০২:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪ ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচারে আলাদা হলো যমজ জুহি ও রুহি

বাবা মায়ের সঙ্গে যমজ কন্যা জুহি-রুহি

নীলফামারীর জলঢাকার রিকশাচালক পরিবারের দুই যমজ কন্যা জুহি ও রুহিকে সফলভাবে পৃথক করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ঢামেকের শিশু সার্জারি বিভাগের (ইউনিট-২) অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা (শিউলি) এর নেতৃত্বে গত ২৪ জুন চার ঘণ্টাব্যাপী এ জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এতে অংশ নেন প্লাস্টিক সার্জারি, পেডিয়াট্রিক সার্জারি, নিওনেটোলোজি, রেডিওলজি, অর্থোপেডিক, নিউরো সার্জারি ও অ্যানেস্থেসিওলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞরা।

ডা. কানিজ হাসিনা জানান, জন্মের পর থেকে জোড়া লাগা জুহি ও রুহিকে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসার পর পৃথক করা সম্ভব হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর তাদের নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয় এবং বর্তমানে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।

তিনি বলেন, “এটি ছিল দীর্ঘ ও জটিল সার্জারি। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। এই সাফল্যের পেছনে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা রয়েছে।”

যমজদের মা শিরিনা বেগম আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “আমাদের দুই মেয়ে এখন সুস্থ আছে। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ।”

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় তাদের থাকা-খাওয়া, চিকিৎসাসামগ্রী ও অন্যান্য সহায়তা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে।

রিকশাচালকের দুই কন্যার নতুন জীবন কেবল তাদের পরিবারের নয়, বরং চিকিৎসকদের নিবেদন ও মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

৪ ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচারে আলাদা হলো যমজ জুহি ও রুহি

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

নীলফামারীর জলঢাকার রিকশাচালক পরিবারের দুই যমজ কন্যা জুহি ও রুহিকে সফলভাবে পৃথক করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ঢামেকের শিশু সার্জারি বিভাগের (ইউনিট-২) অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা (শিউলি) এর নেতৃত্বে গত ২৪ জুন চার ঘণ্টাব্যাপী এ জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এতে অংশ নেন প্লাস্টিক সার্জারি, পেডিয়াট্রিক সার্জারি, নিওনেটোলোজি, রেডিওলজি, অর্থোপেডিক, নিউরো সার্জারি ও অ্যানেস্থেসিওলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞরা।

ডা. কানিজ হাসিনা জানান, জন্মের পর থেকে জোড়া লাগা জুহি ও রুহিকে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসার পর পৃথক করা সম্ভব হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর তাদের নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয় এবং বর্তমানে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।

তিনি বলেন, “এটি ছিল দীর্ঘ ও জটিল সার্জারি। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। এই সাফল্যের পেছনে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা রয়েছে।”

যমজদের মা শিরিনা বেগম আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “আমাদের দুই মেয়ে এখন সুস্থ আছে। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ।”

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় তাদের থাকা-খাওয়া, চিকিৎসাসামগ্রী ও অন্যান্য সহায়তা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে।

রিকশাচালকের দুই কন্যার নতুন জীবন কেবল তাদের পরিবারের নয়, বরং চিকিৎসকদের নিবেদন ও মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এমআর/সবা