০১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ৩ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে বেরোবির শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ভালোবাসার করুণ পরিণতি! প্রেমঘটিত কারণে নিজের জীবন কেড়ে নিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক শিক্ষার্থী। জিতু রায় নামের এই ছাত্র নিজ বাসভবনের সামনে আমগাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মর্মান্তিক এই ঘটনার আগে তিনি তার প্রেমিকা ‘স্বপ্নার’ উদ্দেশে ৩ পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখে গেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, “I love you Sopna, মৃত্যুর পরেও তোমাকে ভালোবেসে যাবো।”

২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন জিতু। পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ উপজেলায় তার বাড়ি। তার সুইসাইড নোট থেকে জানা যায়, দীর্ঘ চার বছরের ভালোবাসার সম্পর্কে ইতি টানার হতাশা থেকেই তিনি এমন চরম পথ বেছে নিয়েছেন।

চিঠিতে জিতু রায় তার প্রেমিকা স্বপ্নার সঙ্গে কাটানো ঘনিষ্ঠ মুহূর্তগুলোর কথা উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, নীল সাগর আর ঘাঘটে যা ঘটেছিল তা ভুলার মতো না। তোমার সাথে আমার অনেকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়, যেটা তুমি কখনও অস্বীকার করতে পারবে না। তোমার শেষ কথা ছিল আমাকে ভুলে যাও। কিন্তু আমি তোমাকে ভুলতে পারলাম না।

প্রেমিকার প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জিতু আরও লেখেন, তোমার জন্য আমি অনেক কিছু করেছি। কিন্তু দিনশেষে প্রমাণ করে দিলে তুমি সুখের জন্য আমার জীবনে আসনি। আমার জীবনকে গলা টিপে হত্যা করার জন্য আসছিলে। আজকে আমার মৃত্যুর জন্য তুমিই দায়ী, শুধু তুমি।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ইলিয়াস প্রামাণিক গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের মানসিক সমস্যা সমাধানে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতি বুধবার আমাদের মেডিকেল সেন্টারে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ (সাইকিয়াট্রিস্ট) থাকেন। যারা ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তারা তার কাছে পরামর্শ নিতে পারেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমানও ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য আমরা আরও জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ৩ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে বেরোবির শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

ভালোবাসার করুণ পরিণতি! প্রেমঘটিত কারণে নিজের জীবন কেড়ে নিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক শিক্ষার্থী। জিতু রায় নামের এই ছাত্র নিজ বাসভবনের সামনে আমগাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মর্মান্তিক এই ঘটনার আগে তিনি তার প্রেমিকা ‘স্বপ্নার’ উদ্দেশে ৩ পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখে গেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, “I love you Sopna, মৃত্যুর পরেও তোমাকে ভালোবেসে যাবো।”

২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন জিতু। পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ উপজেলায় তার বাড়ি। তার সুইসাইড নোট থেকে জানা যায়, দীর্ঘ চার বছরের ভালোবাসার সম্পর্কে ইতি টানার হতাশা থেকেই তিনি এমন চরম পথ বেছে নিয়েছেন।

চিঠিতে জিতু রায় তার প্রেমিকা স্বপ্নার সঙ্গে কাটানো ঘনিষ্ঠ মুহূর্তগুলোর কথা উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, নীল সাগর আর ঘাঘটে যা ঘটেছিল তা ভুলার মতো না। তোমার সাথে আমার অনেকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়, যেটা তুমি কখনও অস্বীকার করতে পারবে না। তোমার শেষ কথা ছিল আমাকে ভুলে যাও। কিন্তু আমি তোমাকে ভুলতে পারলাম না।

প্রেমিকার প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জিতু আরও লেখেন, তোমার জন্য আমি অনেক কিছু করেছি। কিন্তু দিনশেষে প্রমাণ করে দিলে তুমি সুখের জন্য আমার জীবনে আসনি। আমার জীবনকে গলা টিপে হত্যা করার জন্য আসছিলে। আজকে আমার মৃত্যুর জন্য তুমিই দায়ী, শুধু তুমি।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ইলিয়াস প্রামাণিক গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের মানসিক সমস্যা সমাধানে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতি বুধবার আমাদের মেডিকেল সেন্টারে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ (সাইকিয়াট্রিস্ট) থাকেন। যারা ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তারা তার কাছে পরামর্শ নিতে পারেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমানও ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য আমরা আরও জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

এমআর/সবা