ময়মনসিংহ জেলা মটর মালিক সমিতির খামখেয়ালি ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের কারণে ঈশ্বরগঞ্জ-ঢাকা রোডে গত দুই দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শত শত যাত্রী।
প্রতিদিন ঈশ্বরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী প্রায় ১৮টি বাস চলাচল করত। রবিবার থেকে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া এই বাস চলাচলের কারণে দৈনিক সাত শতাধিক যাত্রী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
যুক্তিহীন সিদ্ধান্তের জের
জানা যায়, জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আমিন খসরু স্বাক্ষরিত এক অনুমোদনপত্রে গত ১০ আগস্ট থেকে ঢাকা মেট্রো-ব-১২-৪৫৯৫ নম্বর বাসটিকে কেন্দুয়া-ঈশ্বরগঞ্জ-মধুপুর হয়ে ঢাকায় চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু মাত্র তিন দিন পর, ১৪ আগস্ট একই স্বাক্ষরিত আরেক নোটিশে ওই বাসটির অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হয়।
এমন খামখেয়ালি সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় মালিকরা কেন্দুয়া-ঈশ্বরগঞ্জ, আঠারবাড়ি-ঈশ্বরগঞ্জ, উচাখিলা-ঈশ্বরগঞ্জ ও বিশিউড়া-ঈশ্বরগঞ্জ রুটের সব ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ করে দেন।
মালিক ও শ্রমিকদের অসন্তোষ
স্থানীয় বাস মালিকরা জানান, জেলা সমিতির অযৌক্তিক এ ধরনের সিদ্ধান্তে তারা বাধ্য হয়ে ঢাকাগামী বাস বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, সমিতির দ্বৈত সিদ্ধান্তে বন্ধন, হাবিব, তোবা ও স্বপ্ন ছোয়া নামের চারটি বাস কিছু সময় বন্ধ থাকার পর পুনরায় চলাচল শুরু করায় মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
সমিতির বক্তব্য
এ বিষয়ে জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সমিতির মহাসচিব রতন আকন্দ বিষয়টিকে “খুবই দুঃখজনক” উল্লেখ করে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
যাত্রীদের দুর্ভোগ
হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। স্থানীয় বাস কাউন্টারে ভুক্তভোগী হার্টের রোগী ঈসরাফিল খান ও দুর্ঘটনায় আহত শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে সময়মতো ঢাকায় যেতে না পারায় তারা জীবনঝুঁকিতে পড়েছেন।
এমআর/সবা


























