চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. রাসেল (২৮)কে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গ্রেপ্তার করেছে। তিনি সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া এলাকার বেলাল উদ্দিনের ছেলে।
র্যাব-৭ জানায়, ভিকটিম তরুণী (২৫) চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পাঁচ বছর আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের মো. রবিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল, তাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। পরে দাম্পত্য কলহের কারণে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তরুণীর সঙ্গে আসামি রাসেলের পরিচয় হয়। এরপর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তিনি যোগাযোগ বজায় রাখে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভিকটিমের বড় বোনকে চিকিৎসক দেখাতে চট্টগ্রামে আসেন তারা। ওইদিন বিকেলে নগরের আগ্রাবাদ দাম্মুয়া পুকুরপাড় মাওলা হোটেলের ২য় তলার ১০৫ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। সন্ধ্যায় তানিয়া ওষুধ আনতে বাইরে গেলে রাসেল হোটেল রুমে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং তরুণীকে হাত-পা চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ২৭ সেপ্টেম্বর ডবলমুরিং থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩)-এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ.আর.এম মোজাফ্ফর হোসেন জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নগরের বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর এলাকার মুন্সীপাড়া থেকে রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডবলমুরিং থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এমআর/সবা


























