সৌদি আরবে কর্মরত এক বাংলাদেশি রেমিটেন্স যোদ্ধা অপহরণের শিকার হয়েছেন। দুর্বৃত্তরা তার পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
অপহৃত যুবকের নাম আবদুস সালাম ভূঁইয়া সজিব (বয়স আনুমানিক ২৮)। তিনি ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পূর্ব অলকা গ্রামের বাসিন্দা এবং আমিনুর রহমান ভূঁইয়ার পুত্র।
গকাল রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টার দিকে রিয়াদের যেদিদ সানাইয়া কোম্পানির অফিসের সামনে থেকে সবজিকে অপহরণ করা হয়
অপহরণকারীরা সংখ্যায় চারজন ছিল।
জানা গেছে, অপহরণকারীরা সবজিকে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যা করা হবে বলে পরিবারকে জানানো হয়।
সজিবের পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার সকালে অজ্ঞাত একটি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়। অপহরণকারীরা জানায়, টাকা না দিলে সজিবকে হত্যা করা হবে। এ ঘটনায় সবিজের পরিবার ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
সজিবের কর্মস্থলের কোম্পানির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সৌদি আরবের পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তবে এখনও পর্যন্ত অপহরণকারীদের পরিচয় বা অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সজিবকে অপহরণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তার পরিবারে উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিবারের দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশি কোনো চক্র জড়িত থাকতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ও প্রবাসী সংগঠনের নেতারা জানান—”প্রবাসে কাজ করতে যাওয়া সজিবের মতো হাজারো যুবক দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। অথচ তারা নিজেরাই নিরাপদ নন—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক।”
সজিবের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি যত দ্রুত সম্ভব সবিজকে নিরাপদ মুক্তি এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দূতাবাসের প্রতি আহ্বান: বাংলাদেশ দূতাবাস ও সৌদি কর্তৃপক্ষ যেন বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়—এটাই এখন সবার প্রত্যাশা।
এমআর/সবা
























