১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জামালপুরে এনজিও কর্মকর্তাকে নির্যাতন

যুব মহিলালীগের সভাপতি ও তার ছেলে গ্রেপ্তার

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এনজিও কর্মকর্তাকে হাত-পা, চোখ বেঁধে নির্যাতন ও ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও পৌর এলাকার বীর ধানাটা গ্রামের প্রীতম চন্দ্র সরকার হিরণের স্ত্রী অনুপমা সুত্রধর ও তার ছেলে প্রিন্স আদিত্য।

পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন থেকে চলতি মাসের ৪ তারিখে ২ লাখ টাকা ঋণ নেয় উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি অনুপমা সুত্রধর। ৫ সেপ্টেম্বর সকালে এনজিও কর্মকর্তা রনজিত চন্দ্র বর্মনকে বাসায় যেতে বলে ওই নারী। এনজিও কর্মকর্তা ঐ দিন সকালে তার বাসায় গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অনুপমা, তার ছেলে প্রিন্স আদিত্য, স্বামী প্রীতম চন্দ্র সরকার হিরণসহ আরো কয়েকজন তাকে ঘরে নিয়ে আটকে দেয়। এরপর হাত-পা, চোখ বেঁধে লোহার রড দিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে।

এরপর এনজিও কর্মকর্তার কাছে অনুপমা সুত্রধর, ছেলে ও স্বামী ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার জানালে উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ, পায়ুপথে মরিচের গুঁড়ো ঢুকিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায়। জীবন রক্ষায় এনজিও কর্মকর্তা স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ব্যাংকের কয়েকটি চেক বইয়ের পাতা অনুপমা সুত্রধরের ছেলে প্রিন্স আদিত্যর কাছে দিতে বলে। এরপর ব্যাংকের চেক বইয়ের পাতায় এনজিও কর্মকর্তার স্বাক্ষর নিয়ে নেন।

এদিকে স্বামীকে না পেয়ে এনজিও কর্মকর্তার স্ত্রী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর থানা পুলিশ তাদের প্রযুক্তি সহায়তা লোকেশন সনাক্ত করে এএসআই শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এনজিও কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাথে জড়িত অনুপমা সূত্রধর ও তার ছেলে প্রিন্স আদিত্য সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হাসান বলেন, উপজেলা ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার রনজিত চন্দ্র বর্মনকে বাসায় ডেকে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় সাথে জড়িত অনুপমা সূত্রধর ও তার ছেলে প্রিন্স আদিত্য সরকারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন। বাকি আসামীদের আটকের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে এনজিও কর্মকর্তাকে নির্যাতন

যুব মহিলালীগের সভাপতি ও তার ছেলে গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৫:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এনজিও কর্মকর্তাকে হাত-পা, চোখ বেঁধে নির্যাতন ও ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও পৌর এলাকার বীর ধানাটা গ্রামের প্রীতম চন্দ্র সরকার হিরণের স্ত্রী অনুপমা সুত্রধর ও তার ছেলে প্রিন্স আদিত্য।

পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন থেকে চলতি মাসের ৪ তারিখে ২ লাখ টাকা ঋণ নেয় উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি অনুপমা সুত্রধর। ৫ সেপ্টেম্বর সকালে এনজিও কর্মকর্তা রনজিত চন্দ্র বর্মনকে বাসায় যেতে বলে ওই নারী। এনজিও কর্মকর্তা ঐ দিন সকালে তার বাসায় গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অনুপমা, তার ছেলে প্রিন্স আদিত্য, স্বামী প্রীতম চন্দ্র সরকার হিরণসহ আরো কয়েকজন তাকে ঘরে নিয়ে আটকে দেয়। এরপর হাত-পা, চোখ বেঁধে লোহার রড দিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে।

এরপর এনজিও কর্মকর্তার কাছে অনুপমা সুত্রধর, ছেলে ও স্বামী ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার জানালে উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ, পায়ুপথে মরিচের গুঁড়ো ঢুকিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায়। জীবন রক্ষায় এনজিও কর্মকর্তা স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ব্যাংকের কয়েকটি চেক বইয়ের পাতা অনুপমা সুত্রধরের ছেলে প্রিন্স আদিত্যর কাছে দিতে বলে। এরপর ব্যাংকের চেক বইয়ের পাতায় এনজিও কর্মকর্তার স্বাক্ষর নিয়ে নেন।

এদিকে স্বামীকে না পেয়ে এনজিও কর্মকর্তার স্ত্রী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর থানা পুলিশ তাদের প্রযুক্তি সহায়তা লোকেশন সনাক্ত করে এএসআই শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এনজিও কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাথে জড়িত অনুপমা সূত্রধর ও তার ছেলে প্রিন্স আদিত্য সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হাসান বলেন, উপজেলা ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার রনজিত চন্দ্র বর্মনকে বাসায় ডেকে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় সাথে জড়িত অনুপমা সূত্রধর ও তার ছেলে প্রিন্স আদিত্য সরকারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন। বাকি আসামীদের আটকের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।

এমআর/সবা