০৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরীয়তপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • 73

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী রাজা মিয়া বেপারী (৩৫) কে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আসামীর উপস্থিতিতে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: সোহেল আহমেদ এ আদেশ প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রাজা মিয়া ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের বকাউল কান্দি গ্রামের ওলি বেপারীর ছেলে। দন্ডাদেশ প্রদানের পর রাজা মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে অভিযুক্ত রাজা মিয়া চাঁদপুর জেলার রাজরাজেশ্বর গ্রামের আব্দুল মালেক বেপারীর মেয়ে কাঞ্চন মালাকে (২৩) বিয়ে করেন। ৭ বছর বিবাহিত জীবনে তাঁদের দুইটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। বিয়ের পর থেকেই রাজা মিয়া কাঞ্চন মালার পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে যৌতুক হিসেবে টাকা দাবি করত। ঘটনার আগে কাঞ্চন মালার পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন রাজা মিয়া। কাঞ্চন মালার পরিবার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ২০২১ সালের ৬ জুন সকালে রাজা মিয়া তাঁর স্ত্রীকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার সময় পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার দিন রাতেই রাজা মিয়াকে স্থানীরা আটক করে পুলিশে সপর্দ করেন।
২০২১ সালের ৯জুন নিহতের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে রাজা মিয়াকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নামে মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে রাজা মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত দীর্ঘ শুনানি ও ২০ জনের সাক্ষ্য—প্রমাণ শেষে রাজা মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ কৌঁসুলি ফিরোজ আহমেদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরই অভিযুক্ত রাজা মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকেই তিনি কারাগারে। রায় ঘোষণার সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ রায়ে সন্তুষ্ট কাঞ্চন মালার পরিবার ও রাষ্ট্র পক্ষ।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মো: শাহ আলম বলেন, এ রায়ে আমার মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার নিশ্চিতে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

জনপ্রিয় সংবাদ

নায়ক রিয়াজের মৃত্যুসংবাদ ফেসবুকে, যা জানাল পরিবার

শরীয়তপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী রাজা মিয়া বেপারী (৩৫) কে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আসামীর উপস্থিতিতে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: সোহেল আহমেদ এ আদেশ প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রাজা মিয়া ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের বকাউল কান্দি গ্রামের ওলি বেপারীর ছেলে। দন্ডাদেশ প্রদানের পর রাজা মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে অভিযুক্ত রাজা মিয়া চাঁদপুর জেলার রাজরাজেশ্বর গ্রামের আব্দুল মালেক বেপারীর মেয়ে কাঞ্চন মালাকে (২৩) বিয়ে করেন। ৭ বছর বিবাহিত জীবনে তাঁদের দুইটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। বিয়ের পর থেকেই রাজা মিয়া কাঞ্চন মালার পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে যৌতুক হিসেবে টাকা দাবি করত। ঘটনার আগে কাঞ্চন মালার পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন রাজা মিয়া। কাঞ্চন মালার পরিবার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ২০২১ সালের ৬ জুন সকালে রাজা মিয়া তাঁর স্ত্রীকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার সময় পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার দিন রাতেই রাজা মিয়াকে স্থানীরা আটক করে পুলিশে সপর্দ করেন।
২০২১ সালের ৯জুন নিহতের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে রাজা মিয়াকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নামে মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে রাজা মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত দীর্ঘ শুনানি ও ২০ জনের সাক্ষ্য—প্রমাণ শেষে রাজা মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ কৌঁসুলি ফিরোজ আহমেদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরই অভিযুক্ত রাজা মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকেই তিনি কারাগারে। রায় ঘোষণার সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ রায়ে সন্তুষ্ট কাঞ্চন মালার পরিবার ও রাষ্ট্র পক্ষ।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মো: শাহ আলম বলেন, এ রায়ে আমার মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার নিশ্চিতে উচ্চ আদালতে আপিল করব।