০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরকীয়া আর ডিভোর্স  বিগত সময়কেও হারিয়ে দিয়েছে। 

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • 177

নেত্রকোণা প্রতিনিধি 

সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। বিশাল পৃথিবী আজ হাতের মুঠোয় কিন্তু হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে অনেক কিছুই। মানুষের বন্ধন, ভালবাসা, আত্মীয়তা সব কিছুই কমে যাচ্ছে। দূরত্ব কমে গেলেও বেড়েছে মনের দূরত্ব। কাছের মানুষ দূরের মানুষকে আপন করছে । মানুষের সখ্যতা ক্ষণিকেই গড়ে ক্ষণিকেই ভাঙে অর্থাৎ দ্রুত মিলল দ্রুতই বিচ্ছেদ। এখন ঘটকের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় না সন্তানের জন্য বিয়ের বর কিংবা কনে খোঁজার। চলছে গার্ল ফ্রেন্ড আর বয় ফ্রেন্ডের নামে ডেটিং ফিটিং এর খেলা। তার পর হতে পারে ফিয়েন্সি অথবা উডবি। অবশেষে হতে পারে ব্রেক আপ। আপ আর ডাউনের তামাশায় বিকৃত মানসিকতার প্রজন্ম হলো নতুন প্রজন্ম। এ আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে মুঠো স্মার্ট ফোন। যাকে প্রবাদের ভাষায় বলে, সন্তার তিন অবস্থা। প্রেম, সংসার ও ছাড়াছাড়ি খুবই দ্রুত।  অন্যদিকে পরোকিয়া হতে পারে বিভিন্ন কারণে। তবে অবিবাহিতদের চেয়ে বিবাহিতদের লাজ লজ্জা কম ফলে অন্য নারী কিংবা পুরুষের দিকে সহজেই আসক্ত হয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। স্বভাব অথবা শারীরিক অক্ষমতাও সংসার ভাঙার কারণ হয়ে ডিভোর্স হতে পারে। এর মধ্যে বেশির ভাগ নারীদের ফ্রি মিক্সিং এর জন্যই বহুগামিতার পথ তৈরি হয় এবং ফলে সংসার জীবন নরকে পরিণত হয়। বিশেষ করে আজকাল শহর গুলোতে এর সংখ্যা বেশি। মোবাইল ফোন এ ক্ষেত্রে এটাকে আরো চাঙা করে তুলেছে। অনেক সময় স্বেচ্ছাচারিতাও এর কারণ হতে পারে। পছন্দ অপছন্দ বিপরীত রুচিবোধের বিরোধ ও হতে পারে। অতি রাগ ও অসহনশীলতাও বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। অতি আদুরে ধনীর দুলালীর হতে পারে আরও অতি বিলাসিতার কারণ। কারো দ্বারা উষ্কানিতে কুবুদ্ধির কারণ ও যুক্ত পারে সংসার ভাঙনে। তবে যাই হোক না কেন, মেনে নেওয়া, ছেড়ে দেওয়া ও ধৈর্য ধারণ হতে পারে সংসার টিকে থাকার মহা তাবিজ। সরকারি বিধিমালায় মেয়েদের ১৮ বছর এবং ছেলেদের ২১বছর লঙ্ঘন করা দাম্পত্য জীবন বেশির ভাগ সংসার কলহে পরিণত হয়,  কর্মহীনতা আর অপরিপক্ক বুদ্ধির জন্য। ২০২১ থেকে ২০২২ এ দ্বিগুণ এটা বাংলাদেশ ব্যুরোর  জরিপ অনুসারে উৎকন্ঠার কারণ। বর্তমান ২০২৩ এ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিভোর্সের স্থূল হার বেড়ে ২০২২ এ প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৪টি ছিল। ২০২১ শে ছিল এ হার প্রতি হাজারে ৩ দশমিক ৭টি। জরিপে দেখানো হয়েছিল গ্রামে ডিভোর্সের সংখ্যা বেশি। বর্তমানে তা শহরের হারটা গ্রামকে হার মানাচ্ছে।

বিষয়টি অত্যন্ত ব্যক্তিগত মানবিক। আইন আছে কিন্তু আইনের অনুশাসনে একে জব্দ করা সম্ভব নয় । এখানে দরকার মানবিক হওয়া, বিনয়ী হওয়া, আচরণে ব্রত হওয়া। আর সেক্ষেত্রে ধর্মীয় মূল্যবোধই পারে নিয়ন্ত্রিত জীবনের সুন্দর ধারা দিতে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

