবাদ

বিচার না হওয়া পর্যন্ত, আমরা রাজপথ ছাড়ব না: জুমা

বাংলাদেশে গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন

আপডেট সময় : ১২:১৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

 

পটভূমি এবং প্রেক্ষাপট : এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন জীবাশ্ম জ্বালানির, বিশেষত প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলএনজির প্রকল্পের সম্প্রসারণ এবং অর্থায়নের বিরোধিতা করে। বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পরিবেশের ক্ষতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ, যেগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ইতোমধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, চরম আবহাওয়া এবং জীববৈচিত্র্য ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে একটি ন্যায্য, টেকসই, এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভিত্তিতে উন্নতির দিকে ধাবিত করার দাবি জানানো হবে।

উদ্দেশ্য : বাংলাদেশে গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে এশিয়া ডে অব অ্যাকশন-এর উদ্দেশ্য:

১. সচেতনতা বৃদ্ধি: পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ওপর গ্যাস ও এলএনজির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং অংশীজনদের সচেতন করা।
২. নীতিনির্ধারণে পরিবর্তন আনা: সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং নীতিনির্ধারকদের জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের সম্প্রসারণ বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানানো।
৩. নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রচার: গ্যাসের পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের উপকারিতা তুলে ধরা।
৪. সামাজিক এবং পরিবেশগত ক্ষতি তুলে ধরা: জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর প্রভাব বিশেষত এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকার মানুষের ওপর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি।

নদীতে বিক্ষোভ : বাংলাদেশের আটটি জেলার ১৫টি স্থানে নদীতে বিক্ষোভের আয়োজন করা হবে। বিভিন্ন রঙের ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ডসহ নৌকায় জড়ো হয়ে এই আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উদ্ভূত দূষণ ও পরিবেশগত ক্ষতির প্রতিবাদ জানাবেন। নদীতে এই বিক্ষোভের উদ্দেশ্য জলাশয়, বাস্তুতন্ত্র এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে প্রতিফলিত করা।
সংখ্যা: প্রতিটি স্থানে অন্ততঃ ৫০ জন অংশগ্রহণকারী নৌকায় বিক্ষোভে অংশ নেবেন।
অ্যাকশনের অবস্থান: গ্যাস ও কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এলএনজি টার্মিনালের আশেপাশের নদীতে বিক্ষোভ করা হবে, যাতে দূষণের উৎস সরাসরি নজরে আনা সম্ভব হয়।

মূল স্লোগান এবং দাবি :
“গ্যাস সম্প্রসারণ বন্ধ কর”
“প্রাকৃতিক গ্যাস এবং এলএনজি প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ কর”
“গ্যাস নয়, সমাধান হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি”
“জীবাশ্ম জ্বালানির দ্রুত, ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত ফেজ-আউট”
“কয়লা থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর”

অতিরিক্ত স্লোগানসমূহ :
“জীবাশ্ম গ্যাস পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর”
“জীবাশ্ম গ্যাস মানুষের জন্য বিষাক্ত”
“জীবাশ্ম গ্যাস একটি ব্যয়বহুল জ্বালানি”
“গ্যাসের বিকল্প আছে”
“প্রাচ্যের দেশগুলোতে গ্যাস সম্প্রসারণ করা চলবে না”