‘অনেক খুশি হয়েছি হ্যাটট্রিক করেছি। সর্বপ্রথম ধন্যবাদ দিই সৃষ্টিকর্তাকে।’
কথাগুলো শান্দি মারডির। বাংলাদেশ অনুর্ধ-২০ জাতীয় নারী ফুটবল দলের ফরোয়ার্ড, যিনি গতকাল ভুটানকে হারানোর পথে একাই করেছেন অনবদ্য এক হ্যাটট্রিক।
সাফ অনুর্ধ-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে টানা ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। আজ বুধবার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ দলের কোন অনুশীলন ছিল না। বাফুফে শান্তির একটি ভিডিও ইন্টারভিউ পাঠিয়েছে গণমাধ্যমে। সেখানে পঞ্চগড়ের এই আদিবাসী তরুণী ফুটবলার জানিয়েছেন তার পরিবারের কথা, ফুটবলে আসার কথা, প্রিয় ফুটবলারের কথা।
শান্তি মারডি নামটা তার বাবা রেখেছেন। দুই ভাই, দুই বোন, বাবা-মা’র পাশাপাশি তার দাদী রয়েছেন। তার বাবা কৃষি কাজ করেন। ভুটানের বিপক্ষে শান্তির বাবা হ্যাটট্রিকটি পুরোপুরি দেখতে পারেননি। ‘বাবা ফোন করছে খেলা দেখছে হাফ টাইমের আগে। পরে আর দেখতে পারেনি। বলছে ভালো খেলছি।’
শান্তি তার এই পর্যায়ে ফুটবলার হওয়ার গল্পটা বললেন এভাবে, ‘আমার ফুটবল শুরু জেলা পর্যায়ে প্রাইমারি লেভেল খেলা দিয়ে। লাইজু স্যার ও বিপুল স্যারের অবদান রয়েছে।’ বাফুফের ক্যাম্পে আসার বিষয়ে বলেন, ‘বিকেএসপিতে একটি টুর্নামেন্ট ছিল। সেখানে অনন্যা ম্যাডাম ও লিটু স্যার ছিলেন সেখান থেকে বাফুফে ক্যাম্পে আসা।’
বাংলাদেশের ফুটবলে এখন সবচেয়ে আলোচিত ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ দলের হ্যাটট্রিক গোলদাতা শান্তি মারডি তার রোল মডেল ঋতুপর্ণা চাকমাকে আখ্যায়িত করেছেন। ঋতুপর্ণার মতো শান্তির ভবিষ্যত লক্ষ্য, ‘অনেক বড় খেলোয়াড় হতে চাই।’
আর সারা বিশ্বের মধ্যে তার প্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসি।
আরকে/সবা


























