শেষ ওভারে দরকার ছিল ৫ রান। দাসুন শানাকার প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে ম্যাচ সমতায় আনেন জাকের আলী। তখন ৫ বলে দরকার মাত্র ১ রান—তবুও চাপের মুখে পরপর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বিদায় নেন জাকের ও শেখ মেহেদী। তবে পাঁচ নম্বর বলে ঠাণ্ডা মাথায় কাঙ্ক্ষিত রানটি তুলে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন নাসুম আহমেদ।
এই নাটকীয় মুহূর্তেই শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সুপার ফোরে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করল টাইগাররা।
ফাইনালের পথে আশাবাদী টাইগাররা
এই জয়ে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালের সমীকরণে বড় ধাপ এগোল বাংলাদেশ। সুপার ফোরে টাইগারদের পরবর্তী দুই ম্যাচ পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে। এর যেকোনো একটি ম্যাচে জয় পেলেই ফাইনালের দরজা খুলে যেতে পারে লিটন-হৃদয়দের জন্য।
রান তাড়ার নাটকীয় গল্প
শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১ রানেই ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম (০)।
এরপর লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেন সাইফ হাসান। ৩৪ বলে গড়া ৫৯ রানের জুটিতে ভিত্তি গড়ে দেন তারা। লিটন ফেরেন ২৩ রানে, তবে সাইফ খেলেন দারুণ এক ইনিংস—৪৫ বলে ৬১ রান করে ফিরেন তিনি।
এরপর ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন তাওহিদ হৃদয়। সাম্প্রতিক অফফর্ম ঝেড়ে ফেলে খেলেন দায়িত্বশীল এক ইনিংস। ৩৭ বলে ৫৮ রান করে চতুর্থ আন্তর্জাতিক ফিফটি তুলেন এবং স্পর্শ করেন ১ হাজার আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি রান।
শেষদিকে কিছু নাটকীয়তা তৈরি হলেও আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্যে ভর করে জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা।
লঙ্কানদের ইনিংস: টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের বোলিং:
মুস্তাফিজুর রহমান ২০ রানে তুলে নেন ৩ উইকেট আর অফ স্পিনার শেখ মেহেদী নেন ২ উইকেট।

























