০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমাদের স্বকীয়তার কথা, আমাদের সংস্কৃতির কথা। 

নেত্রকোণা প্রতিনিধি
আমার ভাষা,আমার সংস্কৃতি,আমার ঐতিহ্য আমারি থাকবে চিরদিন অটুট, এ যেন সদ্য মনের সদ্য কথা। কিন্তু তার চর্চা আর আমরা করছি কোথায় ? ভাষা ও সংস্কৃতিকে ঘুম পাড়ানো হচ্ছে মাসি আর পিসির ঘুম পাড়ানোর গানে।  বিভিন্ন জাতি গোষ্টীর ভাষা  আমাদের এ বাংলা। এখানে রয়েছে যেমন বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী তেমনি সংস্কৃত বৈচিত্র‍্য আর অনবদ্য বিষয় হলো একের মাঝে বহুর মিল। মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ হলেও তাঁদের মাঝে কোন সহিংসতা বা সাংঘর্ষিকতা নেই, আছে সহানুভূতির এক স্বর্গ । তবে যাই হোক, ভেতর থেকে পশুত্বকে দূর করতে হবে,দূর করতে হবে অযাচিত অশুভ কামণা। কিন্তু সমাজ,রাষ্ট্রের কিছু কুলাঙ্গার অসামাজিক কার্যকলাপে সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি করে। এরা তো কোন ধর্মের  লোক হতেই পারে না। পৃথিবীতে বাঙালির  মত আবেগ প্রবণ মানুষ আর কোথাও নেই। তাই তো এত গান, এত কবিতা, এত গল্প আর সাহিত্যের সমারোহ। ধনে সমৃদ্ধ না হোক, মন টা কে তো স্বীকার করতেই হবে, যেখানে সাহিত্যের আবাসস্থল ভাটির দেশ আমার সোনার বাংলা। সুতরাং মন ও মননের খেলায় আমরাই শীর্ষে। কিন্তু এ কি হচ্ছে? আমাদের সংস্কৃতির ভেতর কাল সাপ ঢুকেছে। একটি ভাষা কে, একটি সংস্কৃতিকে ব্যহত করতে পারে অন্য অযাচিত সংস্কৃতি। বাংলার মাটিতে ভারতীয় চ্যানেল  ভরপুর অন্যদিকে বাংলার একটি চ্যানেলও সেখানে নেই বিটিভি ছাড়া। এসব বস্তা পঁচা নাটক, সিনেমা আমাদের ধর্মে ও সংস্কৃতিতে প্রভাব পড়ছে। সিনেমা ও নাটকে সৃষ্টি আর স্রষ্টার মাঝে গুলিয়ে ফেলে যা মুসলিম একত্ববাদের বিরুদ্ধে। পারিবারিক আদালত,কোট কাচালী,দ্বন্দ্ব,শত্রুতা,পরশ্রীকাতরতা,নষ্টামী,পর  কীয়া ইত্যাদি বাক চাতুরতা, মুখের আকৃতি বিকৃতির প্রতিফলনের মাধ্যমে দর্শকের মন নাচানো এবং মাতানো যেন সাপুড়ের বীন আর একই জিনিস, একই বিষয়, একই সংলাপ দীর্ঘদিনের ব্যবধানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তুলে ধরছে বিভিন্ন আঙ্গিকে ইঙ্গিত ও ভঙিমার মাধ্যমে যা চলতে থাকে বছরের পর বছর।  এ যেন এক চরম গুপ্ত ঘাতক, জাতির সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার এক দুরভীস্বন্ধি। পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাব আরেক ধাপ বাঙালির স্বকীয়তা বিনষ্ট করার। পোশাক, ধর্ম, বিশ্বাস, সভ্যতা, কৃষ্টি, ঐতিহ্য সব কিছুই ঐ দিকেই প্রবাহমান। থার্টি-ফাস্টের উন্মাদনায় আতশবাজিতে যেমন সারা জাগে তেমনটা পহেলা বৈশাখকে দেখা মিলে না। কৃষকের পান্তা ভাতকে পহেলা বৈশাখকেই শোভা পেত না।  ইংরেজিতে কথা বলা আর বাংলা শুদ্ধ করে কথা বলার চেয়েও অধিক মর্যাদার দাবি রাখে, তা অফিস আদালত আর বিভিন্ন স্থানেই প্রমাণ । আধুনিকতার প্রভাব থাকবেই তাই বলে নিজ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের রূপ বদলে দিতে পারে না। আমাদের স্বকীয়তা আমাদের আত্মজ, আমাদের গর্ব। তাই ভিন্ন দেশীয় কালচারকে গুড বাই দেয়া মানে স্বকীয়তাকে মূল্যায়ন করা।  বার্থডে , ম্যারেজডে, ভেলেনটাইনডেকে উচিত অউট অব ডেট করা। হিন্দু আর মুসলমানের এ বাংলা এবং এর ঐতিহ্য হাজার বছরের সেই প্রাচীন কাল থেকেই।
বাংলার মানুষেরা প্রকৃতির চরম কাছাকাছির
কোমলমতি মানুষ। সবুজ শ্যামল পরিবেশের মাঝে পাহাড়, সাগর, নদী নালা খাল, বিল, ঝিল, হাওর, বাওর দ্বারা লালিত সন্তান। সংগ্রামী মানুষ, বীরের জাতি, তারা যেমন জীবন দিতে পারে তেমনি প্রয়োজনে নিতে ও পারে। বাংলার স্বকীয়তা আছে, থাকবে। আমরা বাঙালীরা সচেতন থাকব এবং ভাষার প্রতি, সংস্কৃতির প্রতি যত্নশীল হব।
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