পরকীয়া আর ডিভোর্স  বিগত সময়কেও হারিয়ে দিয়েছে। 

আপডেট সময় : ০৬:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

নেত্রকোণা প্রতিনিধি 

সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। বিশাল পৃথিবী আজ হাতের মুঠোয় কিন্তু হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে অনেক কিছুই। মানুষের বন্ধন, ভালবাসা, আত্মীয়তা সব কিছুই কমে যাচ্ছে। দূরত্ব কমে গেলেও বেড়েছে মনের দূরত্ব। কাছের মানুষ দূরের মানুষকে আপন করছে । মানুষের সখ্যতা ক্ষণিকেই গড়ে ক্ষণিকেই ভাঙে অর্থাৎ দ্রুত মিলল দ্রুতই বিচ্ছেদ। এখন ঘটকের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় না সন্তানের জন্য বিয়ের বর কিংবা কনে খোঁজার। চলছে গার্ল ফ্রেন্ড আর বয় ফ্রেন্ডের নামে ডেটিং ফিটিং এর খেলা। তার পর হতে পারে ফিয়েন্সি অথবা উডবি। অবশেষে হতে পারে ব্রেক আপ। আপ আর ডাউনের তামাশায় বিকৃত মানসিকতার প্রজন্ম হলো নতুন প্রজন্ম। এ আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে মুঠো স্মার্ট ফোন। যাকে প্রবাদের ভাষায় বলে, সন্তার তিন অবস্থা। প্রেম, সংসার ও ছাড়াছাড়ি খুবই দ্রুত।  অন্যদিকে পরোকিয়া হতে পারে বিভিন্ন কারণে। তবে অবিবাহিতদের চেয়ে বিবাহিতদের লাজ লজ্জা কম ফলে অন্য নারী কিংবা পুরুষের দিকে সহজেই আসক্ত হয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। স্বভাব অথবা শারীরিক অক্ষমতাও সংসার ভাঙার কারণ হয়ে ডিভোর্স হতে পারে। এর মধ্যে বেশির ভাগ নারীদের ফ্রি মিক্সিং এর জন্যই বহুগামিতার পথ তৈরি হয় এবং ফলে সংসার জীবন নরকে পরিণত হয়। বিশেষ করে আজকাল শহর গুলোতে এর সংখ্যা বেশি। মোবাইল ফোন এ ক্ষেত্রে এটাকে আরো চাঙা করে তুলেছে। অনেক সময় স্বেচ্ছাচারিতাও এর কারণ হতে পারে। পছন্দ অপছন্দ বিপরীত রুচিবোধের বিরোধ ও হতে পারে। অতি রাগ ও অসহনশীলতাও বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। অতি আদুরে ধনীর দুলালীর হতে পারে আরও অতি বিলাসিতার কারণ। কারো দ্বারা উষ্কানিতে কুবুদ্ধির কারণ ও যুক্ত পারে সংসার ভাঙনে। তবে যাই হোক না কেন, মেনে নেওয়া, ছেড়ে দেওয়া ও ধৈর্য ধারণ হতে পারে সংসার টিকে থাকার মহা তাবিজ। সরকারি বিধিমালায় মেয়েদের ১৮ বছর এবং ছেলেদের ২১বছর লঙ্ঘন করা দাম্পত্য জীবন বেশির ভাগ সংসার কলহে পরিণত হয়,  কর্মহীনতা আর অপরিপক্ক বুদ্ধির জন্য। ২০২১ থেকে ২০২২ এ দ্বিগুণ এটা বাংলাদেশ ব্যুরোর  জরিপ অনুসারে উৎকন্ঠার কারণ। বর্তমান ২০২৩ এ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিভোর্সের স্থূল হার বেড়ে ২০২২ এ প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৪টি ছিল। ২০২১ শে ছিল এ হার প্রতি হাজারে ৩ দশমিক ৭টি। জরিপে দেখানো হয়েছিল গ্রামে ডিভোর্সের সংখ্যা বেশি। বর্তমানে তা শহরের হারটা গ্রামকে হার মানাচ্ছে।

বিষয়টি অত্যন্ত ব্যক্তিগত মানবিক। আইন আছে কিন্তু আইনের অনুশাসনে একে জব্দ করা সম্ভব নয় । এখানে দরকার মানবিক হওয়া, বিনয়ী হওয়া, আচরণে ব্রত হওয়া। আর সেক্ষেত্রে ধর্মীয় মূল্যবোধই পারে নিয়ন্ত্রিত জীবনের সুন্দর ধারা দিতে।