০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাকসুর ভোট চাইতে ঢাবি শিক্ষার্থীর নানির বাড়ি বেরোবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক

ডাকসু নির্বাচনে ভোটারদের কাছে অযাচিত ভোট চেয়ে খুলনার এক ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার হওয়ার পর বেরোবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক আলাআমিনেরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
শনিবার রাতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও রংপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আলাআমিন তার নেতা কর্মীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোয়ার নামের একজন শিক্ষার্থীর নানির বাড়ি ভোট চাইতে গিয়ে হাজির হন।
আল আমিনের ফেইসবুকে পোস্ট করা ওই ভিডিও মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে খুলনায় একই ঘটনায় ছাত্রদল নেতা বহিস্কার হলে দ্রুতই ভিডিওটা ফেইসবুক থেকে ডিলিট করে দেন আলআমিন।
ভিডিওতে দেখা যায়,
সেখানে পৌঁছেছে সে শিক্ষার্থীকে ফোন করে বেরোবি ছাত্রদল নেতা আলআমিন তার নানির সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন।
ভিডিওতে দেখা যায় তার নানি মনোয়ার নামের ঢাবির ঐ শিক্ষার্থীকে বলছেন, “ও ভাই, ওটি বলে ভোট হবি, তোমার মাস্টার আইছে, কাক দিবার কয়, তাকে এলা ভোটটা দাও”।
এ সময় আলআমিন আবার ফোনটা তার হাতে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে বলেন “মনোয়ার, তোমাকে তো বেশি কিছু বলতে হবেনা, আমাদের প্যানেলের দিকে দেখবা তুমি।
এরপর আলাআমিন ঐ শিক্ষার্থীর মামার সাথেও কথা বলতে বলেন।
তার মামা বলেন,”শোনো, বাংলা কথা জিড়া, বিএনপি’র প্যানেল যেটা, হামরাও বিএনপি করি, হামারই ভোট যদি অন্য দিকে যায় তাহলে মান ইজ্জতের ব্যাপার আছে, হামারই দল ঠকলেও একটা মান ইজ্জতের ব্যাপার আছে । আবিদুর প্যানেলে ভোট দিবা
এসময় আলআমিন ফোন হাতে নিয়ে আবার বলেন, মনোয়ার, তোমার বন্ধু বান্ধব যারা আছে ব্যাচমেটদের সবাইকে একটু দেখিও।
এ ভিড়িও ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এ বিষয় জানতে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আলাআমিন বলেন, ভিডিওতে (১২-১৩ দিন আগের) ঢাবি শিক্ষার্থী (ফোন কলে) মনোয়ার আমার কোচিংয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। ওর মামা আমাদের ইউনিয়ন বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা। এলাকায় ঘুরতে গিয়ে ওদের বাসায় আলোচনার এক পর্যায়ে ডাকসু নিয়ে কথা হয় এবং ওর মামা আমাকে ফোন দিতে বলে। আমি, ওর নানি এবং ওর মামা কথা বলি, যা ছিলো অত্যন্ত আনন্দদায়ক মুহুর্ত। এটি আবেগাপ্লুত হয়ে ভিডিও করে আমাদের এক ছোট ভাই।কিন্তু এই নির্ভেজাল বিষয়টিকে নিয়ে বটবাহীনি জাতীয়ভাবে নোংরামি শুরু করেছে যা এদের দেউলিয়াত্বের বহি:প্রকাশ।
এদের প্রতি ঘৃনা ছাড়া আর কিছু আসেনা এখন। এদের পরাজয়টা এখন দেখার বাকি, ইনশাআল্লাহ।
জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় গুড়িয়ে দেয়া হয় দু’টি প্রতিষ্ঠান, একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ডাকসুর ভোট চাইতে ঢাবি শিক্ষার্থীর নানির বাড়ি বেরোবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক

আপডেট সময় : ০১:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ডাকসু নির্বাচনে ভোটারদের কাছে অযাচিত ভোট চেয়ে খুলনার এক ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার হওয়ার পর বেরোবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক আলাআমিনেরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
শনিবার রাতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও রংপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আলাআমিন তার নেতা কর্মীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোয়ার নামের একজন শিক্ষার্থীর নানির বাড়ি ভোট চাইতে গিয়ে হাজির হন।
আল আমিনের ফেইসবুকে পোস্ট করা ওই ভিডিও মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে খুলনায় একই ঘটনায় ছাত্রদল নেতা বহিস্কার হলে দ্রুতই ভিডিওটা ফেইসবুক থেকে ডিলিট করে দেন আলআমিন।
ভিডিওতে দেখা যায়,
সেখানে পৌঁছেছে সে শিক্ষার্থীকে ফোন করে বেরোবি ছাত্রদল নেতা আলআমিন তার নানির সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন।
ভিডিওতে দেখা যায় তার নানি মনোয়ার নামের ঢাবির ঐ শিক্ষার্থীকে বলছেন, “ও ভাই, ওটি বলে ভোট হবি, তোমার মাস্টার আইছে, কাক দিবার কয়, তাকে এলা ভোটটা দাও”।
এ সময় আলআমিন আবার ফোনটা তার হাতে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে বলেন “মনোয়ার, তোমাকে তো বেশি কিছু বলতে হবেনা, আমাদের প্যানেলের দিকে দেখবা তুমি।
এরপর আলাআমিন ঐ শিক্ষার্থীর মামার সাথেও কথা বলতে বলেন।
তার মামা বলেন,”শোনো, বাংলা কথা জিড়া, বিএনপি’র প্যানেল যেটা, হামরাও বিএনপি করি, হামারই ভোট যদি অন্য দিকে যায় তাহলে মান ইজ্জতের ব্যাপার আছে, হামারই দল ঠকলেও একটা মান ইজ্জতের ব্যাপার আছে । আবিদুর প্যানেলে ভোট দিবা
এসময় আলআমিন ফোন হাতে নিয়ে আবার বলেন, মনোয়ার, তোমার বন্ধু বান্ধব যারা আছে ব্যাচমেটদের সবাইকে একটু দেখিও।
এ ভিড়িও ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এ বিষয় জানতে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আলাআমিন বলেন, ভিডিওতে (১২-১৩ দিন আগের) ঢাবি শিক্ষার্থী (ফোন কলে) মনোয়ার আমার কোচিংয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। ওর মামা আমাদের ইউনিয়ন বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা। এলাকায় ঘুরতে গিয়ে ওদের বাসায় আলোচনার এক পর্যায়ে ডাকসু নিয়ে কথা হয় এবং ওর মামা আমাকে ফোন দিতে বলে। আমি, ওর নানি এবং ওর মামা কথা বলি, যা ছিলো অত্যন্ত আনন্দদায়ক মুহুর্ত। এটি আবেগাপ্লুত হয়ে ভিডিও করে আমাদের এক ছোট ভাই।কিন্তু এই নির্ভেজাল বিষয়টিকে নিয়ে বটবাহীনি জাতীয়ভাবে নোংরামি শুরু করেছে যা এদের দেউলিয়াত্বের বহি:প্রকাশ।
এদের প্রতি ঘৃনা ছাড়া আর কিছু আসেনা এখন। এদের পরাজয়টা এখন দেখার বাকি, ইনশাআল্লাহ।