রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শেরে বাংলা আবাসিক হলে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটায় এর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। পরে শহীদ মোহাম্মদ আলী খান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু কর্নারের মধ্য দিয়ে হলটা আজ পূর্ণতা পেল। বঙ্গবন্ধু কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পদ না। তিনি বাংলাদেশের সম্পদ, জাতির সম্পদ। ১৯৪৭ থেকে ৭১ সাল পর্যন্ত তিলে তিলে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন। তিনি এদেশের শিক্ষা নিয়ে ভেবেছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন বিশ্বনেতা। একটি মানবিক বাংলাদেশ চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু৷ তিনি একটি সাম্যের বাংলাদেশ চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সোনার বাংলা গড়তে। সেই সোনার বাংলা গড়ার কারিগর তোমরা।
উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানতে গেলে তাকে নিয়ে অধ্যয়ন করতে হবে। তার নিজের তিনটি বই আছে৷ এছাড়া তাকে নিয়ে লেখা অন্যদের লেখা অসংখ্য বই আছে৷ সেগুলোও পড়তে হবে। তোমরা পড়বে, জানবে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর কাছে আমাদের ঋণের শেষ নেই। তিনি সবসময় নিপীড়িত মানুষকে নিয়ে ভাবতেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। তৎকালীন সময়ে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যাওয়া তার সম্ভব হয়নি। তখন আমরা তাকে নিয়ে অপ্রচার চালিয়েছি। পরে তা সব মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের জাতির পিতাই নন, তিনি আমাদের মুক্তির দূত। তিনি আমাদের যে মুক্তি দিয়েছেন বিগত দিনে কেউ তা আর বাঙালি জাতিকে দিতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে পড়াশোনার বিকল্প নাই। শিক্ষার্থীদের কাছে আমার অনুরোধ তোমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পড়াশোনা করবে। হলে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধনের এই উদ্দ্যেশ্য।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন হলের আবাসিক শিক্ষক এস এম সানজিদ রহমান। সভাপতিত্ব করেন প্রাধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন হলের আবাসিক শিক্ষক শাহ্ মো. শাহান শাহরিয়ার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবাইদুর রহমান প্রামাণিক। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষগণ, হলের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আবাসিক শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমুখ।























