রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিজেকে “শুধু একজন ছাত্রী” হিসেবে পরিচয় দিয়ে রাজনৈতিক পরিচয় থেকে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা ঘোষণা দেওয়া জাহিন বিশ্বাস এশা, এক বছরের ব্যবধানে এখন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
গত বছরের ৪ আগস্ট নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এশা লিখেছিলেন:
“আমি একজন ছাত্রী, কেবলই ছাত্রী। রাজনৈতিক কোনো ছাত্রসংগঠনের সাথে অতীতেও যুক্ত ছিলাম না, বর্তমানেও নেই, ভবিষ্যতেও হবো না ইনশাআল্লাহ।”
কিন্তু ২০২৫ সালে ছাত্রদলের শীর্ষ পদে তাঁর পদোন্নতি নিয়ে ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। ছাত্রদলের একাধিক নেতা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “যারা আন্দোলনে সরাসরি যুক্ত ছিলেন, অনেকেই বাদ পড়েছেন। অথচ রাজনীতি অস্বীকারকারীরা এখন নেতৃত্বে।”
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জাহিন বিশ্বাস এশা বলেন, “আন্দোলনের সময় সবাই সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবেই ছিলাম। দলীয় পরিচয় দিলে তা আন্দোলনের চরিত্রকে বিতর্কিত করে তুলত। তবে আমি আদর্শিকভাবে সবসময় জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারায় বিশ্বাসী ছিলাম। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণদের রাজনীতি প্রয়োজন, এবং নারীদের নেতৃত্বও সময়ের দাবি।”
রাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুলের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এমআর/সবা


























