০৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া

ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) তিনটি দেশ পর্যায়ক্রমে এ ঘোষণা দেয়।

কানাডা প্রথম এই স্বীকৃতি ঘোষণা করে। পরে অস্ট্রেলিয়া ও সর্বশেষ যুক্তরাজ্যও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার বলেন, “শান্তি প্রক্রিয়া ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করতে যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি দীর্ঘমেয়াদি শান্তি নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি জানিয়েছেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত গঠনে কানাডা অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি রাখছে।”

অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার সময় জানিয়েছে, এটি শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নেওয়া উদ্যোগ, যা মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার দিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে দেশটি বলতো, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কেবল শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এবং এমন সময়ে, যা দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চুক্তির সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ প্রভাবিত করতে পারে। চলতি বছরের জুলাইয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয় এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তিচুক্তি প্রতিশ্রুতি না দেয়, তবে যুক্তরাজ্য তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে।

এই সিদ্ধান্তকে ইসরায়েল তীব্রভাবে সমালোচনা করেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “এ ধরনের পদক্ষেপ সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করবে।” কিছু কনজারভেটিভ নেতা ও ইসরায়েলি সরকারও সমালোচনা জানিয়েছে। তবে ব্রিটিশ মন্ত্রীরা জানান, এটি নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে নেওয়া হয়েছে, যাতে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চুক্তির আশা বাঁচিয়ে রাখা যায়।

বিশ্বব্যাপী মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি ও শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর এর প্রভাব তীব্রভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফিলিস্তিনকে এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক গুরুত্ব বহন করবে এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রচেষ্টাকে নতুন মাত্রা দিতে পারে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

পরশুরামে টিসিবির পণ্যে নিম্নমানের চাল নিয়ে ভোক্তাদের ক্ষোভ

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) তিনটি দেশ পর্যায়ক্রমে এ ঘোষণা দেয়।

কানাডা প্রথম এই স্বীকৃতি ঘোষণা করে। পরে অস্ট্রেলিয়া ও সর্বশেষ যুক্তরাজ্যও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার বলেন, “শান্তি প্রক্রিয়া ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করতে যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি দীর্ঘমেয়াদি শান্তি নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি জানিয়েছেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত গঠনে কানাডা অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি রাখছে।”

অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার সময় জানিয়েছে, এটি শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নেওয়া উদ্যোগ, যা মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার দিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে দেশটি বলতো, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কেবল শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এবং এমন সময়ে, যা দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চুক্তির সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ প্রভাবিত করতে পারে। চলতি বছরের জুলাইয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয় এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তিচুক্তি প্রতিশ্রুতি না দেয়, তবে যুক্তরাজ্য তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে।

এই সিদ্ধান্তকে ইসরায়েল তীব্রভাবে সমালোচনা করেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “এ ধরনের পদক্ষেপ সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করবে।” কিছু কনজারভেটিভ নেতা ও ইসরায়েলি সরকারও সমালোচনা জানিয়েছে। তবে ব্রিটিশ মন্ত্রীরা জানান, এটি নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে নেওয়া হয়েছে, যাতে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চুক্তির আশা বাঁচিয়ে রাখা যায়।

বিশ্বব্যাপী মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি ও শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর এর প্রভাব তীব্রভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফিলিস্তিনকে এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক গুরুত্ব বহন করবে এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রচেষ্টাকে নতুন মাত্রা দিতে পারে।

এমআর/সবা