১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রেস ব্রিফিং

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর বিষয়ে রবিবার (২০ জুলাই) সকাল ১১:১৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত ব্রিফিং করেছে।

ভাইস চ্যান্সেলরের রুটিন দায়িত্বে থাকা প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী সভাপতিত্বে ভিসি অফিসের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ শাহীনুজ্জামান এবং ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ ওবায়দুল ইসলাম।

বক্তব্যের শুরুতে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. এম. এয়াকুব আলী সাজিদ আব্দুল্লাহকে একজন মেধাবী, সজ্জন ও সংস্কৃতিমনা শিক্ষার্থী হিসেবে স্মরণ করে বলেন, তার অকাল প্রয়াণে বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর শোক বিরাজ করছে। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কোনো গাফিলতি নেই। ভাইস চ্যান্সেলর থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা একজন মেধাবী ছাত্রকে হারিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “নিরাপত্তার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মনে কোনো দ্বিধা বা ভয় থাকা উচিত নয়। সেজন্য আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সাজিদ আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে আন্তরিকভাবে কাজ করছি।”

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দাবিকে যৌক্তিক হিসেবে গ্রহণ করে তাদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান। তিনি জানান, বর্তমানে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। পাশাপাশি একজন হাউস টিউটর ও একজন সহকারী প্রক্টর প্রতিরাতে দায়িত্ব পালন করবেন। ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ও উন্নতশীল পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক সহযোগিতা দরকার এবং সাংবাদিকদেরও সহযোগিতা কামনা করেন।

ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম আর্থিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংকট নেই উল্লেখ করে বলেন, “কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল, যা কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণে হয়েছিল। তবে টাকা অপব্যবহার হয় নি।” তিনি জানান, সাজিদের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই তারা কুষ্টিয়ায় ফিরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ শাহীনুজ্জামান বলেন, ক্যাম্পাসে ইতোমধ্যেই সার্চলাইট এবং স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে এবং গতকাল থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে ক্যাম্পাসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রেস ব্রিফিং

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর বিষয়ে রবিবার (২০ জুলাই) সকাল ১১:১৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত ব্রিফিং করেছে।

ভাইস চ্যান্সেলরের রুটিন দায়িত্বে থাকা প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী সভাপতিত্বে ভিসি অফিসের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ শাহীনুজ্জামান এবং ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ ওবায়দুল ইসলাম।

বক্তব্যের শুরুতে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. এম. এয়াকুব আলী সাজিদ আব্দুল্লাহকে একজন মেধাবী, সজ্জন ও সংস্কৃতিমনা শিক্ষার্থী হিসেবে স্মরণ করে বলেন, তার অকাল প্রয়াণে বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর শোক বিরাজ করছে। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কোনো গাফিলতি নেই। ভাইস চ্যান্সেলর থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা একজন মেধাবী ছাত্রকে হারিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “নিরাপত্তার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মনে কোনো দ্বিধা বা ভয় থাকা উচিত নয়। সেজন্য আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সাজিদ আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে আন্তরিকভাবে কাজ করছি।”

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দাবিকে যৌক্তিক হিসেবে গ্রহণ করে তাদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান। তিনি জানান, বর্তমানে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। পাশাপাশি একজন হাউস টিউটর ও একজন সহকারী প্রক্টর প্রতিরাতে দায়িত্ব পালন করবেন। ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ও উন্নতশীল পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক সহযোগিতা দরকার এবং সাংবাদিকদেরও সহযোগিতা কামনা করেন।

ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম আর্থিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংকট নেই উল্লেখ করে বলেন, “কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল, যা কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণে হয়েছিল। তবে টাকা অপব্যবহার হয় নি।” তিনি জানান, সাজিদের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই তারা কুষ্টিয়ায় ফিরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ শাহীনুজ্জামান বলেন, ক্যাম্পাসে ইতোমধ্যেই সার্চলাইট এবং স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে এবং গতকাল থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে ক্যাম্পাসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে।

এমআর/সবা