০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে ‘কেন্দ্রীয় কমিটি’ গঠন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশে ‘কেন্দ্রীয় কমিটি’ গঠন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালার আলোকে আট সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান পদে আছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। গতকাল রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এ প্রজ্ঞাপনে এ কমিটির কথা জানানো হয়।
এ কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি ও অপারেশন পরিচালককে। কমিটিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় শাখার অতিরিক্ত সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রাজস্ব), উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিনিধি রয়েছে। এর আগে গত ২৮ অগাস্ট রাতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিধিমালায় বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ করার জন্য সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ কমিটি গঠন করবে। ওই কমিটি প্রতিটি উপজেলা বা থানার জন্য আলাদাভাবে প্রার্থীদের মেধাতালিকা তৈরি করবে। বিধিমালার অনুযায়ী, সহকারী শিক্ষকের ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। ৯৩ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী এবং ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বারা পূরণ করা হবে। বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ দেওয়া হবে কোটা থেকে, যার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ১ শতাংশ এবং ১ শতাংশ থাকবে শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য। কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাক্রম অনুযায়ী এসব পদ পূরণ করা হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি থাকা যাবে না। আগের বিধিমালায় না থাকলেও নতুন বিধিমালায় শরীরিক শিক্ষা ও সঙ্গীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন বিধিমালায় শিক্ষক নিয়োগের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ বছর, আগে যা ছিল ৩০ বছর। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় থাকবে ৯০ নম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষায় ১০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় থাকবে ২৫, ইংরেজিতে ২৫, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞানে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞানে (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ২০ নম্বর। উভয় পরীক্ষায় সর্বনিম্ন পাস নম্বর ৫০ শতাংশ।

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে ‘কেন্দ্রীয় কমিটি’ গঠন

আপডেট সময় : ০৭:১৫:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশে ‘কেন্দ্রীয় কমিটি’ গঠন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালার আলোকে আট সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান পদে আছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। গতকাল রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এ প্রজ্ঞাপনে এ কমিটির কথা জানানো হয়।
এ কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি ও অপারেশন পরিচালককে। কমিটিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় শাখার অতিরিক্ত সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রাজস্ব), উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিনিধি রয়েছে। এর আগে গত ২৮ অগাস্ট রাতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিধিমালায় বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ করার জন্য সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ কমিটি গঠন করবে। ওই কমিটি প্রতিটি উপজেলা বা থানার জন্য আলাদাভাবে প্রার্থীদের মেধাতালিকা তৈরি করবে। বিধিমালার অনুযায়ী, সহকারী শিক্ষকের ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। ৯৩ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী এবং ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বারা পূরণ করা হবে। বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ দেওয়া হবে কোটা থেকে, যার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ১ শতাংশ এবং ১ শতাংশ থাকবে শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য। কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাক্রম অনুযায়ী এসব পদ পূরণ করা হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি থাকা যাবে না। আগের বিধিমালায় না থাকলেও নতুন বিধিমালায় শরীরিক শিক্ষা ও সঙ্গীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন বিধিমালায় শিক্ষক নিয়োগের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ বছর, আগে যা ছিল ৩০ বছর। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় থাকবে ৯০ নম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষায় ১০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় থাকবে ২৫, ইংরেজিতে ২৫, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞানে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞানে (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ২০ নম্বর। উভয় পরীক্ষায় সর্বনিম্ন পাস নম্বর ৫০ শতাংশ।