০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭ দফা দাবিতে ৩০ ঘন্টা ধরে অনশনে ৯ শিক্ষার্থী

প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে বাম সংগঠন ও সাধারণ সহ মোট ৯ শিক্ষার্থী। প্রায় ৩০ ঘন্টা পার হয়েছে অনশনের। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেখা করা হয়নি এখনও।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে এ কর্মসূচি করছে তারা।

এর আগে, আহত শিক্ষার্থীদের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা প্রদান, নিরাপত্তাহীন অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য অবিলম্বে মানসম্মত ভ্রাম্যমাণ আবাসনের ব্যবস্থা করা এবং আবাসনচ্যুত শিক্ষার্থীদের মালামাল উদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, উদ্ভূত পরিস্থিতিকে ঘিরে বিশেষভাবে চিহ্নিত শিক্ষার্থীদের সকলপ্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা এবং নিরাপরাধ এলাকাবাসীদের হয়রানি বন্ধ করা, বৈপরীত্যমূলক দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনে উভয়পক্ষের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন করা এবং ন্যূনতম তিন মাস পরপর মিটিং করা ও সিন্ডিকেটকর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাকরায়ন করা সহ শিক্ষার্থী আহতের ঘটনার দায় নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করার ৭ দফা দাবি জানায় তারা।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন,বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র, মিউজিক বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ঈশা দে, স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রামা সাইন মারমা, ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষার্থীরা আহমেদ মুগ্ধ ও নাঈম শাহজান, মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিকদার, মিউজিক বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষার্থী জশদ জাকির, বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষার্থী সুদর্শন চাকমা এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষার্থী ধ্রুব বড়ুয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাইম শাহ জাহান বলেন,” আমরা প্রশাসনকে সাত দফা দাবি দিয়েছিলাম। এ নিয়ে তাদের সাথে আমরা কথা বলতে গেলে আমাদের বিভিন্ন ভাবে বোঝানো হয়। মুলত দাবির কিছুই পুরন হয়নি। দাবি আদায়ে আমরা আমরণ অনশনে বসেছি। প্রায় ২২ ঘন্টা পার হয়ে গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে এখনও দেখা করা হয়নি। আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে। আমরা আমাদের দাবিতে অটল।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ” আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ ঠিক করার যথেষ্ট চেষ্টা করছি। তারা এখন এই পরিবেশে বিশৃঙ্খলা তৈরী করতে চাচ্ছে। যারা এসব বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায় তারা শিক্ষার্থীদে সমর্থন পাবে না।”

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

৭ দফা দাবিতে ৩০ ঘন্টা ধরে অনশনে ৯ শিক্ষার্থী

আপডেট সময় : ০৪:০২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে বাম সংগঠন ও সাধারণ সহ মোট ৯ শিক্ষার্থী। প্রায় ৩০ ঘন্টা পার হয়েছে অনশনের। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেখা করা হয়নি এখনও।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে এ কর্মসূচি করছে তারা।

এর আগে, আহত শিক্ষার্থীদের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা প্রদান, নিরাপত্তাহীন অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য অবিলম্বে মানসম্মত ভ্রাম্যমাণ আবাসনের ব্যবস্থা করা এবং আবাসনচ্যুত শিক্ষার্থীদের মালামাল উদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, উদ্ভূত পরিস্থিতিকে ঘিরে বিশেষভাবে চিহ্নিত শিক্ষার্থীদের সকলপ্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা এবং নিরাপরাধ এলাকাবাসীদের হয়রানি বন্ধ করা, বৈপরীত্যমূলক দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনে উভয়পক্ষের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন করা এবং ন্যূনতম তিন মাস পরপর মিটিং করা ও সিন্ডিকেটকর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাকরায়ন করা সহ শিক্ষার্থী আহতের ঘটনার দায় নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করার ৭ দফা দাবি জানায় তারা।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন,বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র, মিউজিক বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ঈশা দে, স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রামা সাইন মারমা, ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষার্থীরা আহমেদ মুগ্ধ ও নাঈম শাহজান, মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিকদার, মিউজিক বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষার্থী জশদ জাকির, বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষার্থী সুদর্শন চাকমা এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষার্থী ধ্রুব বড়ুয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাইম শাহ জাহান বলেন,” আমরা প্রশাসনকে সাত দফা দাবি দিয়েছিলাম। এ নিয়ে তাদের সাথে আমরা কথা বলতে গেলে আমাদের বিভিন্ন ভাবে বোঝানো হয়। মুলত দাবির কিছুই পুরন হয়নি। দাবি আদায়ে আমরা আমরণ অনশনে বসেছি। প্রায় ২২ ঘন্টা পার হয়ে গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে এখনও দেখা করা হয়নি। আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে। আমরা আমাদের দাবিতে অটল।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ” আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ ঠিক করার যথেষ্ট চেষ্টা করছি। তারা এখন এই পরিবেশে বিশৃঙ্খলা তৈরী করতে চাচ্ছে। যারা এসব বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায় তারা শিক্ষার্থীদে সমর্থন পাবে না।”

এমআর/সবা