০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথমবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েই দুই বোনের সাফল্য, আনন্দে ভাসছে পরিবার

ডা. সিলমা সারিকা শশী ও ডা. সিলমা সুবাহ আরশি

৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষায় প্রথমবার অংশ নিয়ে রাজবাড়ীর দুই বোন ডা. সিলমা সারিকা শশী ও ডা. সিলমা সুবাহ আরশী স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। একসঙ্গে দুই বোনের এই সাফল্যে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাজুড়ে আনন্দের বন্যা বইছে।

শশী ও আরশী রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা। তাদের পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্কাস আলী মোল্লা (রাজবাড়ী সরকারি কলেজ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ) ও মাতা প্রফেসর মালেকা আক্তার শিখা (মীর মশাররফ হোসেন কলেজ, প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ)। পরিবারে আরও এক ভাই আশিক ইলাহি আলিফ, যিনি রাজবাড়ী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।

শশী ও আরশী ২০১৫ সালে রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি জিপিএ-৫ এবং ২০১৭ সালে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি জিপিএ-৫ অর্জন করেন। এরপর শশী ভর্তি হন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এবং আরশী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে। ২০২২ সালে তারা এমবিবিএস সম্পন্ন করেন এবং ইন্টার্নশিপ শেষে প্রথমবার বিসিএসে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন।

শশী ও আরশীর পিতা বলেন, “ছোটবেলা থেকেই দুই মেয়ের মধ্যে মেধা ও অধ্যাবসায় লক্ষ্য করেছি। তারা একই সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি দিয়েছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাদের স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়া, সেই লক্ষ্য নিয়েই তারা কঠোর পরিশ্রম করেছে। এখন তারা বিসিএসে সফল হয়েছেন। আমরা তাদের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।”

শশী ও আরশীর মামা, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পিয়াল বলেন, “দুই ভাগ্নির একসঙ্গে বিসিএসে জয় আমাদের জন্য গর্বের। আমরা আশা করি তারা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।”

এই সাফল্যে বাবা-মা, ভাইবোন এবং ভবানীপুরের গ্রামবাসীও আনন্দিত।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

প্রথমবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েই দুই বোনের সাফল্য, আনন্দে ভাসছে পরিবার

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষায় প্রথমবার অংশ নিয়ে রাজবাড়ীর দুই বোন ডা. সিলমা সারিকা শশী ও ডা. সিলমা সুবাহ আরশী স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। একসঙ্গে দুই বোনের এই সাফল্যে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাজুড়ে আনন্দের বন্যা বইছে।

শশী ও আরশী রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা। তাদের পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্কাস আলী মোল্লা (রাজবাড়ী সরকারি কলেজ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ) ও মাতা প্রফেসর মালেকা আক্তার শিখা (মীর মশাররফ হোসেন কলেজ, প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ)। পরিবারে আরও এক ভাই আশিক ইলাহি আলিফ, যিনি রাজবাড়ী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।

শশী ও আরশী ২০১৫ সালে রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি জিপিএ-৫ এবং ২০১৭ সালে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি জিপিএ-৫ অর্জন করেন। এরপর শশী ভর্তি হন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এবং আরশী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে। ২০২২ সালে তারা এমবিবিএস সম্পন্ন করেন এবং ইন্টার্নশিপ শেষে প্রথমবার বিসিএসে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন।

শশী ও আরশীর পিতা বলেন, “ছোটবেলা থেকেই দুই মেয়ের মধ্যে মেধা ও অধ্যাবসায় লক্ষ্য করেছি। তারা একই সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি দিয়েছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাদের স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়া, সেই লক্ষ্য নিয়েই তারা কঠোর পরিশ্রম করেছে। এখন তারা বিসিএসে সফল হয়েছেন। আমরা তাদের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।”

শশী ও আরশীর মামা, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পিয়াল বলেন, “দুই ভাগ্নির একসঙ্গে বিসিএসে জয় আমাদের জন্য গর্বের। আমরা আশা করি তারা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।”

এই সাফল্যে বাবা-মা, ভাইবোন এবং ভবানীপুরের গ্রামবাসীও আনন্দিত।

এমআর/সবা