০৬:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে মেধাস্বত্ব পেল বাংলাদেশের কোভিড টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’

গ্লোব বায়োটেকের আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ টিকা বঙ্গভ্যাক্সের ইউএস পেটেন্ট পাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী রিবোনিউক্লিক অ্যাসিডভিত্তিক টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ যুক্তরাষ্ট্র্রের মেধাস্বত্ব ( পেটেন্ট) লাভ করেছে। বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো টিকা যুক্তরাষ্ট্রে মেধাস্বত্ব অর্জন করল।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তেজগাঁও শিল্প এলাকায় গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গ্লোব বায়োটেক। এ সময় এ তথ্য নিশ্চিত করেন গ্লোব বায়োটেকের প্রধান গবেষক ড. কাকন নাগ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক ২০১৫ সাল থেকে জিনভিত্তিক চিকিৎসা এবং জটিল রোগের আধুনিক ওষুধ নিয়ে কাজ করছে। করোনা মহামারির সময় প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানী ড. কাকন নাগ ও ড. নাজনীন সুলতানার নেতৃত্বে ‘বঙ্গভ্যাক্স’ উদ্ভাবনের কাজ শুরু হয়।

২০২০ সালে টিকাটির জেনেটিক সংকেত (কোডিং সিকুয়েন্স) যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় জৈবতথ্য ভাণ্ডারে (NCBI) প্রকাশিত হয়। পরে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী বিজ্ঞান সাময়িকী ন্যাচার-এর বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন এবং যুক্তরাষ্ট্রের এলসেভিয়ারের ‘টিকা’ (Vaccine) সাময়িকীতে বঙ্গভ্যাক্স নিয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ২০২০ সালেই এটিকে তাদের কোভিড টিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। বিশ্বের একমাত্র এক-ডোজের এমআরএনএ টিকা।

 

গ্লোব বায়োটেকের দাবি, বঙ্গভ্যাক্স হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র এক ডোজে কার্যকর রিবোনিউক্লিক অ্যাসিড (mRNA) ভিত্তিক টিকা, যা বিভিন্ন করোনা রূপের (ভ্যারিয়েন্ট) বিরুদ্ধেও কার্যকর। এতে নিজস্ব উদ্ভাবিত অণুপ্রযুক্তি (ন্যানোটেকনোলজি) ব্যবহার করা হয়েছে, যা শুধু এমআরএনএ নয়, ডিএনএ, উপাদানভিত্তিক (সাবইউনিট), নিষ্ক্রিয় ভাইরাস কিংবা পুনঃসংশ্লেষিত ভাইরাসভিত্তিক টিকাও তৈরি করতে সক্ষম।

মেধাস্বত্বের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে গ্লোব বায়োটেক বলেছে, ‘এই পেটেন্ট অর্জন বাংলাদেশের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যে টিকার ভূমিকা অপরিহার্য। পেটেন্টের এই মৌলিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্বাধুনিক পদ্ধতিতে কার্যকরী ও নিরাপদ টিকা নিজ দেশেই কম খরচে উৎপাদন ও সরবরাহ করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে টিকা উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে সম্মান ও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। এ ছাড়া ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টিকা আবিষ্কারের এই পেটেন্ট কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনে রপ্তানি বাড়েনি, বাণিজ্য ঘাটতি পাহাড়সম

যুক্তরাষ্ট্রে মেধাস্বত্ব পেল বাংলাদেশের কোভিড টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’

আপডেট সময় : ০৭:০৩:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী রিবোনিউক্লিক অ্যাসিডভিত্তিক টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ যুক্তরাষ্ট্র্রের মেধাস্বত্ব ( পেটেন্ট) লাভ করেছে। বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো টিকা যুক্তরাষ্ট্রে মেধাস্বত্ব অর্জন করল।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তেজগাঁও শিল্প এলাকায় গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গ্লোব বায়োটেক। এ সময় এ তথ্য নিশ্চিত করেন গ্লোব বায়োটেকের প্রধান গবেষক ড. কাকন নাগ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক ২০১৫ সাল থেকে জিনভিত্তিক চিকিৎসা এবং জটিল রোগের আধুনিক ওষুধ নিয়ে কাজ করছে। করোনা মহামারির সময় প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানী ড. কাকন নাগ ও ড. নাজনীন সুলতানার নেতৃত্বে ‘বঙ্গভ্যাক্স’ উদ্ভাবনের কাজ শুরু হয়।

২০২০ সালে টিকাটির জেনেটিক সংকেত (কোডিং সিকুয়েন্স) যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় জৈবতথ্য ভাণ্ডারে (NCBI) প্রকাশিত হয়। পরে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী বিজ্ঞান সাময়িকী ন্যাচার-এর বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন এবং যুক্তরাষ্ট্রের এলসেভিয়ারের ‘টিকা’ (Vaccine) সাময়িকীতে বঙ্গভ্যাক্স নিয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ২০২০ সালেই এটিকে তাদের কোভিড টিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। বিশ্বের একমাত্র এক-ডোজের এমআরএনএ টিকা।

 

গ্লোব বায়োটেকের দাবি, বঙ্গভ্যাক্স হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র এক ডোজে কার্যকর রিবোনিউক্লিক অ্যাসিড (mRNA) ভিত্তিক টিকা, যা বিভিন্ন করোনা রূপের (ভ্যারিয়েন্ট) বিরুদ্ধেও কার্যকর। এতে নিজস্ব উদ্ভাবিত অণুপ্রযুক্তি (ন্যানোটেকনোলজি) ব্যবহার করা হয়েছে, যা শুধু এমআরএনএ নয়, ডিএনএ, উপাদানভিত্তিক (সাবইউনিট), নিষ্ক্রিয় ভাইরাস কিংবা পুনঃসংশ্লেষিত ভাইরাসভিত্তিক টিকাও তৈরি করতে সক্ষম।

মেধাস্বত্বের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে গ্লোব বায়োটেক বলেছে, ‘এই পেটেন্ট অর্জন বাংলাদেশের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যে টিকার ভূমিকা অপরিহার্য। পেটেন্টের এই মৌলিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্বাধুনিক পদ্ধতিতে কার্যকরী ও নিরাপদ টিকা নিজ দেশেই কম খরচে উৎপাদন ও সরবরাহ করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে টিকা উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে সম্মান ও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। এ ছাড়া ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টিকা আবিষ্কারের এই পেটেন্ট কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’

এমআর/সবা