এবার ই-পাসপোর্টের আওতায় আসছে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশে বসবাসকারীদের পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ই-পাসপোর্ট প্রদানের কাজ শুরু করেছে পাসপোর্ট অধিদফতর। ইতোমধ্যে দেশের বাইরে ৬৫টি দূতাবাসের মাধ্যমে ১৪৪টি দেশে বসবাসরত প্রবাসীদের ই-পাসপোর্টের আওতায় আনা হচ্ছে। সর্বশেষ আফ্রিকার মরক্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসে কার্যক্রম চালু হয়েছে।
পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার জানান, চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ৬৫টি দূতাবাসের মাধ্যমে ১৩ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি প্রবাসীকে ই-পাসপোর্টের আওতায় আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পর্যায়ক্রমে সব দূতাবাসে কার্যক্রম চালু করা হবে এবং শিগগিরই সব প্রবাসী এই সেবার আওতায় আসবেন।
বিদেশগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ এড়াতে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইতোমধ্যেই তিনটি ই-পাসপোর্ট গেট বসানো হয়েছে। চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেনাপোল ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আরও ৫০টি ই-গেট স্থাপন করা হবে। এসব ই-গেট স্থাপন করে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, তবে পরিচালনা করবে ইমিগ্রেশন বিভাগ। ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে যাত্রী নিজের ইমিগ্রেশন নিজেই সম্পন্ন করতে পারবে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে শেষ হবে।
ই-পাসপোর্টে রয়েছে পালিমানের তৈরি একটি কার্ড ও অ্যান্টেনা, যার ভিতরে সংরক্ষিত থাকে পাসপোর্টধারীর সকল তথ্য, তিন ধরনের ছবি, দশ আঙুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশ। ফলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা যাত্রীর তথ্য দ্রুত যাচাই করতে পারেন। ই-পাসপোর্ট গেট ব্যবহার করলে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয় না। যদি কোনো যাত্রীর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকে বা তথ্য ও ছবিতে মিল না থাকে, তবে ই-গেটে লালবাতি জ্বলে।
২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তখন জানা যায়, বাংলাদেশ বিশ্বের ১১৯তম দেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু করেছে। প্রথমে রাজধানীর আগারগাঁও, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া শুরু হলেও বর্তমানে দেশের সব পাসপোর্ট অফিস থেকে দেওয়া হচ্ছে।
মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নূরুল আনোয়ার বলেন, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপের দেশগুলোতে প্রায় ১৪ লাখ প্রবাসীকে ইতোমধ্যেই ই-পাসপোর্টের আওতায় আনা হয়েছে। শিগগিরই সব প্রবাসী এ সেবার আওতায় আসবেন। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি সহ ইউরোপের বড় দেশগুলোতে কার্যক্রম চালু হয়েছে এবং ছোট দেশগুলোর প্রবাসীদেরও ধাপে ধাপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এমআর/সবা






