আমাদের স্বকীয়তার কথা, আমাদের সংস্কৃতির কথা। 

আপডেট সময় : ০৭:১৫:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
নেত্রকোণা প্রতিনিধি
আমার ভাষা,আমার সংস্কৃতি,আমার ঐতিহ্য আমারি থাকবে চিরদিন অটুট, এ যেন সদ্য মনের সদ্য কথা। কিন্তু তার চর্চা আর আমরা করছি কোথায় ? ভাষা ও সংস্কৃতিকে ঘুম পাড়ানো হচ্ছে মাসি আর পিসির ঘুম পাড়ানোর গানে।  বিভিন্ন জাতি গোষ্টীর ভাষা  আমাদের এ বাংলা। এখানে রয়েছে যেমন বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী তেমনি সংস্কৃত বৈচিত্র‍্য আর অনবদ্য বিষয় হলো একের মাঝে বহুর মিল। মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ হলেও তাঁদের মাঝে কোন সহিংসতা বা সাংঘর্ষিকতা নেই, আছে সহানুভূতির এক স্বর্গ । তবে যাই হোক, ভেতর থেকে পশুত্বকে দূর করতে হবে,দূর করতে হবে অযাচিত অশুভ কামণা। কিন্তু সমাজ,রাষ্ট্রের কিছু কুলাঙ্গার অসামাজিক কার্যকলাপে সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি করে। এরা তো কোন ধর্মের  লোক হতেই পারে না। পৃথিবীতে বাঙালির  মত আবেগ প্রবণ মানুষ আর কোথাও নেই। তাই তো এত গান, এত কবিতা, এত গল্প আর সাহিত্যের সমারোহ। ধনে সমৃদ্ধ না হোক, মন টা কে তো স্বীকার করতেই হবে, যেখানে সাহিত্যের আবাসস্থল ভাটির দেশ আমার সোনার বাংলা। সুতরাং মন ও মননের খেলায় আমরাই শীর্ষে। কিন্তু এ কি হচ্ছে? আমাদের সংস্কৃতির ভেতর কাল সাপ ঢুকেছে। একটি ভাষা কে, একটি সংস্কৃতিকে ব্যহত করতে পারে অন্য অযাচিত সংস্কৃতি। বাংলার মাটিতে ভারতীয় চ্যানেল  ভরপুর অন্যদিকে বাংলার একটি চ্যানেলও সেখানে নেই বিটিভি ছাড়া। এসব বস্তা পঁচা নাটক, সিনেমা আমাদের ধর্মে ও সংস্কৃতিতে প্রভাব পড়ছে। সিনেমা ও নাটকে সৃষ্টি আর স্রষ্টার মাঝে গুলিয়ে ফেলে যা মুসলিম একত্ববাদের বিরুদ্ধে। পারিবারিক আদালত,কোট কাচালী,দ্বন্দ্ব,শত্রুতা,পরশ্রীকাতরতা,নষ্টামী,পর  কীয়া ইত্যাদি বাক চাতুরতা, মুখের আকৃতি বিকৃতির প্রতিফলনের মাধ্যমে দর্শকের মন নাচানো এবং মাতানো যেন সাপুড়ের বীন আর একই জিনিস, একই বিষয়, একই সংলাপ দীর্ঘদিনের ব্যবধানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তুলে ধরছে বিভিন্ন আঙ্গিকে ইঙ্গিত ও ভঙিমার মাধ্যমে যা চলতে থাকে বছরের পর বছর।  এ যেন এক চরম গুপ্ত ঘাতক, জাতির সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার এক দুরভীস্বন্ধি। পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাব আরেক ধাপ বাঙালির স্বকীয়তা বিনষ্ট করার। পোশাক, ধর্ম, বিশ্বাস, সভ্যতা, কৃষ্টি, ঐতিহ্য সব কিছুই ঐ দিকেই প্রবাহমান। থার্টি-ফাস্টের উন্মাদনায় আতশবাজিতে যেমন সারা জাগে তেমনটা পহেলা বৈশাখকে দেখা মিলে না। কৃষকের পান্তা ভাতকে পহেলা বৈশাখকেই শোভা পেত না।  ইংরেজিতে কথা বলা আর বাংলা শুদ্ধ করে কথা বলার চেয়েও অধিক মর্যাদার দাবি রাখে, তা অফিস আদালত আর বিভিন্ন স্থানেই প্রমাণ । আধুনিকতার প্রভাব থাকবেই তাই বলে নিজ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের রূপ বদলে দিতে পারে না। আমাদের স্বকীয়তা আমাদের আত্মজ, আমাদের গর্ব। তাই ভিন্ন দেশীয় কালচারকে গুড বাই দেয়া মানে স্বকীয়তাকে মূল্যায়ন করা।  বার্থডে , ম্যারেজডে, ভেলেনটাইনডেকে উচিত অউট অব ডেট করা। হিন্দু আর মুসলমানের এ বাংলা এবং এর ঐতিহ্য হাজার বছরের সেই প্রাচীন কাল থেকেই।
বাংলার মানুষেরা প্রকৃতির চরম কাছাকাছির
কোমলমতি মানুষ। সবুজ শ্যামল পরিবেশের মাঝে পাহাড়, সাগর, নদী নালা খাল, বিল, ঝিল, হাওর, বাওর দ্বারা লালিত সন্তান। সংগ্রামী মানুষ, বীরের জাতি, তারা যেমন জীবন দিতে পারে তেমনি প্রয়োজনে নিতে ও পারে। বাংলার স্বকীয়তা আছে, থাকবে। আমরা বাঙালীরা সচেতন থাকব এবং ভাষার প্রতি, সংস্কৃতির প্রতি যত্নশীল হব।