সাকিব আল হাসান নাহিদ, জামালপুর
‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করি, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি’ এ প্রতিপাদ্যের আলোকে জামালপুরে
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টায় জামালপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের বকুলতলা চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের প্রধান সড়ক পদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় এসে মিলিত হয়।
জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা পরিষদের পরিষদের সম্মেলন কক্ষে
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোক্তার হোসেনের সভায় সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান।
জামালপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী পরিচালক উজ্জল হালদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন,
জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহরাব হোসেন, জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, জামালপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফজলুল হক, জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি ও উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রোখশাত শাহরীন রুথী, ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রহিমা বেগম, কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহিনুর ইসলাম, লক্ষিরচর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আবু তালেব, শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রফিকুল ইসলাম, তিতপল্লা ইউনিয়নের উদ্যোক্তা আজিজুল হাকিম প্রমুখ।
সভায় জামালপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, ইউপি সচিব, গ্রাম পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধিসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান বলেন,
জন্মমাত্রই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভায় নিবন্ধন করা আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক। জন্মের শুরুতেই শিশুর নাম রাখা আইনগতভাবে এবং জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী শিশুর প্রথম অধিকার। টিকা, স্কুলে ভর্তি থেকে শুরু করে যে কোন সরকারি সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন অবশ্যই লাগবে। পরবর্তীতে জাতীয় পরিচয় পত্র গ্রহণের ক্ষেত্রেও জন্ম নিবন্ধন একান্ত জরুরি। জন্মনিবন্ধন শুধু মানুষের অধিকার নিশ্চত করার ক্ষেত্রেই নয় উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করার ক্ষেত্রে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের মাধ্যমে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। তৃণমূল পর্যায়ে এ ব্যপারে প্রচার, প্রচারণা বৃদ্ধি করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে সেমিনার, কর্মশালা আয়োজন করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।
সকালে শোভাযাত্রা শেষে রঙ্গীন বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করা হয়।























