ঘর গুছিয়ে রাখা সহজ, কিন্তু তা নিয়মিতভাবে গুছিয়ে রাখা—এ যেন এক মহাযুদ্ধ। আর এই বিশৃঙ্খলার সবচেয়ে সাধারণ শিকার হলো কাপড়ের আলমারি। প্রতিদিন ব্যবহারে কাপড় বের করা, ভাঁজ করা বা ঝোলানোতে একসময় সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা। তবে মাত্র ১৫ মিনিটের একটি সাপ্তাহিক রুটিনেই সমস্যার সমাধান হতে পারে, বলছেন পেশাদার সংগঠকরা।
🗓️ ‘সোর্ট ইট আউট সানডে’: এক ছোট রুটিন, বড় ফল
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন ‘সোর্টেড অ্যান্ড স্টাইল্ড’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিলারি ফোর্স্ট এবং জেমি অ্যান্ড্রিয়ু প্রতি সপ্তাহে মাত্র ১৫ মিনিট সময় ব্যয় করেন ‘সোর্ট ইট আউট সানডে’ নামে এক রুটিনে। এতে তারা—

ধোয়া কাপড় গুছিয়ে রাখেন,
ঠিকমতো ঝোলানো হয়নি এমন কাপড় পুনরায় ঝুলিয়ে দেন,
অগোছালো অংশ পর্যালোচনা করেন,
অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলেন।
হিলারি বলেন, “আলমারির যত্ন নিখুঁত হওয়ার প্রয়োজন নেই, প্রতিদিন অল্প একটু যত্নই দীর্ঘমেয়াদে বড় পরিবর্তন আনে।”

🕔 সময় কম? ছোট করে শুরু করুন
যারা অতিরিক্ত ব্যস্ত, তাদের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন ‘সেন্ট লুইস ক্লোজেট কো.’-এর সহ-সভাপতি অ্যাঞ্জেলা ইয়র্ক। তিনি বলেন—
“মাত্র পাঁচ মিনিট পেলেও সপ্তাহে একবার একটা ছোট রিসেট অনেক কাজে আসে।”
তাঁর ছোট রুটিনে থাকে:
পোশাক যথাস্থানে রাখা,
জুতা জোড়া মিলিয়ে ঠিক জায়গায় রাখা,
অগোছালো অংশ গুছিয়ে ফেলা।

🔁 ‘পূর্ণাঙ্গ রিসেট’ কেন জরুরি?
জেমি অ্যান্ড্রিয়ু মনে করেন, আলমারির মূল গঠন ঠিক না থাকলে সেটি গুছিয়ে রাখা অসম্ভব।
একটি পূর্ণাঙ্গ রিসেট মানে হলো:
সবকিছু বের করে অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দেওয়া,
পোশাক বিভাগ অনুযায়ী সাজানো (ঝুলানো, ভাঁজ, জুতা),
এক ধরনের হ্যাঙ্গার ব্যবহার, রঙ অনুযায়ী গুছিয়ে রাখা।

🧺 বাস্তব জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হোক আলমারি
হিলারি বলেন, “তারকাদের মতো নিখুঁত আলমারি বাস্তব জীবনের সঙ্গে খাপ খায় না। বরং আলমারি হওয়া উচিত জীবনযাপনের প্রতিফলন।”
🧦 সহজ টিপস: ঝুড়ি রাখুন, আলাদা ড্রয়ার ব্যবহার করুন
মেরামতযোগ্য, দানের উপযোগী বা ড্রাই ক্লিনিংয়ের কাপড় রাখার জন্য একটি ঝুড়ি বা ক্যানভাস ব্যাগ রাখুন।
অন্তর্বাস, টি-শার্ট বা জিনসের জন্য আলাদা ড্রয়ার বা নরম কাপড়ের আবরণযুক্ত জায়গা রাখুন।
📌 নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তুলুন
পোশাক পরে সঙ্গে সঙ্গে যথাস্থানে রাখা,
জুতা জোড়া করে রাখা,
ড্রেসের জিপার টেনে দেওয়া,
এক্সেসরিজ বাক্সে রাখা—এই ছোট অভ্যাসগুলো রুটিনে পরিণত হলে আলমারি সবসময় থাকবে গুছানো।

🛠️ আলমারির কাঠামোতেই যদি সমস্যা হয়?
তাহলে ভাবতে হবে কাস্টম ক্লোজেট সিস্টেম নিয়ে।
অ্যাঞ্জেলা বলেন, “যদিও নিখুঁত ব্যবস্থা না হলেও চলে, কিন্তু ধারাবাহিকতা থাকাটাই আসল বিষয়।”
যাদের বাজেট কম, তাদের জন্য সহজ কিছু টিপস:
বাড়তি একটি বার লাগানো,
সস্তা জুতা রাখার তাক,
এক ধরনের হ্যাঙ্গার ব্যবহার করা—এই ছোট ছোট পরিবর্তনেও মিলতে পারে বড় সুবিধা।


























