০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিংবদন্তি আম্পায়ার ‘ডিকি’ বার্ড মারা গেছেন

ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি আম্পায়ার হারল্ড ‘ডিকি’ বার্ড আর নেই। ৯২ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সর্বকালের অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় আম্পায়ার হিসেবে ডিকি বার্ডের অবদান ক্রিকেট ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

১৯৯৬ সালে লর্ডস টেস্টে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিং থেকে অবসর নেন বার্ড। সে ম্যাচেই অভিষেক হয়েছিল ভারতের দুই মহাতারকা সৌরভ গাঙ্গুলী ও রাহুল দ্রাবিড়ের।

 

তার আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য ছিল ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালসহ মোট তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল পরিচালনা। টেস্ট (৬৬টি) ও ওয়ানডে (৬৯টি) মিলিয়ে ১৩৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন, যা তখনকার বিশ্বরেকর্ড।

খেলোয়াড় হিসেবেও বার্ডের রয়েছে একটি অধ্যায়। ইয়র্কশায়ার ও লেস্টারশায়ারের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন। জিওফ্রে বয়কট ছিলেন তার সতীর্থ। যদিও ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলার সুযোগ হয়নি তার। চোটের কারণে খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হলেও ক্রিকেট থেকে কখনোই দূরে সরে যাননি।

ছোটবেলায় পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও একই কারণে সেটিও হয়নি। পরে আম্পায়ারিংকে বেছে নেন, এবং হয়ে ওঠেন কিংবদন্তি। নিখুঁত সিদ্ধান্ত, রসিকতা ও কঠোর নিয়মমেনে চলার জন্য বিশ্বজুড়ে পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তা। ১৯৯৮ সালে হেডিংলেতে ইয়র্কশায়ার ও ওয়ারউইকশায়ারের ম্যাচে শেষবার আম্পায়ারিং করেন।

ডিকি বার্ডের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রিকেট দুনিয়ায়। তার অবদান স্মরণে থাকবে অনন্তকাল।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

কিংবদন্তি আম্পায়ার ‘ডিকি’ বার্ড মারা গেছেন

আপডেট সময় : ০৮:২৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি আম্পায়ার হারল্ড ‘ডিকি’ বার্ড আর নেই। ৯২ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সর্বকালের অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় আম্পায়ার হিসেবে ডিকি বার্ডের অবদান ক্রিকেট ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

১৯৯৬ সালে লর্ডস টেস্টে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিং থেকে অবসর নেন বার্ড। সে ম্যাচেই অভিষেক হয়েছিল ভারতের দুই মহাতারকা সৌরভ গাঙ্গুলী ও রাহুল দ্রাবিড়ের।

 

তার আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য ছিল ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালসহ মোট তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল পরিচালনা। টেস্ট (৬৬টি) ও ওয়ানডে (৬৯টি) মিলিয়ে ১৩৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন, যা তখনকার বিশ্বরেকর্ড।

খেলোয়াড় হিসেবেও বার্ডের রয়েছে একটি অধ্যায়। ইয়র্কশায়ার ও লেস্টারশায়ারের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন। জিওফ্রে বয়কট ছিলেন তার সতীর্থ। যদিও ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলার সুযোগ হয়নি তার। চোটের কারণে খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হলেও ক্রিকেট থেকে কখনোই দূরে সরে যাননি।

ছোটবেলায় পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও একই কারণে সেটিও হয়নি। পরে আম্পায়ারিংকে বেছে নেন, এবং হয়ে ওঠেন কিংবদন্তি। নিখুঁত সিদ্ধান্ত, রসিকতা ও কঠোর নিয়মমেনে চলার জন্য বিশ্বজুড়ে পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তা। ১৯৯৮ সালে হেডিংলেতে ইয়র্কশায়ার ও ওয়ারউইকশায়ারের ম্যাচে শেষবার আম্পায়ারিং করেন।

ডিকি বার্ডের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রিকেট দুনিয়ায়। তার অবদান স্মরণে থাকবে অনন্তকাল।

এমআর/সবা