মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জে সিংগাইরে জমি বিরোধের জেরে রাতের অন্ধাকারে হামলা চালিয়ে একটি ফার্নিচারের কারখানা ও তিনটি বসতবাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসী হামলায় নারীসহ ৫জন গুরুত্ব আহত হয়েছেন।
বুধবার মধ্যরাতে সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার আবুল বাশার,গফুর মোল্লা, ফারুক হোসেনের বসতবাড়ি ও জাকির হোসেনের কারখনায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
ভুক্তোভুগীরা জানান,জমি কেনা-বেচা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী আব্দুল রাজ্জাক ও তার স্ত্রী পিয়ারজান বেগমের সাথে বিরোধ চলছি এবং মাঝেমধ্যেই আব্দুল রাজ্জাক ও তার স্ত্রী মারধরের হুমকি দিয়ে আসছিল। ওই ঘটনার জেরে বুধবার রাত দেড়টার দিয়ে আব্দুল রাজ্জাক, তার স্ত্রী পিয়ারজান বেগম, ছেলে হাসেম আলী ও জসিম মিয়াসহ ১০-১২জন আবুল বাশারের ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এসময় আবুল বাশার চিৎকার করলে আবুল বাশার ও তার স্ত্রী রেনু বেগমকে মারধর করে ঘরের ভেতরে হাত-পা বেধে আটকিয়ে রাখেন সন্ত্রাসীরা। বাবা-মায়ের আত্মচিৎকারে ছেলে আরিফ হোসেন এবং বেড়াতে আসা আত্মীয় সমেজ উদ্দিন ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে আটকে রাখা রাখা হয়। এরপর ঘরের নগদ ৫ লক্ষ টাকা, ২লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেন সন্ত্রসীরা। এরপর মাটি খননযন্ত্র ভেকু দিয়ে কারখানা ও তিনটি বসতঘর ভেঙে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত জাকির হোসেন জানান,সন্ত্রাসীরা রাতের আধারে আমার কেইন ফার্নিচার কারখানা ভাঙচুর করে ল্যাপটপ, কারখার কর্মচারীদের মোবাইলস নগদার্থ ছিনিয়েছে। আমার কারখানা ভাঙার পর প্রতিবেশি ফারুক হোসেনের ঘর ও বাউন্ডারী দেয়ালও ভেঙে দিয়েছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় আমাদের ২০-২৫ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল গফুরের অভিযোগ সন্ত্রাসীরা হামলা ও ভাঙচুরের সময় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করে সাহায্য চাওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু পুলিশের সামনে সন্ত্রাসীরা হামলা ও ভাঙচুর করলেও পুলিশ বাধা নেয় নি। পুলিশের সামনেই বাড়িঘর ভেঙে চলে যায় সন্ত্রসীরা।
তবে এবিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয় নি।
এবিষয়ে ধল্লা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলা বা ভাঙচুর করতে কাউকে দেখি নাই। তবে বসতঘর ও দেয়াল ভাঙা এবং ঘটনাস্থলের একটি ভেকুর থাকার বিষয়টি ওসি স্যারকে জানানো হয়েছে। বিস্তারিত ওসি স্যার বলতে পারবেন।
তবে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম জানান,ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ভুক্তভোগীদের সাথে কথাও বলেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।























