গোপালগঞ্জে ৭ দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে কারিগরি শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে তারা মিছিলসহ চন্দ্রদিঘলিয়া বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বসে পড়েন।
অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা বন্ধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নানা দাবি জানালেও সরকার তা বাস্তবায়ন করছে না। তাই বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি হলো—
১. কারিগরি শিক্ষার্থীদের ডিগ্রির স্বীকৃতি জাতীয় পর্যায়ে নিশ্চিত করা।
২. সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষক সংকট নিরসন।
৩. আধুনিক ল্যাব ও সরঞ্জাম সরবরাহ।
৪. ইন্টার্নশিপ ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাধ্যতামূলক করা।
৫. চাকরির ক্ষেত্রে কারিগরি ডিগ্রিধারীদের কোটা নিশ্চিত করা।
৬. শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি।
৭. সেশনজট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
বিক্ষোভস্থলে শিক্ষার্থী নেতারা ঘোষণা দেন, “আমাদের দাবি অবিলম্বে মেনে নিতে হবে। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় এক মাইলজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। শত শত যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, “দাবি যৌক্তিক হতে পারে, কিন্তু মহাসড়ক অবরোধে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে।”
আটকে পড়া এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “খুলনা থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলাম, কিন্তু দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। এতে আমাদের ভোগান্তি বাড়ছে।”
খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
শুভ/সবা


























