কক্সবাজার শহর ও উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় বিকল্প সুপেয় পানি সরবরাহ, স্থায়ী বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ এবং ক্যাম্প সংলগ্ন অনাবাদি জমি পুনরায় আবাদযোগ্য করার জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিনিয়োগ জরুরি বলে মত প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সংগঠন ও স্থানীয় বিশিষ্টরা।
২০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার অরুণোদয় স্কুলের অডিটরিয়ামে কোস্ট ফাউন্ডেশনের আয়োজন করা মতবিনিময় সভা ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা শিবিরগুলো থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পানি উত্তোলন ও বর্জ্য সৃষ্টির কারণে স্থানীয় প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও আবাদি জমি নষ্ট হচ্ছে। উখিয়া-টেকনাফে প্রতি মাসে প্রায় ১০,০০০ টন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে, যা শহরের ৯০-১৩০ টন দৈনিক বর্জ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সমস্যা আরও বৃদ্ধি করছে।
সভায় প্রদর্শিত প্রামাণ্যচিত্রে দেখা গেছে, টেকনাফে ভূগর্ভস্থ পানির ৬৫ শতাংশ লবণাক্ত হয়ে গেছে। এক সময় যেখানে ৮০-৯০ ফুট নিচে পানি পাওয়া যেত, এখন ১,০০০ ফুট গভীরতাতেও বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া ক্যাম্প সংলগ্ন জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রতিবছর প্রায় ৩০,০০০ টন ফসল উৎপাদন সম্ভব না হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বক্তারা বর্জ্য আলাদা করে সার ও রিসাইক্লিং পদ্ধতি, ভূগর্ভস্থ পানির সীমিত ব্যবহার, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, পরিত্যক্ত পুকুর পুনরুদ্ধার এবং লবণমুক্ত পানি সরবরাহের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছেন।
কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “বর্জ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে এবং কক্সবাজারে বৈজ্ঞানিক ও পদ্ধতিগতভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করা জরুরি।”
স্থানীয় বিশিষ্টরা সবাই আহ্বান জানাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দাতা সংস্থা সক্রিয়ভাবে এগিয়ে এসে কক্সবাজারের পরিবেশ, পানি ও আবাদি জমি পুনরুদ্ধারে অবদান রাখুক।
এমআর/সবা


























