০৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামীমার তিন বছর কারাদণ্ড

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাছরিনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম এই রায় দেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এইচ এম রুহুল আমিন মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে মো. আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি কোম্পানি তৈরি করে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সুপরিকল্পিতভাবে প্রতারণার উদ্দেশ্যে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে। বিভিন্ন সময়ে কোম্পানিটির তাদের ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের অফার দেয়। কোম্পানির এই বিজ্ঞাপন দেখে বাদী ১১টি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। ইভ্যালির কোম্পানি থেকে ৭ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার কথা থাকলেও তারা পণ্য সরবরাহ না করে উল্টো ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে বাদীকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে টাকা আত্মসাত করে।

মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপপরিদর্শক বাসুদেব সরকার পরের বছরের ২৭ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পরে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠন করেন আদালত। তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামীমার তিন বছর কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৪:২৭:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাছরিনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম এই রায় দেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এইচ এম রুহুল আমিন মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে মো. আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি কোম্পানি তৈরি করে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সুপরিকল্পিতভাবে প্রতারণার উদ্দেশ্যে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে। বিভিন্ন সময়ে কোম্পানিটির তাদের ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের অফার দেয়। কোম্পানির এই বিজ্ঞাপন দেখে বাদী ১১টি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। ইভ্যালির কোম্পানি থেকে ৭ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার কথা থাকলেও তারা পণ্য সরবরাহ না করে উল্টো ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে বাদীকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে টাকা আত্মসাত করে।

মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপপরিদর্শক বাসুদেব সরকার পরের বছরের ২৭ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পরে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠন করেন আদালত। তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।

এমআর/সবা