চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) মধ্যরাতে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
রোববার (৩১ আগস্ট) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী মোড়ে এ বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এরপর জেরোপয়েন্টে এসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়- ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘সন্ত্রাসীদের বিচার, করতে হবে-করতে হবে’, ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই মার খায়, প্রশাসন ঘুমায়’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
জেরো পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচিতে তারা প্রশাসনের প্রতি ৪ দফা দাবি জানায়।দাবিগুলো হলো: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রবেশদ্বারে নিরাপত্তা চৌকি বসানো, সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় আনা এবং হানিফ গংকে গ্রেফতার করা।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিবিরের চবি শাখার সাহিত্য সম্পাদক সাঈদ বিন হাবিব বলেন, গতকালের ঘটনায় আমাদের অর্ধশতাধিক ভাই আহত হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ৩০ জনের ওপরে ভর্তি আছে। তাদের মধ্যে ৬ জন গুরুতর আহত। আমরা রাতের মধ্যে আমাদের বোনের গায়ে হাত তোলা দারোয়ানকে গ্রেফতারের দাবি জানাই। কিন্তু প্রশাসন তা করতে পারেনি। আজকের দিনের মধ্যে আমরা আমাদের ওপর আক্রমণ করা সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতারের দাবি জানাই।’
ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার সম্পাদক ইসহাক ভূঁইয়া বলেন, রাতের ঘটনায় ‘আমাদের প্রথম প্রায়োরিটি হলো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা। কিন্তু আমরা দেখেছি প্রশাসন তা নিশ্চিত করতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। গতকালের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি হাটহাজারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও দায়ী করবো।’ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানায় তারা।
উল্লেখ্য, গত মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেইট সংলগ্ন এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক নারী শিক্ষার্থী রাতের বেলায় দেরি করে তার ফ্ল্যাট বাসায় প্রবেশ করলে তাকে মারধর করে বাসার দারোয়ান। এর জেরে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে সংঘর্ষ হয়।


























